আল জুম'আ মসজিদ
আল জুম'আ মসজিদ (আরবি: مسجد الجمعة), এছাড়াও মসজিদটি বানি সেলিম মসজিদ, আল ওয়াদি মসজিদ, আল গুবাইব মসজিদ বা আতিকাহ মসজিদ হিসাবে পরিচিত, মসজিদটি সৌদি আরবের মদিনা শহরে অবস্থিত। স্থানীয়দের মতে, নবী মুহাম্মাদ এবং তার সাহাবীগণ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের সময় প্রথমবারের মত এই স্থানে জুমার নামাজ আদায় করেছিলেন।
আল জুম'আ মসজিদ مسجد الجمعة | |
---|---|
![]() | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | মদিনা, সৌদি আরব |
স্থাপত্য | |
ভূমি খনন | ৬২২ |
নির্দিষ্টকরণ | |
ধারণক্ষমতা | ৬৫০ জন |
গম্বুজসমূহ | ৩ |
মিনার | ১ |
অবস্থানসম্পাদনা
এটি মদিনা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে, ওয়াদি রানুনার নিকটে, মসজিদে কুবা থেকে ৯০০ মিটার উত্তরে এবং মসজিদে নববী থেকে ৬ কিমি দূরত্বে অবস্থিত।
ইতিহাসসম্পাদনা
ইসলামের নবী মুহাম্মদ ও তার মুহাজিরগন (হিজরতের সঙ্গীরা) মক্কা থেকে মদীনা পর্যন্ত হিজরতের পথে, হিজরি (ইসলামি বর্ষপঞ্জি) ১ম বর্ষের রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ, সোমবার, চার দিনের জন্য কুবা অঞ্চলে কাফেলা থামিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে তারা পুনরায় মদিনার পথে যাত্রা শুরু করেন এবং ওয়াদি রানুনা অঞ্চলে কাফেলা থামিয়ে সেখানে জুমার নামাজ আদায় করেছিলেন। এ অঞ্চলটিকে আজও 'জুমাহ' বলে উল্লেখ করা হয়।
ভিত্তিসম্পাদনা
মসজিদটি সর্বপ্রথম পাথুরে শিলা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, পরে বেশ কয়েকবার ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ও সংস্কার করা হয়। সংস্কারের পূর্বে মসজিদটির দৈর্ঘ্য ছিল ৮ মিটার, প্রস্থে সাড়ে চার মিটার এবং লম্বায় ৫.৫ মিটার। এবং একমাত্র গম্বুজটি ছিল লাল ইট দ্বারা নির্মিত। পূর্ব অংশের সাথে ৮ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৬ মিটার প্রস্থ সহ একটি উঠান ছিল। ১৯৮৮ সালে বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজের নেতৃত্বে সৌদি সরকারের আওকাফ মন্ত্রণালয়ের পুরাতন অংশ ধ্বংস করে একটি নতুন অংশ নির্মাণে করেন, যেখানে ইমাম এবং মুয়াজ্জিন এর থাকার জন্য একটি বাসভবন, একটি গ্রন্থাগার, তাহফিদজ আল কুরআন নামে একটি মাদ্রাসা , একটি মহিলাদের জন্য প্রার্থনার ঘর এবং একটি বাথরুম নির্মাণ করেন।[১] ৬৫০ জন তীর্থযাত্রীর ধারণক্ষমতা সম্পন্ন, একটি প্রধান গম্বুজ এবং চারটি ছোট গম্বুজ নিয়ে নির্মিত মসজিদটি ১৯৯১ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
সংস্কারের সময়রেখাসম্পাদনা
- দ্বিতীয় সংস্কারটি উমাইয়া খলিফা ,দ্বিতীয় উমর দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
- তৃতীয় সংস্কারটি আব্বাসীয় খিলাফতের সময়ে ৭৩৪ থেকে ৭৪৮ সালের মধ্যে পরিচালিত হয়েছিল।
- চতুর্থ সংস্কারটি চৌদ্দ শতকের সময় সায়ামসুদ্দিন কাওয়ান পরিচালনা করেছিলেন।
- উসমানীয় সাম্রাজ্যের আমলে সংস্কারের নেতৃত্বে ছিলেন সুলতান বায়েজিদ ।
- উনিশ শতকের মাঝামাঝি সংস্কারের নেতৃত্বে ছিলেন সাইয়্যেদ হাসান আসি-সিয়ারবাটলি ।