আরতি অঙ্কলিকর-টিকেকর

ভারতীয় গায়িকা

আরতি অঙ্কলিকর-টিকেকর (জন্ম ২৭ জানুয়ারি ১৯৬৩) হলেন একজন হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পীনেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী[১] তিনি মূলত মারাঠি, কঙ্কনিহিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে গান করে থাকেন। তিনি তাঁর উচ্চগ্রাম গায়কী ও ধরনের জন্য সুপরিচিত। তিনি শ্যাম বেনেগলের সরদারী বেগম (১৯৯৬) চলচ্চিত্রের প্রধান নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। তিনি কঙ্কনি ভাষার অন্তরনাদ (২০০৬) চলচ্চিত্র এবং মারাঠি ভাষার সংহিতা (২০১৩) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে দুইবার শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি দে ধাক্কা (২০০৮) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে একবার মহারাষ্ট্র রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

আরতি অঙ্কলিকর-টিকেকর
आरती अंकलीकर-टिकेकर
আরতি অঙ্কলিকর-টিকেকর
জন্ম
আরতি অঙ্কলিকর

(1963-01-27) ২৭ জানুয়ারি ১৯৬৩ (বয়স ৬১)
কর্মজীবন১৯৭৫-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীউদয় টিকেকর
সন্তানস্বানন্দী টিকেকর
সঙ্গীত কর্মজীবন
উদ্ভবমুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত
ধরনহিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত, নেপথ্য সঙ্গীত
পেশা
ওয়েবসাইটaratiankalikar.com

আরতি চলচ্চিত্রের পাশাপাশি অডিও ক্যাসেট ও সিডি রেকর্ডিং-এর জন্য গান করে থাকেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলি হল তেজোমায় নেদব্রহ্মরাগ-রং। তাঁর স্বামী চলচ্চিত্র অভিনেতা উদয় টিকেকর এবং কন্যা একজন অভিনেত্রী স্বানন্দী টিকেকর

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

আরতি ১৯৬৩ সালের ২৭শে জানুয়ারি কর্ণাটক রাজ্যের বিজাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতামাতা পেশাদার না হলেও হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতে আগ্রহী ছিলেন। শৈশবে তিনি নার্সারি ছড়া আবৃতি করতেন এবং মায়ের নিকট থেকে গান শিখতেন। ছয় বছর বয়সে তিনি তাঁর প্রথম সঙ্গীত শিক্ষক বিজয়া জোগলেকরের নিকট সঙ্গীত শিক্ষা শুরু করেন। তাঁর পরবর্তী সঙ্গীত গুরু ছিলেন বসন্তরাও কুলকার্নি। সঙ্গীতে তাঁর দক্ষতা বাড়তে থাকলে তিনি তাঁর পরবর্তী গুরু কিশোরী আমনকরের নিকট শিক্ষা গ্রহণ করেন। দশম শ্রেণিতে থাকাবস্থায় তিনি সঙ্গীতেই কর্মজীবন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

আরতি শ্যাম বেনেগলের সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র সরদারী বেগম (১৯৯৬)-এ প্রধান নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে কণ্ঠ প্রদান করেন। ২০০৬ সালে একজন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞের জীবনী-ভিত্তিক রাজেন্দ্র তলকের কঙ্কনি ভাষার অন্তরনাদ চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[২] অঞ্জলি মারাঠের পর তিনি পুনের দ্বিতীয় গায়িকা হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন।[৩] তিনি দে ধাক্কা (২০০৮) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে মহারাষ্ট্র রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৩ সালে সুমিত্রা ভবে'র মারাঠি ভাষার সংহিতা চলচ্চিত্রের "পালকেঁ না মুন্ডোঁ" গানে কণ্ঠ দিয়ে দ্বিতীয়বার শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[৩]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

আরতি মারাঠি অভিনেতা উদয় টিকেকরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের কন্যা স্বানন্দী টিকেকর একজন অভিনেত্রী।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ধর্মপুরি, মেঘনা (৮ মে ২০১৮)। "Classical Musings: Sitting Down with Arati Ankalikar Tikekar"দ্য মিট পোস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০২০ 
  2. "Directorate of Film Festival" (পিডিএফ)iffi.nic.in (হিন্দি ভাষায়)। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  3. রেগে, ওমকর (১৯ মার্চ ২০১৩)। "Pune's Arati Ankalikar-Tikekar bags National Award for second time"ডেইলি নিউজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০২০ 
  4. "Ganpati Visarjan: Swanandi Tikekar plays lezim with her family - Times of India"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা