গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (আগস্ট ২০২১) |
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় বা গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি: Gauhati University; অসমীয়া: গুৱাহাটী বিশ্ববিদ্যালয় বা গৌহাটী বিশ্ববিদ্যালয়) ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উত্তর পূর্বাঞ্চলের অগ্রগামী ও প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। অসমের শিক্ষা, বৌদ্ধিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে।
নীতিবাক্য | বিদ্যয়া সাধয়েৎ |
---|---|
ধরন | সরকারী |
স্থাপিত | ১৯৪৮ |
আচার্য | অসমের রাজ্যপাল |
উপাচার্য | অধ্যাপক মৃদুল হাজরিকা |
অবস্থান | , , |
ওয়েবসাইট | http://www.gauhati.ac.in/ |
ইতিহাস
সম্পাদনাগুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় ‘’’গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় অধিনিয়ম ১৯৪৭’’ ও অসম বিধান সভার বিধায়ক দ্বারা ১৯৪৮ সনে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় অনুনয় আয়োগ ও অসম সরকারের যুগ্ম প্রচেষ্টার ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভবপর হয়েছিল। ১৯৪৮ সনের ২৬ জানুয়ারি সনে গুয়াহাটি কটন কলেজের সুডমার্সন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[১] কৃষ্ণকান্ত সন্দিকৈ গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন।
পরিসীমা
সম্পাদনাগুহাহাটি বিশ্ববিদ্যালয় অসমের রাজধানী গুয়াহাটি শহরের জালুকবারী নামক স্থানে অবস্থিত। লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ বিমান বন্দর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ও কামাখ্যা রেল স্টেশন থেক ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয় ৩৭ নং রাষ্ট্রীয় ঘাইপথ দ্বারা সংযুক্ত। এখানে ৩০০০ ছাত্র-ছাত্রী থাকার জন্য আবাস গৃহ এবং শিক্ষার্থী ও কর্মচারী থাকার জন্য সু-ব্যবস্থা আছে।
স্বীকৃতি
সম্পাদনাগুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় National Assessment and Accreditation Council (NAAC), Bangalore দ্বারা স্বীকৃতি প্রাপ্ত ও ৪ষ্টার প্রাপ্ত।
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীতটি ভূপেন হাজরিকা রচনা করেছেন৷ এই সংগীতটি প্রতেকটি অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে পরিবেশন করা হয়। সংগীতটি নিচে উল্লেখ করা হ'ল-
জিলিকাব লুইতরে পার
এন্ধারর ভেটা ভাঙি প্রাগজ্যোতিষত বয়
জেউতি নিজরারে ধার
শত শত বন্তিরে জ্ঞানরে দীপালীয়ে
জিলিকাব লুইতরে পার
সাঁচিপাতে ভাষা দিব
চিফুঙে আশা দিব
রংঘরে মেলিব দুয়ার
সমাজে সাবটিব মহান মানবতা
বিজ্ঞানে আনিব জোঁয়ার
নতুনর গতি খেদি ডেকা গাভরু আমি
নির্ভীক কুরি শতিকার
অজ্ঞান চাকনৈয়া এফলীয়া করি থৈ
মারি যাওঁ জীবনর ডার
জিলিকাব লুইতরে পার ৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং অধ্যয়ন কেন্দ্র
সম্পাদনাকলা
|
বিজ্ঞান বিভাগ
|
গ্রন্থাগার
সম্পাদনা১৯৪৮ সনে গুয়াহাটির চান্দমারীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়েছিল। ১৯৬২ সনে চান্দমারী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নানান্তর হয়েছিল। ১৯৮২ সনে গ্রন্থগারটি প্রথম উপাচার্যের নামে কৃষ্ণকান্ত সন্দিকৈ গ্রন্থগার নামকরণ করা হয়। বর্ত্তমান গ্রন্থগারটিতে ২৫৯৪৯০ টি গ্রন্থ সংগৃহিত করা আছে যার মধ্যে ১০২২১২টি BOUND PERIODICALS, ২২৫০টি গবেষণা গ্রন্থ, ৬৯০৮টি প্রতিবেদন ও নিবন্ধ এবং ৩০৬ টি মানচিত্র পুস্তকের অন্তর্গত। এই গ্রন্থগারে কম্পিউটার দ্বারা গ্রন্থ অনুসন্ধান করার সুবিধা আছে ও দৈনিক খবরের কাগজ ও পত্রিকা পাঠ করার ব্যবস্থা আছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "A d m i n i s t r a t i o n"। Gauhati.ac.in। ২০১২-০২-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১৪।