আবার প্রলয়
রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ওয়েব ধারাবাহিক
আবার প্রলয় ২০২৩ সালের অপরাধ রোমাঞ্চকরধর্মী বাংলা ওয়েব ধারাবাহিক। এটির গল্প লিখেছেন এবং এটি পরিচালনা করেছেন রাজ চক্রবর্তী (এই ধারাবাহিকটির মাধ্যমে তিনি ওয়েব ধারাবাহিকে আত্মপ্রকাশ করেন)। রাজ চক্রবর্তী এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে ধারাবাহিকটি প্রযোজনা করেছেন রাজ চক্রবর্তী এবং তার স্ত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, গৌরব চক্রবর্তী এবং সোহিনী সেনগুপ্ত ধারাবাহিকটিতে মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ধারাবাহিকটি রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ২০১৩ সালের বাংলা চলচ্চিত্র প্রলয়-এর স্পিন-অফ। ধারাবাহিকটি ১১ আগস্ট ২০২৩-এ জি৫ এ মুক্তি পায়।[১][২][৩][৪][৫][৬]
| আবার প্রলয় | |
|---|---|
.jpg) | |
| ধরন | অপরাধ রোমাঞ্চ |
| লেখক | রাজ চক্রবর্তী |
| পরিচালক | রাজ চক্রবর্তী |
| সৃজনশীল পরিচালক | সোহিনী দাসগুপ্ত |
| অভিনয়ে | |
| সুরকার | অমিত চট্টোপাধ্যায় |
| মূল দেশ | ভারত |
| মূল ভাষা | বাংলা |
| মৌসুমের সংখ্যা | ১ |
| পর্বের সংখ্যা | ১০ (পর্বের তালিকা) |
| নির্মাণ | |
| নির্বাহী প্রযোজক | মিমিও হাজরা |
| প্রযোজক | শুভশ্রী গাঙ্গুলী রাজ চক্রবর্তী |
| নির্মাণের স্থান | কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ |
| চিত্রগ্রাহক | মানস গঙ্গোপাধ্যায় |
| সম্পাদক | এমডি. কালাম |
| নির্মাণ কোম্পানি | রাজ চক্রবর্তী এন্টারটেইনমেন্ট |
| মুক্তি | |
| মূল নেটওয়ার্ক | জি৫ |
| মূল মুক্তির তারিখ | ১১ আগস্ট ২০২৩ |
অভিনয়ে সম্পাদনা
- পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় – বিনোদ বিহারী
- শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় – অনিমেষ দত্ত [৭]
- ঋত্বিক চক্রবর্তী – শম্ভু বাবা
- জুন মালিয়া – ইন্দ্রাণী
- কৌশানী মুখোপাধ্যায় – মোহিনী মা
- গৌরব চক্রবর্তী – কানু
- সোহিনী সেনগুপ্ত – মাধবী
- পার্থ ভৌমিক – পুলিশ ইন্সপেক্টর
- নুসরাত ফারিয়া
- সায়নী ঘোষ
- দেবাশীষ মন্ডল
- লোকনাথ দে
পর্বের তালিকা সম্পাদনা
| নং. | শিরোনাম | পরিচালক | লেখক | মূল মুক্তির তারিখ | |
|---|---|---|---|---|---|
| ১ | "ক্যাওড়া" | রাজ চক্রবর্তী | রাজ চক্রবর্তী | ১১ আগস্ট ২০২৩ | |
| কর্তৃপক্ষ ঘটনাচক্রে একদল অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে পাচারের হাত থেকে উদ্ধার করে। এরপর তারা বিশেষ অপরাধ শাখার কর্মকর্তা অনিমেষ দত্তকে নারী পাচারচক্রের হদিশ বের করতে সুন্দরবনে পাঠায়। | |||||
| ২ | "হুজ্জাতি" | রাজ চক্রবর্তী | রাজ চক্রবর্তী | ১১ আগস্ট ২০২৩ | |
| সুন্দরবনে অনিমেষ বর্তমানে পাচারের হাত থেকে দুগ্গা নামে এক কিশোরীকে উদ্ধার করছেন। পরে তিনি তাকে সাহায্যের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। এদিকে, হুজ্জারা, তাদের বসের আদেশমত নতুন অফিসারকে শায়েস্তা করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করে। | |||||
| ৩ | "হ্যালো বাবা" | রাজ চক্রবর্তী | রাজ চক্রবর্তী | ১১ আগস্ট ২০২৩ | |
| অনিমেষ, সন্ন্যাসী শম্ভু বাবা এবং তাঁর সঙ্গী মোহিনী মা'র নেতৃত্বে আশ্রমে যান। একই সময়ে, তিনি হুজ্জাদের ধরার পরিকল্পনা করতে থাকেন। এদিকে একটি নতুন মেয়ে নিখোঁজ হয়। | |||||
| ৪ | "ইস্পেশাল দত্ত ইন ডেঞ্জার" | রাজ চক্রবর্তী | রাজ চক্রবর্তী | ১১ আগস্ট ২০২৩ | |
| এক হুজ্জা ছেলেকে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে, তারা অনিমেষকে এই হত্যার জন্য সন্দেহ করে। এদিকে, হাসপাতালের এক নার্স জানতে পারে যে তার ভাই পিন্টু একজন হুজ্জা সদস্য এবং মানব পাচারের সাথে জড়িত। | |||||
| ৫ | "মার গাঁড়িয়েছে" | রাজ চক্রবর্তী | রাজ চক্রবর্তী | ১১ আগস্ট ২০২৩ | |
| অনিমেষ আবিষ্কার করে এই নির্মম ঘটনার পিছনে কানু জড়িত । হুজ্জারা যখন হাসপাতাল থেকে দুগ্গাকে অপহরণ করতে যায়, তখন এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের মারধর করে এবং দুগ্গাকে বাঁচায়। পরে উদ্ধারে আসা ব্যক্তির আসল পরিচয় জানতে পেরে অনিমেষ অবাক হয়ে যায়। | |||||
| ৬ | "কান টানলে কানু" | রাজ চক্রবর্তী | রাজ চক্রবর্তী | ১১ আগস্ট ২০২৩ | |
| অনিমেষ আবিষ্কার করে যে একজন ভয়ংকর অপরাধী হিসাবে কানুর অতীত ইতিহাস রয়েছে। কানুকে আটক করা গোয়েন্দার সাথে তার কথোপকথন হয়। আশ্রমের প্রাঙ্গণে, শম্পা বাবার কাছে স্বীকার করেন যে পিন্টু হুজ্জার সাথে যুক্ত। এদিকে দুঃখজনকভাবে পারুলের মৃতদেহ আবিষ্কৃত হয়। | |||||
| ৭ | "শিরে সংক্রান্তি" | রাজ চক্রবর্তী | রাজ চক্রবর্তী | ১১ আগস্ট ২০২৩ | |
| বিনোদ বিহারী অনিমেষের সাথে পাচার থেকে বেঁচে যাওয়া মালতির সাথে দেখা করতে যান। পারুলের মতো মালতীর মুখে ঝখমের চিহ্ন ছিল। মালতীকে যখন এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন পারুল আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে এবং 'হায়েনা' শব্দটি উচ্চারণ করে। এদিকে, জলাভূমির পরিস্থিতি তীব্রতর ধারণ করে। | |||||
| ৮ | "খেলা হবে" | রাজ চক্রবর্তী | রাজ চক্রবর্তী | ১১ আগস্ট ২০২৩ | |
| শম্পা ও পিন্টু রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়। অনিমেষ কানু, পিন্টু এবং হুজ্জা গ্রুপের বাকিদের ধরার জন্য একটি অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশ সফলভাবে এক হুজ্জাকে গ্রেপ্তার করে। অনিমেষ কানু সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়। | |||||
| ৯ | "পাইন মারাবেন না" | রাজ চক্রবর্তী | রাজ চক্রবর্তী | ১১ আগস্ট ২০২৩ | |
| অনিমেষ এবং তার দল ভয়ংকর তৃণভূমিতে যাত্রা করে, তবে কোনও প্রমাণ খুঁজে পায় না। পরিতোষ এবং কানুকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কানু রতনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ও হত্যার অভিযোগ এনে পরিতোষকে দোষারোপ করে। ঘটনাক্রমে কানু পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যায়। | |||||
| ১০ | "ধর ব্যাটাকে, মার সালাকে!" | রাজ চক্রবর্তী | রাজ চক্রবর্তী | ১১ আগস্ট ২০২৩ | |
| অনিমেষ তার দলকে ভুতুড়ে তৃণভূমিতে নিয়ে যায় এবং শম্পা এবং পিন্টু উভয়কেই সফলভাবে ধরে। পরে তারা ঘটনার জন্য দায়ী অপরাধীকে ধরতে সক্ষম হয়। | |||||
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "রাত ২টো ৪১! রাজ চক্রবর্তীর সেটে 'সাদা-কালা..' গেয়ে 'হাওয়া' গরম করলেন নুসরত"। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ২০২৩-০৩-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১২।
- ↑ Acharya, Anindita (২০২২-১২-১৬)। "Raj Chakraborty Announces 'Abar Proloy' With Saswata & Saayoni"। www.millenniumpost.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১২।
- ↑ "Abar Proloy Teaser: আসছে 'আবার প্রলয়', টিজারমুক্তির দিনক্ষণ জানালেন পরিচালক"। ইটিভি ভারত। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১২।
- ↑ "First glimpse of Raj Chakraborty's debut web series 'Abar Proloy' receives a mixed response"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ২০২৩-০৭-০৩। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১২।
- ↑ ডেস্ক, আনন্দবাজার অনলাইন। "তামিল ছেড়ে এ বার হিন্দির 'কপি'! 'আবার প্রলয়'-এর ঝলক দেখে রাজের সমালোচনায় রাহুল"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১২।
- ↑ "Director Raj Chakraborty starts shooting for 'Abar Proloy'"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ২০২৩-০১-১৬। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১২।
- ↑ "Dev, Rukmini and Srijit come together for a mystery project"। www.telegraphindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১২।