যোরহাট জেলা

আসাম রাজ্যের একটি জেলা

যোরহাট জেলা আসাম রাজ্যের সাতাশটি জেলার ভিতরের একটি। এর সদর স্থানের নাম যোরহাট। যোরহাট জেলাকে আসামের "সাংস্কৃতিক প্ৰাণকেন্দ্ৰ" বলেও বলা যায়।[] জেলাটি তিনটা মহকুমাতে ভাগ করা হয়েছে: যোরহাট, মাজুলী এবং তিতাবড়। পূৰ্বে যোরহাট শিবসাগর জেলার অন্তৰ্গত একটাসনকুমা ছিল। ১৯৮৩ সালে এটিকে এক আলাদা জেলারূপে স্বীকৃতি দেয়া হয়।[] জেলাটির মোট আয়তন হচ্ছে ২৮৫২ বৰ্গ কি.মি.। ২০০১ সনের লোকগণনা মতে যোরহাট জেলার জনসংখ্যা হচ্ছে ১০,০৯,১৯৭ জন।

যোরহাট জেলা
যোৰহাট জিলা (যোরহাট‌ জিলা)
জেলা
শতবৰ্ষের স্মারক
শতবৰ্ষের স্মারক
আসামে যোরহাট জেলার অবস্থান
আসামে যোরহাট জেলার অবস্থান
দেশ ভারত
রাজ্যআসাম
সদরযোরহাট
জেলা গঠন১৯৮৩ সন
সরকার
 • উপায়ুক্তবিশাল সোলাঙ্কি[]
আয়তন
 • মোট২,৮৫১ বর্গকিমি (১,১০১ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১০,৯১,২৯৫[]
 • জনঘনত্ব৩৮৩/বর্গকিমি (৯৯০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলভারতীয় মান সময় (ইউটিসি+5:30)
ওয়েবসাইটjorhat.gov.in

ভৌগোলিক তথ্য

সম্পাদনা

যোরহাট জেলার আয়তন হচ্ছে ২৮৫২ বর্গ কি.মি.।[] বার্ষিক বৃষ্টিপাতের হার ২০২৯ মি:মি:।[] উত্তর-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাব এখানে বেশি। তাপমাত্রা ৯ৰ পৰা ৩৯0 হতে পারে। জিলাটির উত্তর দিকে ব্রহ্মপুত্র নদীর মাঝে পৃথিৱীৰ বৃহত্তম নদীদ্বীপ মাজুলী অবস্থিত। মাজুলীর আয়তন হচ্ছে ৯২৪.৬ বৰ্গ কি:মি" এবং জনসংখ্যা প্ৰায় ১.৫০ লাখ।

যোরহাট নগরের উত্তর দিকে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদীৰ মাজত পৃথিবীর বৃহত্তম নদীদ্বীপ মাজুলী অবস্থিত। এর মাটিকালি ১২৫০ বৰ্গ কিলোমিটার আৰু জনসংখ্যা প্ৰায় ১,৫০,০০০ । চাহৰ বাদে যোরহাটের মুখ্য খাদ্য-শস্য হল ধান। বাৰ্ষিক বৃষ্টিপাতৰ হাৰ ২০২৯ মিমি.[]

বনাঞ্চল

সম্পাদনা

১৯৯৭ সালে হোলোঙাপার গিবন অভয়ারণ্যটি অভয়ারণ্যের মর্যদা লাভ করে।[] অঞ্চলটি বিভিন্ন চিরসবুজ গাছ ও বাঁশ গাছ দ্বারা পরিপূর্ণ। ১৯২৪ সনে অরণ্যটির বিকাশের জন্য বৃক্ষরোপন করা হয়। প্রাকৃতিক বৃক্ষরোপনের ফলে এখানে জৈববৈচিত্রের এক পরিপূর্ণ অরণ্যের সৃষ্টি করে। ১৯ শতিকায় এখানে আরও বনাঞ্চল সংযুক্ত হওয়ার ফলে ১৯৯৭ সনে এর আয়তন প্রায় ২০৯৮.৬২ হয়।[][] তথাপিও অরণ্যটি পাঁচটি ভাগে বিভক্ত।[] জৈববৈচিত্রে ভরপুর এই অরণ্যে ভারতের একমাত্র গিবন হলো উল্লুক বান্দর[][১০] ও উত্তর-পূর্ব ভারতের একমাত্র নিশাচর প্রাইমেট বাংলা লজ্জাবতী বানর ইংরেজি: Bengal slow loris[১০][১১] দেখা যায়। এখানে পাওয়া আরেক শ্রেণীর প্রাইমেট হচ্ছে খাটোলেজি বানর (ইংরেজি: Stump-tailed Macaque), অসমীয়া বানর (ইংরেজি: Assamese macaque), রেসাস বানর বা লাল বানর ইত্যাদি।[১০] অভয়ারন্যটিতে ভারতীয় বাঘ, ভারতীয় হাতিচিতাবাঘ, দেশি বন শুকর ও অনেক প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায়। অভয়ারণ্যটিতে কমেও ২১৯ প্রজাতির পাখি ও কয়েক ধরনের সাপ দেখা যায়।[১০]

তথ্যসূত্ৰ

সম্পাদনা
  1. "District Briefs - New DC"The Telegraph। The Telegraph - Calcutta Edition। Friday , July 5 , 2013। সংগ্রহের তারিখ 20 আগস্ট 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. "CENSUS 2011 - Provisional Results for Jorhat"। সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৫, ২০১১ 
  3. "About Jorhat - jorhatmycity.com"। jorhatmycity.com। ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৩ 
  4. "JORHAT AT A GLANCE"National Informatics Centre। District Administration, Jorhat.। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৩ 
  5. Srivastava, Dayawanti et al. (ed.) (২০১০)। "States and Union Territories: Assam: Government"। India 2010: A Reference Annual (54th সংস্করণ)। New Delhi, India: Additional Director General, Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting (India), Government of India। পৃষ্ঠা 1116আইএসবিএন 978-81-230-1617-7। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১ 
  6. [১][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Average Rainfall for Jorhat, India
  7. Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Assam"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১১ 
  8. Hazarika, Reneema; Gupta, A. K. (২০০৫)। "Resource Sharing by Hoolock Gibbon (Bunopithecus hoolock) with two primate species in Gibbon Wildlife Sanctuary, Assam, India"Envis: Wildlife and Protected Areas8আইএসএসএন 0972-088X। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৬  |সাময়িকী= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  9. Das, Nabajit; Biswas, J; Das, J.; Ray, P. C.; Sangma, A.; Bhattacharjee, P. C. (২০০৯)। "Status of Bengal Slow Loris Nycticebus bengalensis (Primates: Lorisidae) in Gibbon Wildlife Sanctuary, Assam, India" (পিডিএফ)Journal of Threatened Taxa1 (11): 558–561। আইএসএসএন 0974-7907। ২৮ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  10. Ghosh, Kumud (২০০৭)। "Birds of Hoollongapar Gibbon Sanctuary"Newsletter of Birdwatchers47 (3): 35–40। 
  11. Nandini, Rajamani; Kakati, Kashmira; Ved, Nimesh (২০০৯)। "Occurrence records of the Bengal Slow Loris (Nycticebus bengalensis) in northeastern India" (পিডিএফ)Asian Primates Journal1 (2): 12–18। ৩ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা