ডাউন কোয়ার্ক
ডাউন কোয়ার্ক(প্রতীক:) হলো সকল কোয়ার্কগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় হালকা মৌলিক অতিপারমাণবিক কণা। এর প্রতিকণার নাম হলো অ্যান্টিডাউন কোয়ার্ক(প্রতীক:)।
ইতিহাস
সম্পাদনাকবি জেমস্ জয়েসের কবিতা “Funnegans Wake" থেকে কোয়ার্ক এবং এর অবস্থান-বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে ডাউন শব্দটি নেওয়া হয়েছে। এই কণাটি সূচনা হয় গত শতাব্দীর পঞ্চম দশকে। এ সময়(১৯৪০-১৯৫০) অধিকাংশ মৌলিক কণার হদিস মেলে। এসব কণার আবিষ্কার হলেও এদের মধ্যকার সম্পর্ক ছিল বেশ ধোয়াটে। এই ধোয়াটে অবস্থা দূর করতে এগিয়ে আসেন বিজ্ঞানী মারে গেল-ম্যান ও যুবাল নেমন। ১৯৬১ সালে তারা স্বতন্ত্রভাবে এই ডাউন কোয়ার্কে হ্যাড্রন শ্রেণিবদ্ধ করার প্রস্তাব দেন। তবু এদের মধ্যেকার সম্পর্ক স্পষ্ট ছিল না। তাই মারে গেল-ম্যান ও জর্জ জিউইগ তাত্ত্বিকভাবে এই কণাটি আবিষ্কার করেন ও কোয়ার্ক মডেলের প্রস্তাব করেন। পরবর্তিকালে এই কণাটির পূর্ণ পরিচয় পাবার উদ্দেশ্যে ১৯৬৮ সালে “স্ট্যাফোর্ড ইলেক্ট্রিনিক রৈখিক তরকযন্ত্র” দিয়ে প্রোটন ভেঙে এর গঠন দেখার চেষ্টা করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এই পরিক্ষাটির মাধ্যমে প্রমাণিত হয় একটি প্রোটনে দুটি আপ কোয়ার্ক ও একটি ডাউন কোয়ার্ক আছে।
বৈশিষ্ট্যসমূহ
সম্পাদনা- ডাউন কোয়ার্কের ভর সঠিক ভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয় নি। তবে এর ভর ধরা হয় ৪.৫-৫.৩ । কিন্তু গাণিতিক পরিসজ্জায় এর ভর ধরা হয় ৪.৭৯ ০.১৬ ।
- ডাউন কোয়ার্কের মৌলিক আধান e।
- এর স্পিন মান
- এই কণাগুলো এদের আন্তক্রিয়া ধটাতে পারে চারটি ক্ষেত্রে আর তা হলো- মহাকর্ষ, তাড়িৎচুম্বক,দূর্বলবল ও সবলবলে।
- প্রোটনে ডাউন কোয়ার্ক থাকে একটি ও নিউট্রনে দুটি।