কুইন্সল্যান্ড
এই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনো কম্পিউটার অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক অনুবাদ করে থাকতে পারেন। |
কুইন্সল্যান্ড (ইংরেজি: Queensland) অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং তৃতীয় সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য। যেটি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এর পশ্চিমে , দক্ষিণ-পশ্চিমে ও দক্ষিণের সীমানায় যথাক্রমে উত্তর টেরিটরি, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলস । পূর্ব সীমাস্ত কুইন্সল্যান্ড কোরাল সাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত। কুইন্সল্যান্ডের জনসংখ্যা ৪,৭৫০,৫০০ । এর আয়তন ১,৮৫২.৬৪২ কিলোমিটার।
Queensland | |||||
---|---|---|---|---|---|
| |||||
স্লোগান বা ডাকনাম | সূর্যালোকিত রাষ্ট্র | ||||
নীতি | Audax at Fidelis (সাহসী এবং বিশ্বস্ত) এবং একটি সুন্দর দিন পরবর্তীর জন্য যথাযথরূপ | ||||
![]() Other Australian states and territories | |||||
স্থানাঙ্ক | ২৩° দক্ষিণ ১৪৩° পূর্ব / ২৩° দক্ষিণ ১৪৩° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৩° দক্ষিণ ১৪৩° পূর্ব / ২৩° দক্ষিণ ১৪৩° পূর্ব | ||||
রাজধানী শহর | ব্রিসবেন | ||||
বিশেষণ | কুইন্সল্যান্ডার, কলা পানোতসব (প্রচলিত) | ||||
সরকার | Constitutional monarchy | ||||
• Governor | পাউল দে জার্সি | ||||
• Premier | অ্যানিস্টাশিয়া প্যাকেসেক (এএলপি) | ||||
অস্ট্রেলীয় অঞ্চল | |||||
• নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে পৃথকীকরণ | ৬ জুন ১৮৫৯ | ||||
• রাষ্ট্র | ১৯০১ | ||||
• অস্ট্রেলিয়া আইন | ৩রা মার্চ ১৯৮৬ | ||||
আয়তন | |||||
• মোট | ১৮,৫২,৬৪২ km² (২য়) ৭,১৫,৩০৯ sq মাইল | ||||
• ভূমি | ১৭,৩০,৬২০ km² ৬,৬৮,১৯৬ sq মাইল | ||||
• পানি | ১,২১,৯৯১ km² (6.58%) ৪৭,১০১ sq মাইল | ||||
জনসংখ্যা (মে, ২০১৮)[১] | |||||
• জনসংখ্যা | ৫০,০০,০০০ (৩য়) | ||||
• ঘনত্ব | 2.86/km² (৫ম) ৭.৪ /sq mi | ||||
উচ্চতা | |||||
• সর্বোচ্চ বিন্দু | মাউন্ট বার্টল ফ্রেয়ার ১,৬২২ মি (৫,৩২২ ফু) | ||||
Gross state product (২০১৪–১৫) | |||||
• পণ্য ($m) | $৩১৩,৮৮৯[২] (৩য়) | ||||
• মাথাপিছু পণ্য | $৬২,৪৯৮ (৫ম) | ||||
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+১০ (এইএসটি) (ডিএসটির সাথে সামঞ্জস্য নয়) | ||||
ফেডেরাল প্রতিনিধিত্ব | |||||
• House seats | ৩০/150 | ||||
• সিনেট আসন | ১২/76 | ||||
সংক্ষেপ | |||||
• ডাক | QLD | ||||
• আইএসও ৩১৬৬-২ | AU-QLD | ||||
প্রতীক | |||||
• ফুল | অর্কিডের শহর (Dendrobium phalaenopsis)[৩] | ||||
• প্রাণী | কোয়ালা (Phascolarctos cinereus) | ||||
• পাখি | ব্রোলগা (Grus rubicunda) | ||||
• মাছ | Barrier Reef anemonefish (Amphiprion akindynos) | ||||
