আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স
আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স বাংলাদেশের সিলেট জেলায় অবস্থিত একটি বহুক্রীড়া আয়োজন ও প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স। ২০১৪ সালের নভেম্বর হতে সিলেট শহরের মাছিমপুর এলাকায় কমপ্লেক্সটি চালু করা হয়।[১] সাঁতার, ব্যাডমিন্টন, কাবাডি, ফুটবল, হ্যান্ডবল, লং টেনিস খেলার সুবিধা সম্পন্ন, কমপ্লেক্সটি জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের ক্রীড়ানুষ্ঠান ছাড়াও বেসরকারী ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং স্বাস্থ্যজনিত সেবাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। এটি ২০২১ পর্যন্ত বাংলাদেশের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে নির্মিত ৬ টি ক্রীড়া কমপ্লেক্সের অন্যতম।[২] এটি স্থানীয় সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্বাবধায়নে রয়েছে।[৩]
প্রাক্তন নাম | সিলেট জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স |
---|---|
ঠিকানা | সিলেট বাংলাদেশ |
অবস্থান | মাছিমপুর |
স্থানাঙ্ক | ২৪°৫৩′০৭.৬০″ উত্তর ৯১°৫২′৪৪.৭০″ পূর্ব / ২৪.৮৮৫৪৪৪৪° উত্তর ৯১.৮৭৯০৮৩৩° পূর্ব |
সুবিধাসমূহ | সুইমিংপুল, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, কাবাডি কোর্ট, ফুটবল মাঠ, হ্যান্ডবল কোর্ট, লং টেনিস কোর্ট, ব্যায়ামাগার, আবাসিক হোস্টেল |
পার্কিং | হ্যাঁ |
মালিক | জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ |
পরিচালক | সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা |
বর্তমান ব্যবহার | ক্রীড়ানুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান |
প্রযোজক | বাংলাদেশ সরকার |
নির্মাণ | |
ভাঙন স্থল | ৪ এপ্রিল ২০১৩ |
নির্মাণ | ২০১৩-২০১৪ |
চালু হয়েছে | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ |
কার্যকাল | ২০১৪ - বর্তমান |
নির্মাণ ব্যয় | ৳ ২৫ কোটি |
ইতিহাস
সম্পাদনাজাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স নামে এটির নির্মাণ করে।[৪] ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল নির্মাণ কাজ শুরু হয়।[৫] ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর উদ্বোধন করা হয়।[১] ২০১৫ সালের ১৬ জুন কমপ্লেক্সটির নাম পরিবর্তন করে আবুল মাল আবদুল মুহিতের নামে নামকরণ করা হয়।[৩][৪] ২০২০ সালে কোভিড-১৯ এব বৈশ্বয়িক মহামারী'র সময় কমপ্লেক্সটি নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র[৬] এবং পরবর্তীতে সঙ্গ নিরোধ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়েছিল।[৭]
ক্রীড়া স্থাপনা
সম্পাদনাক্রীড়া কমপ্লেক্সটি মূলত ইনডোর খেলা আয়োজন ও প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষায়িত, তবে আউটডোর খেলা হিসেবে একটি ফুটবল অন্তর্ভূক্ত। সম্পূর্ণ কমপ্লেক্স খেলার জন্য ব্যাডমিন্টন কোর্ট, কাবাডি কোর্ট, ফুটবল মাঠ, হ্যান্ডবল কোর্ট, লং টেনিস কোর্ট আছে, এছাড়াও ব্যায়ামাগার, খেলোয়াড়দের জন্য আবাসিক হোস্টেল, অভ্যন্তরীণ সড়ক এটির অন্তর্গত।[৩]
আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স | |
---|---|
২৪°৫৩′০৭″ উত্তর ৯১°৫২′৪২″ পূর্ব / ২৪.৮৮৫৩০০° উত্তর ৯১.৮৭৮৩৫৩° পূর্ব | |
খোলা | ১ মার্চ ২০১৭ |
পরিচালনায় | সিলেট সুইমিং ক্লাব |
অবস্থা | সক্রিয় |
দৈর্ঘ্য | ৫০ মিটার |
প্রস্থ | ২০ মিটার |
বৈশিষ্ট্য | |
৮ লেনের সুইমিংপুল |
সুইমিংপুল
সম্পাদনাকমপ্লেক্সের সুইমিংপুলটি আন্তর্জাতিক মানের। আট লেন বিশিষ্ট খোলা আকাশের নিচে উম্মুক্ত পুলটির দুপাশে দর্শক বসার গ্যালারী আছে। এটির দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার এবং প্রস্থ ২০ মিটার। নির্মাণের পর অব্যবহৃত থাকলেও ২০১৭ সালে এটি সক্রিয় হয়। সচল করার উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালের ১ মার্চ হতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সুইমিংপুলটির রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহারের দায়িত্ব ৫ বছরের জন্য বেসরকারি সংস্থা সিলেট সুইমিং ক্লাবকে দেয়। নিয়মিত সাঁতারু ছাড়াও এটি সাধারণ নাগরিকদের সাঁতার শেখা ও প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার হচ্ছে।[৮]
আয়োজন
