ঈশান
ঈশান (সংস্কৃত ভাষায়: ईशान) শব্দ হিন্দু, বৌদ্ধ ইত্যাদি ধর্মে ঈশ্বর বা কোনো দেবতাকে বোঝায়। ঈশান একটি জনপ্রিয় নাম। এই নামের উল্লেখ শিব পুরাণে আছে, এবং এটি বিষ্ণুর নামও হয়।[১]
হিন্দু ধর্মে
সম্পাদনাঈশান হিন্দু ভগবান শিবের এক নাম। শিব হিন্দু ত্রিমূর্তি (ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব)এর অন্যতম। এর মূল "ঈশ", যার অর্থ জগতকে শাসন করা অদৃশ্য শক্তি। ঈশান ও ঈশ্বর একার্থক।[২]
ঈশান শব্দের অর্থ 'অনেক', এবং 'উত্তর-পূর্ব' দিকও হয়। বাস্তু শাস্ত্রের মমতে ঈশান্য দিকের অর্থ সমৃদ্ধি, ঐশ্বর্য্য ও জ্ঞান। হিন্দু ধর্মে উত্তর দিকে সুখ এবং পূর্ব দিকে জ্ঞান বোঝায়। ঈশান দুই-য়েরই মিলন।[৩]
শিবের পাঁচটা রূপ আছে। প্রতিটি রূপে পঞ্চতত্ত্ব-- অগ্নি, জল, বায়ু, পৃথিবী, আকাশ, এক একটিকে বোঝায়। ঈশান — শিবের পঞ্চম রূপ, যা উপর দিকে চেয়ে থাকে এবং পঞ্চতত্ত্বের 'আকাশ' বোঝায়।[৩]
বৌদ্ধ ধর্মে
সম্পাদনাজাপানী বৌদ্ধ বিশ্বাস অনুযায়ী, ১২ জন দেবতা ১২ দিক বোঝায়। সংস্কৃত ভাষাতে 'দেব' শব্দের অর্থ দেবতা বা স্বর্গে থাকা লোক। জাপানী ভাষায় তাদেরকে 'টেন' (天) বলা হয় যা 'দেব'-এর সাথে সমার্থক। ১২ দিকে উত্তর (বিশামন্তেন/বৈশ্রায়ন), দক্ষিণ (এন্মাতেন/যম), পূর্ব (টিয়াশাকুটেন/ইন্দ্র), পশ্চিম (শুইটেন/বরুণ), উত্তর পূর্ব (ঈশানাটেন/ঈশান), উত্তর-পশ্চিম (ফুটেন/বায়ু), দক্ষিণ পূর্ব (কাটেন/অগ্নি), দক্ষিণ পশ্চিম (রাচাৎসুুটেন/রাক্সস), ওপরে (বন্টেন/ব্রহ্মা), তলায় (জিতেন/পৃথিবী), চন্দ্র (ঘাটেন/চন্দ্র) এবং সূর্য (নিটেন/আদিত্য) বোঝায়। 'দেব'গণ হিন্দু বিশ্বাস থেকে নেওয়া, এবং চীনা ও জাপানী রূপে সাজিয়ে নেওয়া। ঈশান তারই অন্যতম। ঈশান উত্তর-পূর্ব দিকের রক্ষক।[৪]
ইসলাম ধর্মে
সম্পাদনাঈশান বা ঈসান মুসলিমদের মধ্যে এক জনপ্রিয় নাম। এই নাম ছেলেদেরকে দেওয়া হয়। ইসলাম ধর্মে ঈশানের অর্থ হ'ল-- "ঈশ্বরের আশীর্বাদ" বা "যোগ্য"।[৫][৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১১ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ ক খ http://www.astroworld.co.in/vastu-shastra/disha-directions/
- ↑ http://www.onmarkproductions.com/html/12-devas.shtml
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৮।