জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা
জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ( The United Nations Educational, Scientific, and Cultural Organization) বা ইউনেস্কো (UNESCO) জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা। বিশ্বে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির প্রসার এবং উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানো এই সংস্থার কার্যক্রম। ১৯৪৫ সালের নভেম্বরে লন্ডন সম্মেলনে ইউনেস্কো প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৪৬ সালে এই সংস্থা জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। প্যারিসে এর সদর দপ্তর অবস্থিত। বর্তমানে ইউনেস্কোর ১৯৫টি সদস্য এবং ১২টি সহযোগী সদস্য রয়েছে। [২]
জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা | |
---|---|
সংস্থার ধরন | জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা |
সংক্ষিপ্ত নাম | ইউনেস্কো ইউএনইএসসিও |
প্রধান | আদ্রে আজুলে মহাপরিচালক, ইউনেস্কো |
মর্যাদা | সক্রিয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | ৪ নভেম্বর, ১৯৪৫[১] |
প্রধান কার্যালয় | প্যারিস, ফ্রান্স |
ওয়েবসাইট | UNESCO.org |
সদর দপ্তর
সম্পাদনাইউনেস্কোর সদর দপ্তর ফ্রান্সের প্যারিসের প্লেস ডি ফন্টেনয় এ অবস্থিত।
বিশ্বজুড়ে ইউনেস্কোর ফিল্ড অফিসগুলিকে তাদের কার্যকারিতা এবং ভৌগোলিক কভারেজের ভিত্তিতে চারটি প্রাথমিক অফিস ধরনের শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে: ক্লাস্টার অফিস, জাতীয় অফিস, আঞ্চলিক বিউরাস এবং যোগাযোগ অফিস।
গণমাধ্যম
সম্পাদনাইউনেস্কো এবং এর বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলি বেশ কয়েকটি পত্রিকা জারি করে।
ইউনেস্কো কুরিয়ার ম্যাগাজিনটি "ইউনেস্কোর আদর্শ প্রচার, সংস্কৃতির মধ্যে সংলাপের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম বজায় রাখা এবং আন্তর্জাতিক বিতর্কের জন্য একটি ফোরাম প্রদান করা" এর মিশনটি জানিয়েছে। 2006 সালের মার্চ থেকে এটি সীমিত মুদ্রিত ইস্যু সহ অনলাইনে উপলব্ধ। এর নিবন্ধগুলি লেখকদের মতামত প্রকাশ করে যা ইউনেস্কোর মতামত নয়। ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রকাশের সময়সীমা ছিল!
১৯৫০ সালে, ইউনেস্কো সমাজের উপর বিজ্ঞানের প্রভাব আলোচনা করার জন্য সমাজের উপর বিজ্ঞানের ইমপ্যাক্টের প্রভাব (যা ইমপ্যাক্ট নামেও পরিচিত) ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা শুরু করে। জার্নালটি ১৯৯২ সালে প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়েছিল। ইউনেস্কো ১৯৪৮ সাল থেকে জাদুঘর আন্তর্জাতিক ত্রৈমাসিক প্রকাশিত।
পরিচালনা পরিষদ
সম্পাদনাপুনরায় নির্বাচনের যোগ্য মহাপরিচালকের পদে ৭ - ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সালে প্যারিসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৯ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ৫৮টি দেশের প্রতিনিধিগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ ১৭ তারিখে ভোট দেন। ২২ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সালে ইরিনা বোকোভা নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন।[৩] ৫ম পর্যায়ের ভোট পর্বে মিশরীয় বিমূর্ত চিত্রকর ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ফারুক হোসনিকে ৩১-২৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন বোকোভা।[৩][৪] হোসনি জয়ী হবার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এলি উইসেল কর্তৃক ইসরায়েল বিরোধী বক্তব্যের কারণে সমালোচিত হন।