অর্যমা
অর্যমা (সংস্কৃত: अर्यमन्, আইএএসটি: Āryaman) হল একজন বৈদিক দেবতা এবং আদিত্যদের একজন।[১] তার নাম "জীবন-সঙ্গী", "ঘনিষ্ঠ বন্ধু", "অংশীদার" বা "সঙ্গী" বোঝায়।[২] তিনি আদিত্যের মা অদিতির তৃতীয় পুত্র এবং মধ্য সকালের সূর্যের চাকতি হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। তিনি রীতিনীতির দেবতা, এবং বিভিন্ন বৈদিক উপজাতি ও জনগণকে শাসন করে এমন রীতিনীতির উপর শাসন করেন।[৩]
অর্যমা | |
---|---|
আচারের দেবতা; অশ্বা ও আকাশগঙ্গা ছায়াপথের রক্ষাকারী | |
গ্রহ | সূর্য |
মাতাপিতা | অদিতি |
ঋগ্বেদে, অর্যমাকে ঘোড়ার রক্ষক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, এবং আকাশগঙ্গা ছায়াপথকে তার পথ বলা হয়েছে।[২] অর্যমাকে সাধারণত বরুণ-মিত্র, ভগ, বৃহস্পতি এবং অন্যান্য আদিত্য ও অসুরদের সাথে একত্রে ডাকা হয়।[২] গ্রিফিথের মতে, ঋগ্বেদ আরও পরামর্শ দেয় যে মিত্র ও বরুণের পাশাপাশি অর্যমা একজন সর্বোচ্চ দেবতা।[৪] ঋগ্বেদ অনুসারে, ইন্দ্র, যাকে ঐতিহ্যগতভাবে ঋগ্বেদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেবতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তাকে অর্যমার কাছ থেকে বর ও উপহার পেতে বলা হয়।[৫] হিন্দু বিবাহের শপথ অনুষ্ঠানের সাক্ষী হওয়ার জন্য অর্যমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।[৬][৭][৩] অর্যমাও আতিথেয়তার প্রথার দেবতা।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Arthur Berriedale Keith (১৯৮৯)। The Religion and Philosophy of the Veda and Upanishads। Motilal Banarsidass Publishe। পৃষ্ঠা 99–। আইএসবিএন 978-81-208-0645-0।
- ↑ ক খ গ Monier-Williams Sanskrit Dictionary
- ↑ ক খ গ Stephanie Jamison (২০১৫)। The Rigveda –– Earliest Religious Poetry of India। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 44। আইএসবিএন 978-0190633394।
- ↑ (The Hymns of the Rig Veda)
- ↑ Veda Book 4 Hymn 30)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ वैदिक विवाह और विवाहित जीवन (Vedic weddings and married life), रामशरण वशिष्ठ, ... १४-२-१३--मेरी इस शुभ नारी को धाता प्रजा दे । इसे अर्यमन, मग, अश्विन, प्रजापति, सब प्रजा वाली करें। इसकी संतान बढ़े। ...
- ↑ हिन्दी कथा-कोष: प्राचीन हिन्दी साहित्य में व्यवहारता नामों तथा पौराणिक अंतरकथाओं का संदर्भ ग्रन्थ (Hindi Myth Treasury), धीरेन्द्र वर्मा, हिन्दुस्तानी एकेडमी, 1974, ... अर्यमन - १. एक वैदिक देवता जो विश्वदेवों में से एक हैं। २. कश्यप तथा अदिति के पुत्र पितृगण में प्रमुख हैं। ३. द्वादह आदित्यों में से एक जो वैशाख मास में उदय होते हैं और जिनकी किरणों की संख्या ३०० मानी जाती है।