মহীচন্দ্র মিরি
মহীচন্দ্র মিরি (ইংরেজি: Mahi Chandra Miri;অসমীয়া: মহীচন্দ্র মিরি) অসমের প্রথম মুখ্য বন সংরক্ষক। তিনি অসমের বন্য জীব-জন্তু সংরক্ষণ করার সংকল্প নিয়েছিলেন। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের এক খর্গ বিশিষ্ট গণ্ডারের বিষয়ে তিনিই প্রথম বিশ্বকে অবগত করান। কথিত আছে যে তিনি কাজিরাঙা অরণ্যের টিলায় বসে বাইনোকুলার ও বন্দুক হাতে নিয়ে বন পর্যবেক্ষণ করিতেন। তার পত্নী ছিলেন প্রসিদ্ধ শিক্ষাবিদ ইন্দিরা মিরি ও তার সন্তান উৎপল মিরি ও মৃণাল মিরি।
মহীচন্দ্র মিরি | |
---|---|
জন্ম | ১৯০৩ |
মৃত্যু | ১৯৩৯ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | বন সংরক্ষক, শিক্ষাবিদ |
পরিচিতির কারণ | অসমের বন্যকর্মী |
সন্তান | উৎপল মিরি, মৃণাল মিরি |
শিক্ষা
সম্পাদনা১৯২৭ সনে গুয়াহাটির কটন কলেজ থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯২৯ সনে মহীচন্দ্র মিরি ও মাধব ভট্টাচার্যকে ইম্পিরিয়েল ফরেষ্ট সার্ভিসের জন্য নির্বাচন করা হয় ও রেংগুনের ফরেষ্ট কলেজে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। সন্মানীয় ইম্পিরিয়েল ফরেষ্ট সার্ভিসের জন্য নির্বাচিত করা তারাই প্রথম অসমীয়া ব্যক্তি।
কর্মজীবন
সম্পাদনারেংগুনের ফরেষ্ট প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হওয়ার পর ১৯৩১ সনে তাকে গুয়াহাটিতে এক্সট্রা এসিসটেন্ট কনজারভেটর অফ ফরেষ্ট রুপে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৩৪ সনে তাকে গোলাঘাট হেডকোয়াটারে স্থিত সেই সময়ের "Kaziranga game sanctuary"-এ বদলি করা হয়।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনা১৯৩২ সনে মহীচন্দ্র মিরি সোণাধর সেনাপতির জৈষ্ঠ কন্যা ইন্দিরাকে বিবাহ করেন।
মৃত্যু
সম্পাদনাযোরহাটে কর্মরত অবস্থায় কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হন।