আপ কোয়ার্ক
আপ কোয়ার্ক(প্রতীক:) হলো সকল মৌলিক কণার সর্বাধিক হালকা, অতিপারমাণবিক কণা। এর প্রতিকণার নাম আপ অ্যান্টিকোয়ার্ক(প্রতীক:)। কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় আলেচিত যে ছয়টি(প্রতিকণা সহ ১২ টি) কোয়ার্ক কণার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে আপ কোয়ার্ক একটি।
ইতিহাসসম্পাদনা
কোয়ার্ক শব্দটি নেওয়া হয় আইরিশ কবি জেমস্ জয়েসের কবিতা "Funnegans Wake" থেকে আর আপ নেওয়া হয় এর অবস্থান-বৈশিষ্ট্য থেকে। গত শতাব্দির ৪০ দশকে যেখানে মাত্র কয়েকটি কণার আবিষ্কার হয়ে সেখানে ৫০ দশকে তার সংখ্যা ডজনে দাড়ায়। ১৯৫০ সালের মধ্যে বিজ্ঞানীরা যেমন অনেক ধরনের কণার সন্ধান পান তেমনি প্রচুর পরিমাণ ভবিষ্যতবাণী করেন। এই ভবিষ্যতবাণীগুলোর সত্যতা যাচাই করাই ছিল বড় লক্ষ্য। বিজ্ঞানীরা তখন নিশ্চিতভাবে জেনে গিয়েছিলেন যে, পরমাণুর ৯৯ শতাংশ ভর তার নিউক্লিয়াসে থাকে। তাদের শুধু অপেক্ষা করতে হয়েছে উন্নতামানের যন্ত্র ও পরিক্ষাগারের জন্যে। ৬০ দশকের শুরুতে(১৯৬১) সালে যখন অতিপারমাণবিককণা সম্পর্কে তেমন স্পষ্ট ধারণা ছিল না তখন বিজ্ঞানী মারে গেল-ম্যান ও যুবাল নিমন হ্যাড্রোন শ্রেণিবদ্ধকরণের প্রস্তাব দেন।
পরবর্তিকালে মারে গেল-ম্যান ও জর্জ জিউইগ তাত্ত্বিকভাবে আপ কোয়ার্কের অস্তিত্বের প্রস্তাব করেন। পরবর্তিকালে কণার পূর্ণ পরিচয় পাবার উদ্দেশ্যে ১৯৬৮ সালে “স্ট্যাফোর্ড ইলেক্ট্রিনিক রৈখিক তরকযন্ত্র” দিয়ে প্রোটন ভেঙে এর গঠন দেখার চেষ্টা করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এ পরিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন কানাডার বিজ্ঞানী এর এফ টেলর, মার্কিন বিজ্ঞানী এইচ ডব্লিউ কেন্ডাল ও জে আই ফ্রিডম্যান। এ পরিক্ষণ হতে হদিস মেলে প্রোটনে দুটি আপ কোয়ার্ক ও একটি ডাউন কোয়ার্ক নিয়ে গঠিত। যেহেতু ১৯৬৪ সালে তাত্ত্বিকভাবে এবং ১৯৬৮ সালে পরিক্ষণ দ্বারা আপ কোয়ার্ক ব্যাখ্যা করা হয় সেহেতু ১৯৬৮ সালকেই এর আবিষ্কার কাল বলা হয়।
বৈশিষ্ট্যসমূহসম্পাদনা
- এই হালকা কণিকাটি ১.৮-৩.০ ভর বিশিষ্ট হয়। আসলে এর ভর এতোই হালকা যে এর ভর সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায় না। জ্যোতির্বিজ্ঞানে এর ভর সাধারণত ২.০১০.১৪ ধরা হয়। এই কণাটি স্থায়ী অবস্থায় থাকতে পারে। কার্যবশত কণাটি ডাউন কোয়ার্ক বা ইলেক্ট্রন নিউট্রিনো কণাতে পরিণত হতে পারে।
- আপ কোয়ার্কের মৌলিক আধান + e
- এর স্পিন মান হলো
- এই কণাগুলো এদের আন্তক্রিয়া ঘটাতে পারে চারটি ক্ষেত্রে আর তা হলো- মহাকর্ষ, তাড়িৎচুম্বক,দূর্বলবল ও সবলবলে।
- প্রোটনে আপ কোয়ার্ক থাকে দুটি ও নিউট্রনে থাকে একটি।