• খনিজ বা রত্ন পাথর | নীলকান্তমণি | ||||
• রঙ | গাঢ় তাম্রবর্ণ (মেরুন)[৪] | ||||
ওয়েবসাইট | www |
এই রাজ্যটি রানী ভিক্টোরিয়ার সম্মানে কুইন্সল্যান্ড নামে নামকরণ করা হয়।
ইতিহাসসম্পাদনা
কুইন্সল্যান্ডের ইতিহাস হাজার হাজার বছর পুরোনো, আদিবাসীর উপস্থিতি, সেইসাথে পোস্ট ইউরোপীয়দেরে পত্তন সবই অনেক আগের ঘটনা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতিস্বত্তার আগমন হয়েছে এই অঞ্চলে।
আদিবাসী আগমনসম্পাদনা
কুইন্সল্যান্ড আদিবাসীদের আগমন ৫০,০০০ খ্রিস্টাব্দের আগে। নৌকার মাধ্যমে কিংবা জমি সেতু মাধ্যমে সম্ভবত এদের আগমন হয়েছে বলে মনে করা হয় এবং এরা ৯০ টি বিভিন্ন ভাষা গোষ্ঠিতে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
ইউরোপিয়ানদের আগমনসম্পাদনা
১৬০৬ সালে, ডাচ ন্যাভিগেটর উইলেম জ্যানসজুন স্থলের কাছে অবতরণ করেন, কেপ ইয়র্ক পশ্চিম তীরে। এটি অস্ট্রেলিয়ার একটি ইউরোপীদেয় প্রথম নথিভুক্ত অবতরণ ছিল, এবং এটি ইউরোপীয় এবং আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান মানুষের মধ্যে প্রথম যোগাযোগ বলে চিহ্নিত। এর পর ফরাসি এবং স্প্যানিশ অভিযাত্রীরা যথাক্রমে আসে।
সীমান্ত যুদ্ধসম্পাদনা
সীমান্ত যুদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে রক্তাক্ত এবং উল্লেখযোগ্য একটি যুদ্ধ |
কুইন্সল্যান্ডের কলোনিসম্পাদনা
১৮৫১ সালে এক জনসভায় সাউথ ওয়েলস থেকে কুইন্সল্যান্ড বিচ্ছেদ প্রস্তাবিত হয়। ৬ জুন ১৮৬৯ সালে, রানি ভিক্টোরিয়া কুইন্সল্যান্ড কে একটি পৃথক উপনিবেশ গঠনের জন্য সকল কাগজপত্র স্বাক্ষর করেন। ব্রিসবেন রাজধানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
বিংশ শতাব্দীসম্পাদনা
১৯০১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি রানী ভিক্টোরিয়ার অধিনে রাজ্য হিসেবে ঘোষিত হয় অস্ট্রেলিয়া, তখন কুইন্সল্যান্ডের জনসংখ্যা ছিল প্রায় অর্ধ মিলিয়ন। ১৯০৫ সালে প্রথমবারের মত নারীরা রাষ্ট্রীয় নির্বাচনে ভোট দেয়। ১৯০৯ সালে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং ১৯১১ সালে সর্বপ্রথম পোলিও রোগের বিকল্প চিকিৎসা চালু হয়েছিল এখানে, যা এখন পুরো বিশ্বব্যাপি প্রচলিত।
একবিংশ শতাব্দীসম্পাদনা
২০০৯ সালে কুইন্সল্যান্ড একটি স্বাধীন উপনিবেশ এবং রাষ্ট্র হিসেবে Q150 বা তার ১৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন করে। কুইন্সল্যান্ড সরকার ও অন্যান্য কুইন্সল্যান্ড সংগঠন অনেক ঘটনা ও প্রকাশনা, কুইন্সল্যান্ড প্রিমিয়ার আন্না বিলিংগ দ্বারা কুইন্সল্যান্ডের ১৫০ আইকন স্মরণে অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
ভৌগলিক অবস্থানসম্পাদনা
এর পশ্চিমে , দক্ষিণ-পশ্চিমে ও দক্ষিণের সীমানায় যথাক্রমে উত্তর টেরিটরি, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলস । পূর্ব সীমাস্ত কুইন্সল্যান্ড কোরাল সাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত।
জলবায়ুসম্পাদনা
আয়তন বেশি হওয়ার কারণে এই রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকম আবহাওয়া লক্ষ করা যায়। পশ্চিমান্চলে সাধারনত হালকা বৃষ্টিপাত এবং গরম আর্দ্র গ্রীষ্মকাল, উত্তরে মৌসুমি আদ্রতা,উপুকুলীয় অঞ্চলে উষ্ণতা,দক্ষিণ-পূর্ব অন্তর্দেশীয় এলিভেটেড এলাকায় মধ্য শীতকালে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে পরিলক্ষিত হয়।
জনসংখ্যার উপাত্তসম্পাদনা
সময় এবং জনসংখ্যাসম্পাদনা
১৯০১ ৪৯৮,১২৯
১৯৫৪ ১,৩১৮,২৫৯
১৯৬১ ১,৫১৮,৮২৮
১৯৭১ ১,৮৫১,৪৮৫
১৯৮১ ২,৩৪৫,২০৮
১৯৯১ ৩,০২৯,৯৫০
২০০১ ৩,৬২৮,৯৪৬
২০১১ ৪,৫১৬,২০০
ধর্মীয় অন্তর্ভুক্তিসম্পাদনা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কুইন্সল্যান্ড প্রধান ধর্মীয় বিশ্বাস নিম্নরূপে ভাগ করা যায়।
রোমান ক্যাথলিক চার্চ: ২৩.৮%
ধর্ম নাই ২২.১%
অ্যাংলিকান চার্চ : ১৮.৯%
ইউনিটি চার্চ : ৮.৪%
প্রেসবিটারিয়ান এবং রিফর্মড চার্চ : ৩.৫%
অন্যান্য : ২৫.৩%
অর্থনীতিসম্পাদনা
১৮৮০-৯০ সালে নদীবন্দর তৈরি হয় উপকূল অঞ্চলে, ফিতজোরয় নদীর নিকটে। ব্রডমাউন্ট ছিল উত্তরে এবং পোর্ট আলমা ছিল দক্ষিণে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই বন্দর গুলোতে মালামাল আনানেয়ার জন্য রেল চালু করা হয়। ১৮৯৮ সালে ব্রডমাউন্ট এবং ১৯১১ সালে পোর্ট আলমা রেল চালু হয়। ১৯৯২ এবং ২০০২ সালের মধ্যে, কুইন্সল্যান্ড রাষ্ট্রে পণ্যের যোগান অন্যান্য প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক যোগান কে ছাপিয়ে গিয়েছিল, যে যুগে কুইন্সল্যান্ডের জিএসপি, ৫.০% হয়েছিল। যখন অস্ট্রেলিয়ার গ্রস ডোমেস্টিক উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির প্রতি বছর গড় ৩.৯% বাড়ে, অস্ট্রেলিয়ান জিডিপির সে সময়ের মধ্যে ১০.৩% বৃদ্ধি করার কুইন্সল্যান্ডের অবদান রয়েছে যা রয়েছে মাত্র তিনটি দেশের । ২০০৩ সালে ব্রিসবেন ছিল বসবাসের জন্য সবচেয়ে কম খরচের শহর দেশের অন্য বাজ্যের রাজধানীর মধ্যে।
এখানে কলা, আনারস, বাদাম জাতীয় ফলের চাষ হয়। এখানে সুতা, আখ, শাক সবজি ইত্যাদি উৎপাদিত হয়। এখানে কয়লা, জিংক, সোনা, তামা,
, রুপা পাওয়া যায ়। এখাতামারপার পরিশোধনাগার রয়েছে। এখানে উপকূল অঞ্চলে আখ থেকে চিনি উৎপাদনের মিল আছে।
পর্যটনসম্পাদনা
পর্যটন কুইন্সল্যান্ড শীর্ষস্থানীয় প্রশাখা শিল্প, প্রতি বছর এই রাজ্যে দলে দলে লক্ষ লক্ষ দেশীয় ও বৈদেশিক পর্যটক আসে।পর্যটন শিল্প থেকে প্রতি বছর ৪ বিলিয়ন ডলার আয় করে, যা কুইন্সল্যান্ডের জিএসপি এর ৪.৫%।
এখানে পর্যটকদের জন্য প্রধান আর্কষন হল ব্রিসবেন, পোর্ট ডগলাস, ডেইন্টি রেইনফরেস্ট, গোল্ড কোস্ট, দ্যা গ্রেট ব্রেইয়ার রিফ, র্হাভে বে এবং ফ্রেশার আইল্যান্ড।আরো রয়েছে টাউন্সভিল, ম্যাগনেটিক আইসল্যান্ড, নর্থ ও সাউথ স্টেডব্রক, সানসাইন কোস্ট, হ্যামিল্টন আইল্যান্ড, ডেড্রিম আইল্যান্ড এবং হোয়াইটসানডেস যা এয়ারলাই বীচ ও হোয়াইট হ্যাভেন বীচ নামে পরিচিত।
