ইন্দিরা মিরি
ইন্দিরা মিরি (ইংরেজি: Indira Miri) ছিলেন আসামের একজন শিক্ষাবিদ ও বিদূষী মহিলা। তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেন। কৰ্মজীবনের শুরুতে তিনি মেরীয়া মন্টেসরীর নিকট থেকে প্ৰত্যক্ষ দীক্ষা পেয়েছিলেন। ছোটবেলায় তার নাম মেরেং ছিল বলে অণুরাধা শর্মা পূজারী তার মেরেং উপন্যাসে লিখেছেন।
ইন্দিরা মিরি | |
---|---|
জন্ম | ১৯১০ |
মৃত্যু | ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৪[১] |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারত |
শিক্ষা | এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | শিক্ষাবিদ |
পরিচিতির কারণ | আসামে শিক্ষার প্ৰসার |
আদি নিবাস | অৰ্জুনগুড়ি গাঁও, শিবসাগর জেলা |
দাম্পত্য সঙ্গী | মহীচন্দ্র মিরি |
সন্তান | উৎপল মিরি মৃণাল মিরি |
পিতা-মাতা | রায়বাহাদুর সোণাধর সেনাপতি (পিতা) |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী পুরস্কার শঙ্করদেব পুরস্কার |
টীকা | |
আসামের প্ৰথম চীফ কনজারভেটর মহীচন্দ্র মিরির পত্নী। |
জন্ম
সম্পাদনাইন্দিরা মিরির জন্ম ১৯১০ সালে। তার পিতার নাম রায়বাহাদুর সোণাধর সেনাপতি।[২] তার বসবাস ছিল শিবসাগর জেলার অৰ্জুনগুড়ি গ্রামে। পরে তিনি শিলং চলে আসেন।
শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাতার পিতা নিজের মেয়েকে মাতৃভাষায় শিক্ষা দিবেন বলে খোঁজ করছিলেন; কিন্তু সেসময় শিলং-এ কোনো অসমীয়া মাধ্যমের বিদ্যালয় ছিল না। ফলে ইন্দিরা মিরি প্ৰথমে বাংলা মাধ্যমে শিক্ষাগ্ৰহণ করেন। পরে তার পিতা ইন্দিরা মিরিকে কলকাতার বেথুন হাই স্কুলে ভৰ্তি করে দেন। ১৯৩২ সালে তিনি স্কটিশ চাৰ্চ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্ৰী লাভ করেন।[২]
১৯৪৫ সালে ইন্দিরা মিরি এডিনবাৰ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বি.এড. পড়ার জন্য যুক্তরাজ্য যান। এরপর তিনি অক্সফোৰ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের প্ৰশিক্ষণ বিষয়ক একটা পাঠ্যক্ৰম গ্ৰহণ করেন।[২]
কৰ্ম জীবন
সম্পাদনা১৯৪৭ সালে ইন্দিরা মিরি ভারতে ফিরে আসেন । তার পর ভারত সরকার নৰ্থ ইষ্ট ফ্ৰণ্টিয়ার এজেন্সী (সংক্ষেপে নেফা)র অবিভক্ত লোকদের শিক্ষার উন্নতির জন্যে শিক্ষা বিষয়া হিসাবে ইন্দিরা মিরিক নিয়োগ করে। তিনি ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসে শদিয়াতে শিক্ষাবিদ হিসাবে যোগদান করেন। প্ৰথমে, ইন্দিরা মিরি পাছিঘাট এবং শদিয়া ভ্ৰমণ করেন।[২] সেই সময়ে তিনি শদিয়াতে একটা শিক্ষক প্ৰশিক্ষণ কেন্দ্ৰ প্ৰতিষ্ঠা করেন।[৩] তিনি বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যকার গ্রামসমূহে হাতীর পিঠে চড়ে পরিভ্ৰমণ করেন। ১৯৫০ সালের ভূমিকম্পে শদিয়া সহ নেফার অনেক জায়গার ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ইন্দিরা মিরির নেতৃত্বে এই অঞ্চলসমূহে সাহায্যের কাজ সহজ হয়েছিল।
১৯৫৭ সালে তিনি নেফা থেকে গুছি আসেন। সেই সময়ছোৱাত তেতিয়ালৈকে নেফাত প্ৰায় ১০০০ খন বিদ্যালয় প্ৰতিষ্ঠা কৰা হয়।[২] তারপরে ইন্দিরা মিরি যোরহাটের বিটি কলেযে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৮ সালে পর থেকে তিনি অবসর গ্ৰহণ করেন এবং গুয়াহাটিতে ফিরে আসেন। এরপরেও তিনি দুটা পিরিয়ডের জন্য গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় এর কাৰ্যনিৰ্বাহক সমিতির সদস্য ছিল।[২]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাস্নাতক ডিগ্ৰী লাভ করার পর তিনি আসাম ফিরে আসেন। তারপরের বছর ১৯৩২ সালে তার পিত সোণাধর সেনাপতির কথামত মিচিং সম্প্ৰদায়ের মহীচন্দ্র মিরির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[১] মহীচন্দ্র মিরি আসামের প্ৰথম প্রধান বন সংরক্ষক ( চীফ কনজারভেটর অব ফরেষ্ট) ছিলেন। মহীর সাথে কলকাতায় প্ৰেম এবং পরিণয় হওয়ার পর ইন্দিরা কিছুদিন কাজিরঙ্গা এবং যোরহাট থাকেন, সঙ্গে মহীর গ্রামের বাড়িতে ও থাকতেন। ঐ সময়ে তার সন্তান উৎপল মিরি এবং মৃণাল মিরির জন্ম হয়। কাজিরঙাতে মহী চাকরিতে ঢুকার পর ইন্দিরার পিতা তথা মহীর শ্বশুরের অণুপ্ৰেরণাক্ৰমে পড়া-শুনা এবং সমাজ সেবায় মনোনিবেশ করেন; এবং আসামের শিক্ষা-সমাজসেবায় বৃহৎ অনুদান যোগান ।
পুরস্কার ও সম্মননা
সম্পাদনা- ১৯৭৩ সালে ইন্দিরা মিরিকে পদ্মশ্ৰী পুরস্কার প্ৰদান করা হয়।[১]
- শঙ্করদেব পুরস্কার[১]
মৃত্যু
সম্পাদনাইন্দিরা মিরি ২০০৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ৯৪ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Indira Miri Principal"। Zoom Information। 14 Sept 2004। সংগ্রহের তারিখ November 07, 2012। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ AT Editorial www.assamtribune.com (14 Sept 2004)। "Indira Miri - a born educationist"। Zoom Information। সংগ্রহের তারিখ December 19, 2012। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ [১] Education In Arunachal Pradesh Since 1947: Constraints, Opportunities, Initiatives and Needs. By Joram Begi সংগ্ৰহৰ সময়- ০৩ ফেব্ৰুৱাৰী ২০১২