ইকবাল সিদ্দিকী
ইকবাল রশীদ সিদ্দিকী (মারাঠি: इक्बाल सिद्दिकी; জন্ম: ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৪) মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্নে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইকবাল রশীদ সিদ্দিকী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৪ ঔরঙ্গাবাদ, মহারাষ্ট্র, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ২৪১) | ৩ ডিসেম্বর ২০০১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ অক্টোবর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে হায়দ্রাবাদ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ইকবাল সিদ্দিকী।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৯২-৯৩ মৌসুম সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইকবাল সিদ্দিকী’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বিধ্বংসী বোলিং ও দৃঢ়চিত্তে ব্যাটিংয়ের কারণে সবিশেষ পরিচিতি লাভ করেছিলেন তিনি।
মাঝখানে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে হায়দ্রাবাদের পক্ষে খেলেন। এরপর মহারাষ্ট্রের সদস্য হন। মৌসুম বহির্ভূত সময়ে ইংল্যান্ডের ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ২০০৬ সালে কেন্ট ক্রিকেট লীগে অংশ নেন। সেভেনোকস ভাইনের পক্ষে খেলেছেন তিনি।
১৯৯২-৯৩ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় রেলওয়েজের বিপক্ষে নক-আউট পর্বের খেলায় মহারাষ্ট্রের পক্ষে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। বলে বেশ পেস আনয়ণে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার ব্যাটিং গড় বেশ নিম্নমূখী ছিল। তাসত্ত্বেও, একটি প্রথম-শ্রেণীর শতরানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৮/৭২। নিজের সেরা দিনগুলোয় দৃশ্যতঃ তিনি অপ্রতিরোধ্য ছিলেন। দূর্ভাগ্যজনকভাবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হবার প্রায় এক দশক পর তাকে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ দেয়া হয়। ব্যাট হাতে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি একটি শতরান ও তিনটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ইকবাল সিদ্দিকী। ৩ ডিসেম্বর, ২০০১ তারিখে মোহালিতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
২০০১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ঐ টেস্টে ইংল্যান্ড দলের মাত্র ৫ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ইকবাল সিদ্দিকীকে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। তিনি তার একমাত্র টেস্টে জয়সূচক রান সংগ্রহ করেন। এরফলে, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার জেফ মসের সাথে এক টেস্টে অংশ নিয়ে জয়সূচক রানের রেকর্ডের সাথে নিজ নামকে যুক্ত করেন।[১]
একমাত্র টেস্টে অংশ নিলেও মনোজ প্রভাকরের পর একমাত্র ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বোলিং ও ব্যাটিং উভয় বিভাগেই উদ্বোধনে নেমেছেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Has anyone made the winning hit in his only Test match?"। Ask Steven - Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১২।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ইকবাল সিদ্দিকী (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ইকবাল সিদ্দিকী (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)