উন্নাওয়ের গুপ্তধনের ঘটনা
২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের সংগ্রামপুর (ডৌন্ডিয়া খেড়া) গ্রামে শোভন সরকার নামে এক স্থানীয় পুরোহিত স্বপ্ন দেখেন যে, ঊনবিংশ শতাব্দীর রাজা রাম বক্শ সিং-এর একটি পুরনো দুর্গের ধ্বংসাবশেষের নিচে ১০০০ টন সোনা পুতে রাখা আছে। সেই কল্পিত গুপ্তধন উদ্ধারের কথা বিবেচনা করার জন্য শোভন চিঠি দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, খনি মন্ত্রক ও ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে (এএসআই)। ২০১৩ সালেরই ১৮ অক্টোবর খননকার্য শুরু হয়।[১] ২৯ অক্টোবর এএসআই ঘোষণা করে যে, সেই স্থানে কোনও সোনা লুকিয়ে রাখা হয়নি এবং তারাও খননকার্য বন্ধ করতে চলেছে।[২][৩] তবে সেই দিনই প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, এএসআই-এর অধিকর্তা প্রবীণ শ্রীবাস্তব বলেছেন যে, আরও সম্প্রসারিত এলাকায় খননকার্য চালানো হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে তিনি এও স্পষ্ট করে দেন যে, বারো সদস্যের দল যে খননকার্য চালাচ্ছিল, সেটিও বন্ধ করা হবে না।[৪] সেই বছর ১৮ নভেম্বর এএসআই খননকার্য বন্ধ করে দেয় এবং খাতগুলি ভরাট করতে শুরু করে।[৫]
বিকল্প নাম | সংগ্রামপুর |
---|---|
অঞ্চল | উন্নাও জেলা |
স্থানাঙ্ক | ২৬°০৯′৫৯″ উত্তর ৮০°৩৯′১২″ পূর্ব / ২৬.১৬৬৩৯° উত্তর ৮০.৬৫৩৩৩° পূর্ব |
যার অংশ | উত্তরপ্রদেশ |
ইতিহাস | |
উপাদান | প্রস্তর |
স্থান নোটসমূহ | |
খননের তারিখ | অক্টোবর, ২০১৩ |
প্রত্নতত্ত্ববিদ | ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ |
অবস্থা | ধ্বংসাবশেষ |
গ্রামের ইতিহাস
সম্পাদনাভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের রাজধানী লখনউ শহরের ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে উন্নাও জেলার বিঘাপুর তহসিলে সংগ্রামপুর গ্রামটি অবস্থিত। এই গ্রামেরই অপর নাম ডৌন্ডিয়া খেড়া।[৬] ২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামে ৪৬৯টি বাড়িতে মোট ২,৬৭২ জন বাস করেন।[৭]
ঊনবিংশ শতাব্দীতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (বর্তমানে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআই) প্রতিষ্ঠাতা আলেকজান্ডার কানিংহাম অনুমান করেন, সপ্তম শতাব্দীর চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং যে স্থানটিকে হয়মুখ বলে উল্লেখ করেন, সেটি সম্ভবত আজকের ডৌন্ডিয়া খেড়া। হিউয়েন সাং-এর রচনায় তাঁর হয়মুখে আসার কথা লিপিবদ্ধ হয়েছে। তিনি লিখেছেন, সেই স্থানে বৌদ্ধ সংমিতীয় সম্প্রদায়ের পাঁচটি মঠে এক হাজারেরও বেশি ভিক্ষু বসবাস করতেন। হয়মুখ ও ডৌন্ডিয়া খেড়া যে একই জায়গা, সেই ব্যাপারে ক্যানিংহাম "প্রায় নিশ্চিত" ছিলেন। তবে তিনি এও বলেন যে, প্রাচীন বিবরণী ও তাঁর জীবদ্দশায় তিনি যা দেখেছেন, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পার্থক্যও ছিল। এছাড়া তিনি অপর ব্রিটিশ গবেষক জেমস টডের মতামতের উপরও কিছুটা নির্ভর করেছিলেন। বর্তমান যুগে অবশ্য জেমস টডকে নির্ভরযোগ্য ইতিহাসবিদ মনে করা হয় না।[৮][৯]
ঘটনার পটভূমি
সম্পাদনা২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শোভন সরকার নামে এক স্থানীয় মহন্ত (পুরোহিত) দাবি করেন, ডৌন্ডিয়া খেড়ার ঊনবিংশ শতাব্দীর রাজা রাম বক্শ সিং তাঁকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেছেন যে, তাঁর প্রাসাদের নিচে ১০০০ টন সোনার ভাণ্ডার লুকানো আছে।[১০] ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সরকার বলেন যে, রাম বক্শ সিং-এর প্রেতাত্মা ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে চিন্তিত এবং তিনি চেয়েছেন সেই সম্পদ দেশের উন্নতির কাজে লাগানো হোক। শোভন স্বপ্নটিকে "এক দৈব হস্তক্ষেপ" বলে উল্লেখ করেন। তবে কীভাবে, কখন এবং কেন তিনিই শুধু সেই লুকানো সম্পদের কথা জানতে পারলেন, তা তিনি খুলে বলতে অস্বীকার করেন।