আর্চি ওয়াইলস

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার

চার্লস আর্চিবল্ড ওয়াইলস (ইংরেজি: Archie Wiles; জন্ম: ১১ আগস্ট, ১৮৯২ - মৃত্যু: ৪ নভেম্বর, ১৯৫৭) বার্বাডোসের ব্রিজটাউন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৩ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]

আর্চি ওয়াইলস
১৯৩৩ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে আর্চি ওয়াইলস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামচার্লস আর্চিবল্ড ওয়াইলস
জন্ম(১৮৯২-০৮-১১)১১ আগস্ট ১৮৯২
ব্রিজটাউন, বার্বাডোস
মৃত্যু২ নভেম্বর ১৯৫৭(1957-11-02) (বয়স ৬৫)
দিয়েগো মার্টিন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৩৫)
২২ জুলাই ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯১৯/২০ - ১৯৩৫/৩৬ত্রিনিদাদ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৮
রানের সংখ্যা ১,৭৬৬
ব্যাটিং গড় ১.০০ ২৭.৫৯
১০০/৫০ ০/০ ২/৬
সর্বোচ্চ রান ১৯২
বল করেছে - -
উইকেট - -
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং -/- -/-
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/- ৭/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ এপ্রিল ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন আর্চি ওয়াইলস। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯১৯-২০ মৌসুম থেকে ১৯৩৫-৩৬ মৌসুম পর্যন্ত আর্চি ওয়াইলসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। খাঁটিমানের ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন আর্চি ওয়াইলস। মহান যুদ্ধের পর প্রায় দেড় দশক ত্রিনিদাদের পক্ষে বর্ণাঢ্যময় খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। তার ব্যাটিংয়ের কল্যাণে ১৯৩১-৩২ মৌসুমে ত্রিনিদাদ দল আন্তঃঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করতে সক্ষম হয়।

কার্যকরী মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন আর্চি ওয়াইলস। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে চমৎকারভাবে ব্যাট হাতে ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন। ১৯২০ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন তিনি।

বার্বাডোসে জন্মগ্রহণ করলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ত্রিনিদাদের পক্ষে ক্যারিবীয় অঞ্চলের সাংবার্ষিক আন্তঃঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছয়টি অর্ধ-শতরানের ইনিংসসহ দুইটি শতরানের ইনিংস খেলেছেন। ফেব্রুয়ারি, ১৯২৫ সালে ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে ব্রিটিশ গায়ানার বিপক্ষে ১১০ রান সংগ্রহ করেন। এর দুই বছর পর ব্রিজটাউনে বার্বাডোসের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৯২ রান তুলেন। অসীম সময়ের ঐ খেলাটি আটদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্যায়ে জো স্মলের সাথে চতুর্থ উইকেটে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে দলের সংগ্রহ ৫৫৯ রানে নিয়ে যান ও দলকে ৩৮৪ রানে এগিয়ে দেন। তাসত্ত্বেও, বার্বাডোস দল ১৪৬ রানে জয় তুলে নেয়।[২]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন আর্চি ওয়াইলস। ২২ জুলাই, ১৯৩৩ তারিখে ম্যানচেস্টারে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

প্রায় ৪১ বছর বয়সে মাঠে নেমে তিনি তার স্বর্ণালী সময় ফেলে এসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নামেন। অদ্যাবধি ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দ্বিতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকধারীর মর্যাদা লাভ করে আসছেন। ১৯৩৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেককালীন তার বয়স ছিল ৪০ বছর ৩৪৫ দিন। কেবলমাত্র নেলসন বেটানকোর্ট ১৯৩০ সালে ৪২ বছর ২৪২ দিন বয়স নিয়ে তার তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন।[৩]

ঘরোয়া ক্রিকেটে চমৎকার সফলতা লাভ করলেও বড় ধরনের আসরে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের দ্বিতীয় ও নিজস্ব একমাত্র টেস্টে ও ২ রান তুলতে পেরেছিলেন তিনি।[৪]

৪ নভেম্বর, ১৯৫৭ তারিখে ৬৫ বছর বয়সে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো’র দিয়েগো মার্টিন এলাকায় আর্চি ওয়াইলসের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Archie Wiles"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  2. "Barbados v Trinidad 1926-27"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  3. Wisden 2016, p. 1317.
  4. "2nd Test, West Indies tour of England at Manchester, Jul 22-25 1933"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৮ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা