কাথিয়াওয়ার এজেন্সি

(Kathiawar Agency থেকে পুনর্নির্দেশিত)

কাথিয়াওয়ার এজেন্সি ছিল ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিম অংশের বর্তমান গুজরাট রাজ্যের কাঠিয়াওয়ার উপদ্বীপে অবস্থিত ও তৎকালীন বোম্বে প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ১৯৩টি ছোট বড় দেশীয় রাজ্যের একটি রাজনৈতিক একক।

কাথিয়াওয়ার এজেন্সি
ব্রিটিশ ভারতের এজেন্সি
১৮১৯–১৯২৪

কাথিয়াওয়ার এজেন্সির অন্তর্গত এলাকার মানচিত্র
আয়তন 
• ১৯০১
৫৪,০৮৪ বর্গকিলোমিটার (২০,৮৮২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা 
• ১৯০১
২৩২৯১৯৬
ইতিহাস 
• প্রতিষ্ঠিত
১৮১৯
১৯২৪
উত্তরসূরী
পশ্চিম ভারত রাজ্য এজেন্সি

এই এজেন্সির সদর দপ্তর ছিল রাজকোটে[১] ব্রিটিশ প্রশাসন কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত রাজনৈতিক এজেন্ট এই শহর থেকেই তার কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তিনি সরাসরি বোম্বেতে অবস্থিত বোম্বে প্রেসিডেন্সির রাজনৈতিক বিভাগের অফিসে রিপোর্ট করেন। [২]

ইতিহাস সম্পাদনা

 
১৮৭৮ সালে কাঠিয়াওয়ার অঞ্চল

এই এলাকার অন্তর্ভূক্ত রাজকীয় রাজ্যগুলো ব্রিটিশদের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হওয়ার পর ১৮২২ সালে এজেন্সিটি গঠিত হয়েছিল।

১৮৯৯-১৯০০ সালের দুর্ভিক্ষে এই অঞ্চলটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ১৮৯১ এবং ১৯০১ সালের মধ্যে মূলত দুর্ভিক্ষের কারণে এই এজেন্সির অন্তর্গত রাজ্যগুলোর জনসংখ্যা ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। [৩] [৪]

১৯২৪ সালের ১০ অক্টোবরে পশ্চিম ভারত রাজ্য এজেন্সিতে একীভূত হওয়ার মাধ্যমে এজেন্সিটি বিলুপ্ত হয়। তখন এর তিনটি উপবিভাগ ছিল: [১] [৫] [৬]

  • পূর্ব কাথিয়াওয়ার এজেন্সি (১৯২৬ সাল থেকে)
  • পশ্চিম কাঠিয়াওয়ার এজেন্সি (১৯২৬ সাল থেকে)
  • সবর কাঁথা এজেন্সি (১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩ সালে পূর্ব কাথিয়াওয়ার এজেন্সির সাথে বনাস কাঁথা এজেন্সি (সাবেক পালনপুর এজেন্সি) সহ একীভূত)

রাজকীয় রাজ্য সম্পাদনা

  এই এজেন্সির অধীনে বিভিন্ন আকার এবং গুরুত্বের মোট ১৯৩টি রাজ্য ছিল। এগুলোর মধ্যে চৌদ্দটি রাজ্যের স্বাধীন প্রশাসনিক এখতিয়ার ছিল। বাকিগুলো ব্রিটিশ প্রশাসনের অধীনে ছিল। প্রথম শ্রেণীর আটটি রাজ্য ছিল ভাবনগর রাজ্য, ধ্রাংধরা রাজ্য, গোন্ডাল রাজ্য, জাফরাবাদ রাজ্য, জুনাগড় রাজ্য, মরভি রাজ্য, নওয়ানগর রাজ্য এবং পোরবন্দর রাজ্য। এজেন্সিটি ২০,৮৮২ বর্গমাইল (৫৪,০৮০ কিমি) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল এবং ১৯০১ সালে এর জনসংখ্যা ছিল ২,৩২৯,১৯৬। রাজনৈতিক এজেন্টের সদর দপ্তর উপদ্বীপের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত রাজকোটে ছিল। তিনি গভর্নর-জেনারেলের পক্ষে রাজকীয় রাজ্যগুলোর বিভিন্ন বিষয় তদারকি করতেন। এই শহরেই রাজকোটের রাজকুমার কলেজের অবস্থান। এখানে অন্তর্গত বিভিন্ন দেশিয় রাজ্যের রাজপুত্ররা শিক্ষাগ্রহণ করত। গন্ডালে গিরাসিয়া বা নিম্ন পদের প্রধানদের জন্য অনুরূপ একটি স্কুল ছিল।

১৯১১ সালে বিভিন্ন রাজ্যের আনুমানিক মোট রাজস্ব ছিল ১,২৭৮,০০০ টাকা। ব্রিটিশদেরকে বরোদার গায়কোয়াড় এবং জুনাগড়ের নবাববের প্রদেয় কর ছিল ৭০,০০০ টাকা। এই এজেন্সিতে নেতৃস্থানীয় রাজ্যগুলোর ব্যয়ে মিটার-গেজ রেলপথের একটি চমৎকার ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল। এখানকার সামুদ্রিক বাণিজ্যও খুব সক্রিয় ছিল। প্রধান বন্দরগুলো হল পোরবন্দর, মঙ্গরোল এবং ভেরাভাল । ১৯০৩-১৯০৪ সালে মোট সমুদ্রজাত রপ্তানির মূল্য ছিল ১,৩০০,০০০ টাকা এবং আমদানি ছিল ১,১২০,০০০ টাকা।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. The Indian Year Book, Volume 11 by Bennett, Coleman & Company, 1924,pp:151–152
  2. Sessional Papers – Volume 31, Great Britain. Parliament. House of Commons published by H.M. Stationery Office, 1900 – Page 464
  3. চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Kathiawar"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। 
  4. Kathiawar at The Imperial Gazetteer of India, v. 15, p. 164.
  5. The India Office and Burma Office List by Harrison and sons, Limited, 1922– Page 393
  6. The Indian and Pakistan Year Book, Volume 23। ১৯৩৬। পৃষ্ঠা 172। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

টেমপ্লেট:Princely states of the Western India States Agency