সম্পাদনা৩৩তম জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ এই কমপ্লেক্সের প্রথম ক্রীড়ানুষ্ঠান হিসেবে ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর আয়োজিত হয়েছিল।[১] ২০১৬ সালে কমপ্লেক্সের ব্যায়ামাগারে সিলেটের প্রথম আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতা হয়।[৯] ২০১৮ সালের বাংলাদেশ যুব গেমসের সিলেট বিভাগের খেলাগুলির জন্য সিলেটে জেলা স্টেডিয়ামের সাথে এই কমপ্লেক্সটি যৌথ ভেন্যু ছিল।[১০] একইবছর সেপ্টেম্বরে জাতীয় উশু চ্যাম্পিয়নশিপ হয়।[১১] ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা হয়।[১২]
জাতীয় ও আঞ্চলিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ব্যাতীত কমপ্লেক্সের মাঠটি বেসরকারী ও ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।[১৩] ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হতে দশ দিন ব্যাপি এখানে 'মানবিক সাধনায় বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসব' হয়।[১৪][১৫] ২০১৮ সালে এখানে ‘রোড টু সেভেনথ মার্চ কনসার্ট’ হয়েছে।[১৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "উদ্বোধন হলো সিলেট জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০১৪-১১-১৩। ২০২২-০৩-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৭।
- ↑ "সকল ক্রীড়া কমপ্লেক্স"। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ "সিলেট ক্রীড়া কমপ্লেক্স এখন মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স"। সিলেটটুডে২৪.নিউজ। ২০১৫-০৬-১৬। ২০২১-১০-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৭।
- ↑ ক খ ইসলাম, রফিকুল (২০১৫-০৬-১৫)। "অর্থমন্ত্রীর নামে হচ্ছে সিলেট জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স"। রাইজিংবিডি.কম। ২০২২-০৩-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৭।
- ↑ "সিলেট ক্রীড়া কমপ্লেক্সের দায়িত্বে জেলা ক্রীড়া সংস্থা!"। দৈনিক যুগান্তর। ২০১৪-০৪-০৬। ৮ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৭।
- ↑ "সিলেটে বিদেশযাত্রীদের করোনার টেস্ট শুরু বৃহস্পতিবার"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০২০-০৭-২৩। ২০২২-০৩-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৭।
- ↑ "আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স আইসোলেশন সেন্টারের জন্য নির্ধারিত"। সিলেট বাংলা নিউজ। ২০২০-০৬-১০। ২০২২-০৩-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৮।
- ↑ আল রনি, কাইয়ুম (২০১৭-০৪-০৫)। "অবশেষে পানির 'ছোঁয়া' পেলো' মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের সুইমিংপুল"। এসএনপিস্পোর্টস২৪.কম। ২০২২-০৩-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৭।
- ↑ "সিলেটে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতা ২০১৬' র সমাপণী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান"। সিলেট মিডিয়া.কম। ২০১৬-০২-২০। ২০২০-১০-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৮।
- ↑ "যুব গেমসের বিভাগীয় পর্বে তিন হাজার ক্রীড়াবিদ"। দৈনিক যুগান্তর। ২০১৮-০১-০৮। ২০২২-০৩-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৮।
- ↑ সম্রাট, হুমায়ুন (২০১৮-০৭-০১)। "সেপ্টেম্বরে "আবুল মাল আব্দুল মুহিত মিনিস্টার কাপ জাতীয় উশু চ্যাম্পিয়নশিপ""। স্পোর্টস লাইফ। ২০২২-০৩-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৮।
- ↑ ডেস্ক।, ক্রীড়া। "বঙ্গবন্ধু চ্যাম্পিয়নশিপে সিলেটের শুভ সূচনা"। beanibazarnews24.com। ২০২২-০৩-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৮।
- ↑ "মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেটে ইবনে সিনা আন্তঃবিভাগ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন"। দৈনিক সংগ্রাম। ২০১৯-১২-০১। ২০২২-০৩-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৮।
- ↑ "উৎসবের আলোয় রাঙা সিলেট"। প্রথম আলো। ২০১৭-০২-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সিলেটে পর্দা উঠলো বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসবের"। জাগো নিউজ। ২০১৭-০২-২২। ২০২২-০৩-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৮।
- ↑ "চতুর্থ 'জয় বাংলা কনসার্ট' ও প্রথম ঢাকার বাইরে"। চ্যানেল আই অনলাইন। ২০১৮-০৩-০২। ২০২২-০৩-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০৮।