[৩][৫] ৪র্থ পর্বের ভোটে উভয়েই ২৯ ভোট নিয়ে সমান অবস্থানে ছিলেন। এ বিজয়ের ফলে বোকোভা জাপানের কোচিরো মাতসুরা'র কাছ থেকে মহাপরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।[৩] এখানে তিনি চার বছরের মেয়াদকালের জন্য মনোনীত হন।[৪] ১৫ অক্টোবর, ২০০৯ সালে ৩৫তম অধিবেশনের সাধারণ সভায় ১০ম মহাপরিচালক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ইরিনা বোকোভা বিশ্বের তথা পূর্ব ইউরোপের প্রথম নারী হিসেবে ইউনেস্কো প্রধানের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হন।[৩] ২৩ অক্টোবর, ২০০৯ সালের শুক্রবার বিকেলে ১নং কক্ষে অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠাকাল থেকে অদ্যাবধি ইউনেস্কো মহাপরিচালকদের তালিকা নিম্নরূপ।[৬]
দেশ | নাম | মেয়াদকাল | মন্তব্য |
---|---|---|---|
ফ্রান্স | আদ্রে আজুলে | ২০১৭- বর্তমান | |
বুলগেরিয়া | ইরিনা বোকোভা | ২০০৯ - ২০১৭ | |
জাপান | কোইচিরো মাতসুরা | ১৯৯৯ - ২০০৯ | |
স্পেন | ফেদেরিকো মেয়র জারাগোজা | ১৯৮৭ - ১৯৯৯ | |
সেনেগাল | আমাদৌ-মাহতার এম'বো | ১৯৭৪ - ১৯৮৭ | |
ফ্রান্স | রেনে মাহেউ | ১৯৬১ - ১৯৭৪ | ১৯৬১ সালে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক |
ইতালি | ভিত্তোরিনো ভেরোনেসে | ১৯৫৮ - ১৯৬১ | |
যুক্তরাষ্ট্র | লুথার ইভান্স | ১৯৫৩ - ১৯৫৮ | |
যুক্তরাষ্ট্র | জন উইলকিন্সন টেলর | ১৯৫২ - ১৯৫৩ | ১৯৫২ - ৫৩ সালে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক |
মেক্সিকো | জৈমি তোরেস বোদেত | ১৯৪৮ - ১৯৫২ | |
যুক্তরাজ্য | জুলিয়ান হাক্সলে | ১৯৪৬ - ১৯৪৮ |
ইউনেস্কো পুরস্কার
সম্পাদনাশিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং শান্তি বিষয়ে ইউনেস্কো বর্তমানে ২২ ধরনের পুরস্কার প্রদান করে আসছে।[৭]
- ফেলিক্স হোফোয়েট-বোইগনি শান্তি পুরস্কার
- বিজ্ঞানে নারীদের জন্য এল'ওরেল-ইউনেস্কো পুরস্কার
- ইউনেস্কো/কিং সেজং সাহিত্য পুরস্কার
- ইউনেস্কো/কনফুসিয়াস সাহিত্য পুরস্কার
- ইউনেস্কো/আমির জাবের আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ শিক্ষা পুরস্কার
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "UNESCO History"। www.unesco.org। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ "Member States | UNESCO"। www.unesco.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Bokova wins Unesco leadership vote"। Al Jazeera। ২০০৯-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২২।
- ↑ ক খ "Bokova beats Hosni for UNESCO head"। The Jerusalem Post। ২০০৯-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ STEVEN ERLANGER (২০০৯-০৯-২২)। "Bulgarian Defeats Egyptian in Unesco Vote"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২২।
- ↑ UNESCO official site: Directors-General
- ↑ UNESCO Executive Board Document 185 EX/38, Paris, 10 September 2010
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- UNESCO.org Official UNESCO website
- NGO-db.UNESCO.org ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ মে ২০১২ তারিখে A searchable database of organizations maintaining official relations with UNESCO
- UNESCO ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে – Institute for Statistics
- UNESCO – International Bureau of Education
- UNESCO Institute for Lifelong Learning
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |