অ্যান্ডি পাইক্রফট

জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটার

অ্যান্ড্রু জন পাইক্রফট (ইংরেজি: Andy Pycroft; জন্ম: ৬ জুন, ১৯৫৬) সলিসবারিতে (বর্তমান: হারারে) জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম ব্যাটসম্যান অ্যান্ডি পাইক্রফট ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে ডান হাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়েও দক্ষ ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯২ সময়কালে জাতীয় দলের হয়ে তিনি তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৩ টেস্ট ও ২০টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন।

অ্যান্ডি পাইক্রফট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
অ্যান্ড্রু জন পাইক্রফট
জন্ম (1956-06-06) ৬ জুন ১৯৫৬ (বয়স ৬৮)
সলিসবারি, রোডেশিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ-ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১০)
১৮ অক্টোবর ১৯৯২ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট১৭ নভেম্বর ১৯৯২ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ )
৯ জুন ১৯৮৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই১৮ মার্চ ১৯৯২ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭৫/৭৬-১৯৭৮/৭৯ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২০ ৭২ ১০০
রানের সংখ্যা ১৫২ ২৯৫ ৪৩৭৪ ২৫৭৬
ব্যাটিং গড় ৩০.৪০ ১৭.৩৫ ৩৮.০৩ ২৯.৬০
১০০/৫০ –/১ –/২ ৫/৩১ ১/১৭
সর্বোচ্চ রান ৬০ ৬১ ১৩৩ ১০৪
বল করেছে ৮৭ ১২
উইকেট
বোলিং গড় ৫২.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ১/০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ৬/– ৬৩/– ৩৮/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১ জুলাই ২০১৪

বর্তমানে তিনি আইসিসি’র ম্যাচ রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[]

খেলোয়াড়ী জীবন

সম্পাদনা

জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতার পূর্বে রোডেশিয়ায় হয়ে খেলেছেন পাইক্রফট। ১৯৮০-এর দশক থেকে জিম্বাবুয়ের জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও, দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বি দলে খেলেছেন।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ২০টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন অ্যান্ডি পাইক্রফট। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরে জিম্বাবুয়ে দলের সদস্যরূপে অংশ নেন। ৯ জুন, ১৯৮৩ তারিখে নটিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। আলী শাহ, গ্র্যান্ট প্যাটারসন, জ্যাক হেরন, ডেভ হটন, ডানকান ফ্লেচার, কেভিন কারেন, ইয়ান বুচার্ট, পিটার রসন, জন ট্রাইকোসভিন্স হগের সাথে একযোগে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার।[] ১৮ মার্চ ১৯৯২ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।

দল থেকে অবসর নেয়ার পর মার্চ, ২০০৬ সালে তাকে জিম্বাবুয়ের এ ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।[] প্রধান দলীয় কোচ রবিন ব্রাউনের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তরের পূর্বে এ পদে তিনি আগস্ট, ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন।[] এরপর মার্চ, ২০০৯ থেকে অদ্যাবধি আইসিসি ম্যাচ রেফারীর সেরা প্যানেল তালিকার অন্যতম সদস্য হিসেবে রয়েছেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "2nd Investec Test: England v Sri Lanka at Leeds, Jun 20-24, 2014, June 1, 2014"। ESPNcricinfo (ESPN Sports Media)। ১ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৪ 
  2. "prudential world cup, 1983: Scorecard of third ODI, Australia vs Zimababwe"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১২, ২০১৯ 
  3. Zimbabwe Cricket sack Mangongo, CricketArchive, Retrieved 1 May 2009
  4. Brown ousted as Zimbabwe coach, CricketArchive, Retrieved 1 May 2009
  5. Gould and Hill join ICC elite, CricketArchive, Retrieved 1 May 2009

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা