উচ্চতা (ভৌগোলিক স্থান)
কোন ভৌগোলিক অবস্থানের উচ্চতা হল একটি নির্দিষ্ট রেফারেন্স বিন্দু থেকে উপরের বা নীচের উচ্চতা। সাধারণত রেফারেন্স হিসেবে ভূগোলককে নেওয়া হয় যেটি পৃথিবী 'র সমুদ্রপৃষ্ঠ এর সমকক্ষ মহাকর্ষীয় পৃষ্ঠ এর গাণিতিক মডেল (দেখুন ভূগাণিতিক উপাত্ত)। এলিভেশন শব্দটি মূলত পৃথিবীর পৃষ্ঠের বিন্দুগুলো উল্লেখ করার সময় ব্যবহৃত হয়, যখানে উচ্চতা বা ভৌগোলিক উচ্চতা ভূ-পৃষ্ঠের উপরে বিন্দুগুলোর জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন: একটি বিমান উড্ডয়নে বা কক্ষপথে একটি মহাকাশযান এবং গভীরতা ভূ-পৃষ্ঠের নীচের বিন্দুগুলোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরত্বকে এলিভেশন ভেবে বিভ্রান্ত হবার দরকার নেই। নিরক্ষীয় বাল্জের কারণে মাউন্ট এভারেস্ট এর শীর্ষের এবং চিম্বোরাজ্যের যথাক্রমে বৃহত্তম উচ্চতা এবং বৃহত্তম ভূ-কেন্দ্রিক দূরত্ব রয়েছে।
বিমান চালনায়সম্পাদনা
বিমানচালনায় এলিভেশন বা অ্যারোড্রোম এলিভেশন শব্দটি দ্বারা অবতরণ অঞ্চলের সর্বোচ্চ বিন্দুকে বোঝানো হয় যা আইসিএও দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এটি ফিটে পরিমাপ করা হয় এবং এরোড্রোমের যোগাযোগ চার্টগুলিতে পাওয়া যায়। উচ্চতা বা উচ্চতার মতো পদগুলির সাথে বিভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। [১]
মানচিত্র এবং জিআইএসসম্পাদনা
]
জিআইএস বা ভৌগোলিক তথ্য সিস্টেম এক ধরনের কম্পিউটার সিস্টেম যা ডেটা ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট অনুসঙ্গগুলোর ভিজ্যুয়ালাইজিং, ম্যানুপুলেটিং, ক্যাপচারিং এবং স্টোর করে। প্যাটার্ন ও বিভিন্ন স্কেলে ল্যান্ডস্কেপের সাথে সম্পর্ক জিআইএস বেশ ভালোভাবেই বর্ণনা করে। স্থানিক বিশ্লেষণ বা কার্টোগ্রাফির জন্য জিআইএসের অভ্যন্তরে থাকা টুলগুলো ডেটা ম্যানিপুলেশন করে।
এলিভেশন চিত্রিত বা মানচিত্রের মাধ্যমে বর্ণনা করার জন্য প্রধানত টপোগ্রাফিক মানচিত্র ব্যবহার করা হয়। টপোগ্রাফিক মানচিত্র তৈরিতে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয় কনট্যুর লাইন । একটি ভৌগোলিক তথ্য সিস্টেম (জিআইএস) এ ডিজিটাল এলিভেশন মডেল (ডিইএম) সচরাচর ব্যবহৃত হয় এলিভেশনের রাস্টার(গ্রিড) ডেটাসেটের মাধ্যমে কোন স্থানের পৃষ্ঠকে প্রর্দশনের(টপোগ্রাফি) জন্য। ডিজিটাল টেরিন মডেলগুলি হল জিআইএসে ভূখণ্ডের প্রর্দশন করার অন্য একটি উপায়।
উচ্চ মানের টপোগ্রাফিক ডেটার ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন মেটানোর জন্য ইউএসজিএস (ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক সার্ভে) একটি ৩ডি এলিভেশন প্রোগ্রাম (৩ডিইপি) এর উন্নয়ন সাধন করছে। ৩ডিপিইতে তিনটি বেয়ার আর্থ ডিইএম স্তর রয়েছে যা 1/3, 1, এবং 2 আর্সেকেন্ড রেজোলিউশনে নির্বিঘ্নে দেখা যায়। [২]
বৈশ্বিক ১-কিলোমিটার মানচিত্রসম্পাদনা
এই মানচিত্রটি জিটিওপিও ৩০ তথ্য থেকে তৈরি হয়েছে যা ৩০ আর্কসেকেন্ড(প্রায় 1 কিমি) পর পর পৃথিবীর ভূখণ্ডের এলিভেশন বর্ণনা করে। এলিভেশন নির্দেশ করতে কনট্যুর লাইনের পরিবর্তে এটি হাইপোসোমেট্রিক টিন্টস ব্যবহার করে।
প্রতিটি টাইল ১৮০০ × ১৮০০ পিক্সেল রেজোলিউশনের (আনুমানিক ফাইলের আকার ১ এমবি, ৬০ পিক্সেল = ১ ডিগ্রি, ১ পিক্সেল = ১ মিনিট) |
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ AERODROMES (PDF)। Internation Civic Aviation Organisation। ১৯৫১। পৃষ্ঠা 9।
- ↑ Survey, U.S. Geological। "The National Map: Elevation"। nationalmap.gov (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-২৪।