কুইন্সল্যান্ডে বহু সংখ্যক ওয়াইল্ড লাইফ র্পাক আছে। গোল্ডকোস্টে রয়েছে কারুমবিন অভায়ারণ্য, ডেভিড ফেলে অভায়ারণ্য। সান সাইন কোস্টে বয়েছে আন্ডারওয়াটার ওয়াল্ড এবং অস্ট্রেলিয়া জু যেটি গ্লাস হাউজ মাউন্টেন এর নিকটে অবস্থিত।
পরিবহন ব্যবস্থাসম্পাদনা
কুইন্সল্যান্ডেরর যাতায়াত ব্যাবস্থা অনেক গুলো জাতীয় হাইওয়ে দ্বারা পরিচালিত হয়। বিশেষত দক্ষিণ পূর্ব কুইন্সল্যান্ড, যেমন M1। পরিবহন ও প্রধান সড়ক বিভাগের দ্বারা প্রধান সড়ক ও ট্যাক্সির এবং স্থানীয় মোটরওয়েজ চালনা সহ পাবলিক ট্রান্সপোর্টের উন্নয়ন কাজগুলো সম্পাদিত হয়। রেল সেবা প্রদানকারীরা হল কুইন্সল্যান্ড রেল এবং পেসিফিক ন্যাশনাল।
শাসনসম্পাদনা
গভর্নর এবং প্রতিনিধিত্বকারীদের আনুষ্ঠানিকভাবে নিযুক্ত করা হয় দ্বিতীয় এলিজাবেথ, অস্ট্রেলিয়া রানী নির্বাহী কর্তৃত্ব , যে প্রতিনিধিত্ব কারীগন নামমাত্র কায়েমী হয়. বর্তমান গভর্নর মান্যবর, পল দে জার্সি, এসি। একজন স্পিকার সংসদ কতৃক নির্বাচিত হয় সংসদের অধিবেশন পরিচাননার জন্য এবং সংসদসদস্য ও সরকারের মথ্যকার যোগাযোগ রক্ষার জন্য।
কুইন্সল্যান্ডের সংসদ এক কক্ষবিণিষ্ট। এটা অস্টেলিয়ার একমাত্র সংসদ যেটি এক কক্ষবিণিষ্ট। ১৯২২ সাল পর্য়ন্ত এখানে দ্বিকক্ষবিসিষ্ট আইনসভার অস্তিত্ব ছিল।
কুইন্সল্যান্ডের বিচার ব্যবস্থা সুপ্রিম কোর্ট ও জেলা আদালত নিয়ে গঠিত, যা কুইন্সল্যান্ডের সংবিধান এবং অন্যান্য বিভিন্ন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ।
স্থানীয় সরকারসম্পাদনা
কুইন্সল্যান্ড ৭৩ টি স্থানীয় সরকারী শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত যে গুলোকে সিটি ,টাউন, সায়ার বা রিজন বলা হয়। প্রতিটি এলাকার একটি কাউন্সিল আছে যা সরকারী সেবা প্রদানের জন্য দায়ী।
শিক্ষাসম্পাদনা
রাস্ট্রের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় "কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়" ১৯০৯ সালে গঠিত হয়। এটি পরর্বতিতে ১৯৪৫ সালে সেন্টলুসিয়াতে স্থানন্তর করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের সেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর একটি।
উত্তর কুইন্সল্যান্ডের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জেমস ক্রুক বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭০ সালে প্রতিস্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালে ও ১৯৮৯ সালে যথাক্রমে গ্রিফট ইউনিভাসিটি এবং কুইন্সল্যান্ড প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
১৯৮৯ সালে কুইন্সল্যান্ডের প্রথম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় রবিনার গোল্ডকোষ্টে, যেটির নাম বন্ড ইউনিভাসিটি। ১৯৯২ সালে সেন্ট্রাল ইউনিভাসিটি অব কুইন্সল্যান্ড ও ইউনির্ভাসিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ড, বিশ্ববিদ্যালয় দুটি টেকনোলোজি ইনস্টিটিউট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়েরর স্বীকৃতি পায়।