[১১] ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের সময় ব্রিটিশরা রাম বক্শ সিংকে ফাঁসি দেয় এবং তাঁর প্রাসাদ ধ্বংস করে। শোভন নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে চিঠি দেন। কিন্তু তাঁর চিঠিগুলিকে উপেক্ষা করা হয়। কোনও কোনও সূত্রের মতে, এরপর শোভন ভারত সরকারের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী চরণ দাস মহন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অন্য কয়েকটি সূত্রে উল্লিখিত হয়েছে যে, উক্ত মন্ত্রী কানপুরের যে পণ্ডিতের (পুরোহিত) সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন, তাঁর কাছেই এই গুপ্তধনের কথা শোনেন।[১২]
২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তারিখে মন্ত্রী চরণ দাস মহন্ত কথিত গুপ্তধনের জায়গাটি পরিদর্শন করেন এবং এরপর ৭ অক্টোবর তিনি এএসআই ও ভারতীয় ভূবৈজ্ঞানিক সর্বেক্ষণকে (জিএসআই) জায়গাটি পরীক্ষা করতে রাজি করান। ১২ অক্টোবর এএসআই-এর একটা দল স্থানটি পরিদর্শনে আসেন এবং শোভনের দেখিয়ে দেওয়া জায়গাগুলিতে দু’টি গর্ত খোঁড়েন। এএসআই জানায়, তাঁরা মাটির ২০ মিটার নিচে ধাতব জিনিসের উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন। জিএসআই-এর প্রতিবেদনেও বলা হয় মাটির ৫-২০ মিটার গভীরতায় একটি সুস্পষ্ট অ-চৌম্বক ব্যত্যয়ী ক্ষেত্র রয়েছে, যা সম্ভাব্য অপরিবাহী, ধাতব বস্তু বা ধাতুসংকর।[১৩][১৪] ২০১৩ সালেরই ১৮ অক্টোবর এএসআই সেই স্থানে খননকার্য শুরু করে।
খননকার্য
সম্পাদনাসাধুর প্রতি যথোচিত শ্রদ্ধা রেখেই জানানো হচ্ছে, এএসআই তাঁর স্বপ্নের ভিত্তিতে খননকার্য চালাচ্ছে না। এই স্থানের দেড়শো বছরের ইতিহাসে খননকার্য চালানো হয়নি। আমরা বিজ্ঞানসম্মত রিপোর্ট ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের ভিত্তিতেই খননকার্য চালাচ্ছি।[১৫]
— ড. বি. আর. মণি, অতিরিক্ত অধিকর্তা, এএসআই
সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে জানানো হয় যে, মাটির তলায় লুকানো কোনও কিছু পর্যন্ত পৌঁছাতে ২-৩ সপ্তাহ খননকার্য চালাতে হবে।[১৬] অন্যদিকে এএসআই আধিকারিকেরা জানান, খননকার্য চালাতে কয়েক মাস, এমনকি কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে। কারণ, তাঁরা নিড়ানি, কোদাল, চাঙাল ইত্যাদি সাধারণ মানের যন্ত্রপাতি দিয়ে খননকার্য চালাচ্ছেন। এএসআই দুর্গের কাছে খননকার্যের জন্য পূর্ব-পশ্চিমে ৮০ মিটার ও উত্তর-দক্ষিণে ৪০ মিটার স্থান নির্ধারিত করে।[১৭] উন্নাওয়ের মহকুমা শাসকের উপস্থিতিতে উপ-অধিকর্তা পি. কে. মিশ্রের নেতৃত্বের এএসআই নিযুক্ত বারো সদস্যের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক দল কথিত গুপ্তধনের সন্ধানে খননকার্য শুরু করেন। দশটি মৃত্তিকাগহ্বরে খননকার্য চালানো হয়। প্রতিটি গহ্বরের পরিমাপ ছিল প্রায় ১০০ বর্গ ফুট করে।[১৮] খননকার্যের সময় শয়ে শয়ে সাধারণ দর্শক, আউটসাইড ব্রডকাস্টিং বি ভ্যান এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বহু সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল এবং নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য অনেক নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল।[১৯][২০] পথচলতি দর্শকের আধিক্যের জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরাও অনেক লাগানো হয়।[১৮] ২০১৩ সালের ২১ অক্টোবর এএসআই-এর অতিরিক্ত অধিকর্তা ড. বি. আর. মণি বলেন যে, মাটির নিচে ৪৮ সেন্টিমিটার খননকার্য চালিয়ে এএসআই একটি ইটের দেওয়াল, মাটির পাত্রের ভাঙা টুকরো, চুড়ির টুকরো, এক্কাদোক্কা খেলনা এবং সপ্তদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ের একটি মাটির তৈরি মেঝে পেয়েছে।