আশরাফ উদ্দিন খান

আশরাফ উদ্দিন খান ইমু নিবন্ধের সাথে বিভ্রান্ত হবেন না।

আশরাফ উদ্দিন খান (জন্ম: ১২ জানুয়ারি, ১৯৪৮) বাংলাদেশের নেত্রকোণা জেলার রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন ময়মনসিংহ-১৫ ও নেত্রকোণা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

আশরাফ উদ্দিন খান
ময়মনসিংহ-১৫ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ ১৯৭৯ – ১৯৮২
নেত্রকোণা-৩ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ ১৯৮৮ – ১৯৯০
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম	১২ জানুয়ারি, ১৯৪৮ চকপাড়া, নেত্রকোণা
রাজনৈতিক দল	বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
পিতামাতা	মোজাফ্ফর খান (পিতা)
প্রাক্তন শিক্ষার্থী	নেত্রকোণা সরকারি কলেজ

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

আশরাফ উদ্দিন খান ১৯৪৮ সালে নেত্রকোণা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোজাফ্ফর খান। তিনি ১৯৬৫ সালে আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে ১৯৬৭ সালে নেত্রকোণা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে ১৯৬৯ সালে বিকম পাশ করেন।

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন

আশরাফ উদ্দিন খান নেত্রকোণা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের খেলাধুলা সম্পাদক ও ১৯৬৯ সালে ভিপি ছিলেন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১১নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি নেত্রকোণা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি এবং ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ইউনিট কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭৯ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসাবে নেত্রকোণা-বারহাট্টা নির্বাচনী এলাকা (ময়মনসিংহ-১৫) থেকে প্রথম সংসদ সদস্য হন এবং ১৯৮৮ সালে পুনরায় নেত্রকোণা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। তিনি ১৯৮৮-১৯৯০ মেয়াদে নেত্রকোণা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

১৯৯৭ সালে তিনি প্রথমবার নেত্রকোণা জেলা বিএনপির সভাপতি হন এবং ২০১২ সালে পুনরায় জেলা বিএনপির সভাপতি হন। ১৯৯১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশনিয়ে তিনি পরাজিত হন।