১৯৯৪ সালে এখানে ইনির্ভাসিটি অব সানসাইন কোস্ট নামে নতুন আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় হয়।
খেলাধুলাসম্পাদনা
কুইন্সল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সব বিভাগেই প্রতিনিধিত্ব করে এবং বহুসংখ্যক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্ট এখানে আয়োজন করা হয়।সবচেয়ে জনপ্রিয় শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া রাগবি লিগ, রাগবি ইউনিয়ন ও ক্রিকেট, রাগবি লিগ কুইন্সল্যান্ডের সব থেকে বড় খেলাধুলার ইভেন্ট। ২০১৩ সালে কুইন্সল্যান্ডে ক্রীড়া ক্যালেন্ডারে এই ইভেন্টটিতে "কুইন্সল্যান্ড ম্যারুন " রেকর্ড অষ্টম সিরিজ জিতে।
"ব্রিসবেন ব্রুনকস" রাষ্ট্রের কোনো ক্রীড়াঙ্গনে সর্বাধিক সফল দল, NRL রাগবি লীগে তিনটি প্রিমিয়ারলীগ লাভ করে এবং সব মিলিয়ে তাদের ৬ টি আর্জন বয়েছে, তাদের ২৩ বছরের ইতিহাসে। ব্রিসবেন ব্রুনকস ২০১৫ সালের NRL লিগে অংশগ্রহণ করে,এর ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ে নর্থ কুইন্সল্যন্ড কাউযয় টিমের সাথে পরাজিত হয়। এই ফাইনালটি NRL এর ইতিহাসের অন্যতম সেরা গ্রান্ড ফাইনাল বলে বিবেচনা করা হয়। কুইন্সল্যান্ডের অন্য দুটি দল হল যথাক্রমে নর্থ কুইন্সল্যান্ড কাউবয়েজ এবং গোল্ডকোস্ট টাইটানস।
কুইন্সল্যান্ডের আধিপত্ত শুধু রাগবিতেই সীমাবদ্ধ নয়। ২০০১-২০০৩ সালে ব্রিসবেন লায়ন AFL এ টানা তিন বার প্রিমিয়ারশিপ লাভ করে। ব্রিসবেন রোয়ার এফসি ২০১০-১১ এবং ২০১১-১২ মৌসুমে পরপর দুইবার এ-লিগ প্রিমিয়ারশিপ জয় করে। এছাড়া তাদের রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ফুটবলে টানা ৩৬ টি ম্যাচ জেতার রেকর্ড। জাতীয় বাস্কেটবল লীগে এই অঞ্চলের দল গুলো হল ব্রিসবেন বুলেট,কাইরান তাইপানস।
সাতার ও কুইন্সল্যান্ডে জনপ্রিয়। অস্টেলিয়ার বেশির ভাগ টিম মেম্বার এবং শিরোপাধারি এই রাজ্যের। ২০০৮ এর অলেম্পিকের অস্ট্রিয়ার ৬টি মেডেলের সব গুলোই কুইন্সল্যান্ডের সাতারুদের অর্জন।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "3101.0 – Australian Demographic Statistics, Sep 2017"। Australian Bureau of Statistics। ২২ মার্চ ২০১৮। ২৫ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Gross State Product, 2013-14 Financial Year"। Australian Bureau of Statistics। ২৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৫।
- ↑ "Floral Emblem of Queensland"। Australian National Botanic Gardens। ২ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "Queensland"। Parliament@Work। ৮ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৩।