[২১] ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত এএসআই মাটির নিচে ২১৭ সেন্টিমিটার খননকার্য চালায়।[২২] ২ অক্টোবর পর্যন্ত খননকার্য চলেছিল মাটির নিচে ৫৭১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। মহকুমা শাসক বিজয় শঙ্কর দুবে জানান, পূর্ববর্তী শনিবারে ডৌন্ডিয়া খেড়া গ্রামের দুর্গের পাথুরে ভিত্তি ভেঙে ৭০ সেন্টিমিটার ও ৩০ সেন্টিমিটার মাপবিশিষ্ট দু’টি ব্লকে খননকার্য চালানো হয়েছে বটে, কিন্তু খননকার্যের পনেরো দিন পর্যন্ত কোনও গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।[২৩]
উন্নয়ন
সম্পাদনাপরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমগুলি প্রতিবেদন করে যে, ভারত সরকার সোবহান সরকারের স্বপ্নের উপর ভিত্তি করে খনন কাজ চালাচ্ছিল, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একথা জারি করেছিল যে সে স্থানটিতে জিএসআইয়ের একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে খনন কাজ চলছে যারা একটি গ্রাউন্ড পিন্রেটিং রাডার সার্ভে করেছিল এবং স্থল নির্দেশকের ৫-২০ মিটার নিচে অ-চুম্বকীয় ব্যতিক্রমী অঞ্চল যা অ-পরিবাহী ধাতব উপাদান এবং/বা সংকর ধাতু উপস্থিতির নির্দেশক হতে পারে বলে প্রতিবেদন করে।[১৬][২৪] এএসআই-এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক বিআর মনি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে কথিত জায়গাটিতে একজন সাধুর স্বপ্নের ভিত্তিতে খনন করা হচ্ছে এমন কথায় অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন[১৫] যেখানে এএসআই-এর অনুসন্ধানের পরিচালক খননকার্যে কোন সোনার ধন পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ করেন।[২৪] বেশ কিছু আগ্রহী দল গুপ্তধনে একটি বাজি ধরতে এসেছিল। রাজার বংশধরদের মধ্যে একজন, নবচন্দী বীর প্রতাপ সিং তাঁর আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।[২৫] সর্ব ভারতীয় ক্ষত্রিয় মহাসংঘ দাবি করেছিল যে তারা বৈধ দাবিবিদ কারণ রাম বখশ সিং তাদের ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের অন্তর্গত ছিলেন।[২৬] সোবহান সরকার আরেকটি স্বপ্ন দেখেছিল এবং দাবি করেছিল যে উত্তর প্রদেশের ফতেহপুর জেলার আদামপুর গ্রামে ব্রহ্ম আশ্রমের শিব চবুত্রার নিচে ২৫০০ টন সোনা লুকানো ছিল। প্রতিবেদন করা হয় যে ফতেহপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে স্বপ্ন সম্পর্কে জানিয়েছিল সোবহান সরকার।[১৭][২৭] ১৯ অক্টোবর ২০১৩-এর রাতে, আদমপুর গ্রামের গঙ্গাঘাটের একটি প্রাচীন শিব মন্দিরের ভিতরে বন্দুকেরডগায় তত্ত্বাবধায়ক স্বামী মোহনদাসকে আবদ্ধ করে রাখে কিছু লোক। কথিত গুপ্তধনের জায়গাটিতে তারা অনুসন্ধান করে। কিছু গ্রামবাসী দাবি করে যে তারা লুকানো সোনা নিয়ে গেছে।[২৮]
ভারতের সুপ্রীম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের করা হয় যেখানে আদালতে গোপন লুকানো ধনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা এবং নির্দেশনা চাওয়া হয়। ২১ অক্টোবর ২০১৩-এ আদালত পিআইএলকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে এটি "ধারণার ভিত্তিতে" আদেশটি পাস করতে পারে না।[২৯]
প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনাসাবেক রাষ্ট্রপতি এ. পি. জে. আবদুল কালাম বলেন, "আমার মতে, বিজ্ঞান কোন অনুমান অনুমতি দেয় না। এটির [এএসআই কর্তৃক খনন] কিছু যৌক্তিক উপসংহার থাকতে হবে।"[৩০] ভারতীয় জনতা পার্টির রাজনীতিবিদ নরেন্দ্র মোদি সরকারকে ঠাট্টা করে বলেছিলেন, "এই বিশ্রী কাজের জন্য সমগ্র বিশ্ব আমাদের দেখে হাসছে। কেউ একজন স্বপ্ন দেখলো আর সরকার খনন শুরু করে দিলো।"[৩১] জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির নেতা শরদ পওয়ার বলেছেন যে, "এটি সমাজে 'বুয়াবাজি' (দেবদেবীদের দ্বারা কুসংস্কার প্রচার করা) বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখবে।" এবং আরো যোগ করেন, "সরকারি সংস্থার এমন ধরনের কাজে অংশগ্রহণ করা উচিত নয়।"[৩২] খননকাজ দেখার জন্য হাজার হাজার দর্শক জমায়েত হয়েছিল। দেশী ও বিদেশী টিভি সাংবাদিকদের কয়েক ডজন ঘটনাটি সরাসরি সম্প্রচার করেছিল। ২০১০ সালের ব্লাক কমেডি ছবি 'পিপলি লাইভ' এর সাথে কিছু মিডিয়া এই 'মিডিয়া সার্কাসকে' তুলনা করেছে। আল জাজিরার একজন সাংবাদিক এই চাক্ষুষ ঘটনাটি তুলে ধরে বলেন যে, "আমরা শুনেছি যে ভারত সাপ যাদুকরদের ভূমি। এর পর থেকে আমরা তা বিশ্বাস করতে প্রস্তুত।"[৩৩] সাপ্তাহিক পত্রিকা ইন্ডিয়া টুডে খননটিকে নির্বোধের পাগলামি বলেছে এবং আরো যোগ করেছে "যদি এই সোনার খোজের শেষে 'হলুদ'ও এক কিলো খুঁজে পাওয়া যায় তবে আমরা দণ্ডপ্রাপ্ত হবো। ইতিমধ্যেই অতিমাত্রায় কুসংস্কারাচ্ছন্ন এই দেশ স্ব-ঘোষিত সন্ন্যাসীদের দিকে তাকাবে এবং তাদের সোনা দিয়ে গোসল করাবে"।[৩৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "BBC News - Tight security at India 'treasure hunt' site"। BBC News। ২০১৩-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-১৯।
- ↑ Akash Deep Ashok (২০১৩-১০-২৯)। "Gold dream over in UP, India wakes up to reason"। India Today। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-২৯।
- ↑ "No hidden gold in Unnao, declares ASI"। Zee News। ২০১৩-১০-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-২৯।
- ↑ "no gold treasure yet digging continue"। The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-৩০।
- ↑ "No sign of gold, ASI stops Unnao digging"। The Hindu। ১৯ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "Places of interest"। National Informatics Center। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Census of India: Sub-District Details"। Government of India। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ Cunningham, Alexander (১৮৭১)। The Ancient Geography of India। London: Trubner & Co.। পৃষ্ঠা 387।
- ↑ Freitag, Jason (২০০৭)। "Travel, history, Politics, Heritage: James Tod's "Personal Narrative""। Henderson, Carol E.; Weisgrau, Maxine K.। Raj rhapsodies: tourism, heritage and the seduction of history। Aldershot: Ashgate Publishing। পৃষ্ঠা 49। আইএসবিএন 978-0-7546-7067-4।
- ↑ Piyush Srivastava (২০১৩-১০-১৫)। "Gold rush hits Uttar Pradesh: Archaeologists drill for buried treasure after godman dreams of 1,000 tonnes of gold hidden beneath abandoned palace | Mail Online"। London: Daily Mail। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-১৯।
- ↑ "A Spirit Moves India to Launch a Treasure Hunt"। Wall Street Journal। ২১ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Unnao treasure hunt: Seer sees, diggers dig for gold of dreams and a grave for reason in old UP village"। India Today। ১৮ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "ASI begins Excavation at Unnao in search of Gold Deposits"। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Scientific basis for Unnao gold hunt, ASI says"। timesofindia.indiatimes.com/। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ ক খ "Scientific basis for Unnao gold hunt, ASI says"। Times of India। ২০ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩। অজানা প্যারামিটার
