আবুল হোসেন (লালমনিরহাটের রাজনীতিবিদ)

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

আবুল হোসেন (আনু. ১৯৩৫ – ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬) বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি তৎকালীন রংপুর-১৪লালমনিরহাট-৩ আসনের সাংসদ ছিলেন।

আবুল হোসেন
রংপুর-১৪ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ মার্চ ১৯৭৩ – ৬ নভেম্বর ১৯৭৫
পূর্বসূরীআসন প্রতিষ্ঠিত
উত্তরসূরীতাজুল ইসলাম চৌধুরী
লালমনিরহাট-৩ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ মে ১৯৮৬ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৮৭
পূর্বসূরীআসন প্রতিষ্ঠিত
উত্তরসূরীরিয়াজ উদ্দিন আহমেদ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মআনু. ১৯৩৫
মৃত্যু১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ (বয়স ৮১)
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
প্রাক্তন শিক্ষার্থীজগন্নাথ কলেজ
লালমনিরহাট কলেজ
লালমনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

আবুুল হোসেন ৪ এপ্রিল ১৯৩৫ সালে লালমনিরহাটের নামাটারি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কছিম উদ্দিন এবং মাতা মোছাঃ আছমা খাতুন। ১৯৫৩ সালে তিনি লালমনিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (মডেল হাই স্কুল) থেকে প্রবেশিকা, জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং লালমনিরহাট কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।

রাজনৈতিক জীবন

সম্পাদনা
 
পতাকা হাতে আবুল হোসেন

আবুল হোসেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান গণপরিষদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।[] তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[] লালমনিরহাট জেলার ভৌগোলিক সীমানা থেকে সংগঠকের মহান দায়িত্ব পালন করেছিলেন- লালমনিরহাট থানার আবুল হোসেন। ১৫ই মার্চ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে আবুল হোসেনকে আহবায়ক করে গড়ে তোলা হয় সর্বদলীয় স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদের লালমনিরহাট থানা শাখা। প্রথম অবস্থায় এ পরিষদের অন্যান্য সদস্যগণ ছিলেন কমরেড চিত্তরঞ্জন দেব, আবদুল কুদ্দুছ, কমরেড শামসুল হক, কাজী মোসলেম উদ্দিন, ছাত্রনেতা মোঃ শহীদুল্লাহ প্রমূখ। স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদের কন্ট্রোলরুম স্থাপিত হয় গোশালা রোড সংলগ্ন বর্তমান পাটোয়ারী ভবনে। কেন্দ্রীয় পরিষদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য তৎকালীন এম.পি.এ আবুল হোসেনের ব্যবহৃত টেলিফোন সেটটি (নং-১০) এখানে স্থানান্তরিত হয়। ২৩শে মার্চ প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ডাকে বিকেল ৩ টায় খোর্দ্দসাপটানার তৎকালীন জিন্নাহ মাঠে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশাল এ জনসভায় বক্তব্য রাখেন তৎকালীন এম.পি.এ আবুল হোসেন, কমরেড চিত্তরঞ্জন দেব, আবদুল কুদ্দুছ প্রমূখ। এ জনসভায় সর্বসম্মতিক্রমে জিন্নাহ মাঠের নাম পরিবর্তন করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মাঠ নামকরণ করা হয়।

দেশ স্বাধীনের পর তিনি ১৯৭৩ সালে রংপুর-১৪ আসনের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন।[] এরপর, ১৯৮৬ সালে তিনি লালমনিরহাট-৩ আসনের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[]

তিনি লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং পর পর তিনবার চেম্বারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি দু’বার এফবিসিসিআই এর পরিচালনা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সর্বোচ্চ পদ ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন।

মৃত্যু

সম্পাদনা

আবুল হোসেন ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর ৮১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[][][]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক এমপি আবুল হোসেন-এর ইন্তেকাল রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন"লালমনিরহাট বার্তা। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬। ৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 
  2. "সাবেক এমপি আবুল হোসেনের মৃত্যুতে ডেপুটি স্পিকারের শোক"বাংলানিউজ২৪.কম। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬। ২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 
  3. "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  5. "লালমনিরহাট জেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেনের ইন্তেকাল"ইনকিলাব। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 
  6. "সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন আর নেই"বাংলা ট্রিবিউন। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬। ২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 
  7. "সাংসদ আবুল হোসেনকে স্মরণ"প্রথম আলো। ২২ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০