|Quote=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|quote=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - ↑ ক খ "Press Information Bureau English Releases"। Press Information Bureau। ১৮ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ ক খ "ASI officials on treasure hunt in Unnao with outdated tools : Featured, News - India Today"। India Today। ১৮ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ ক খ "UP gold hunt: CCTV cams installed; 'descendants' stake claim"। Rediff.com। ২০ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Unnao 'dream' gold hunt: Govt to install night vision cameras at the site : North, News - India Today"। India Today। ২০ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Huge crowds gather as ASI begins excavation work at Unnao fort, plays down seer 'dream'"। Indian Express। ১৮ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Unnao treasure hunt yield so far: shards, bangles, brick wall"। Hindustan Times। ২১ অক্টোবর ২০১৩। ২১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Unnao: Digging resumes after break, govt says no treasure hunt"। The Economic Times। ২৪ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Shobhan Sarkar writes to PM seeking transparency in excavation"। The Times Of India। ২০১৩-১১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-০৫।
- ↑ ক খ "Unnao gold hunt ASI doubts possibility of finding treasure"। First Post। ২০ অক্টোবর ২০১৩। ২১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "In India, Archeologists Dig For Treasure Beneath Uttar Pradesh Fort After Tip From Hindu Holy Man"। huffingtonpost.com। ১৮ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Gold hunt in UP: Unnao treasure is ours, All India Kshatriya Mahasabha stakes claim to seer's gold"। India Today। ২০ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Unnao gold hunt: Now, seer dreams of another 2500 tonnes of hidden treasure"। Zee News। ১৯ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Unnao gold hunt mania reaches Fatehpur, miscreats lock up priest at gunpoint, dig holes"। India Today। ২০ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "SC refuses to interfere in ASI's gold hunt in Unnao"। Times of India। ২১ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "UP: There should be logic behind ASI's excavation in Unnao, says Kalam"। CNN-IBN। ১৯ অক্টোবর ২০১৩। ২১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Modi mocks Unnao gold dig, says more black money stashed abroad - Rediff.com"। Rediff। ১৮ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Unnao gold hunt will lead to rise in 'buwabaji': Sharad Pawar - News"। Oneindia.in। ২০ অক্টোবর ২০১৩। ২১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "'Peepli Live' in Unnao: ASI begins hunt for 1,000-tonne 'buried treasure'"। Times of India। ১৯ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Unnao Gold Hunt and the Taj Mahal of Moronic Madness"। India Today। ১৯ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩।