ব্রান্ডন বেস

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার
(Brandon Bess থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ব্রান্ডন জেরেমি বেস (ইংরেজি: Brandon Bess; জন্ম: ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৭) বারবাইসের রোসিগনল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে থেকে শুরু করে ২০১০-এর শুরুরদিক পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ব্রান্ডন বেস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামব্রান্ডন জেরেমি বেস
জন্ম (1987-12-13) ১৩ ডিসেম্বর ১৯৮৭ (বয়স ৩৬)
রোসিগনল, বারবাইস, গায়ানা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ২৮৬)
২৬ জুন ২০১০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৭/০৮ - ২০১১/১২গায়ানা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ টি২০
ম্যাচ সংখ্যা ৩২
রানের সংখ্যা ১১ ২০৬
ব্যাটিং গড় ১১.০০ ৭.৬২
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ –/–
সর্বোচ্চ রান ১১* ৩৩ ৪*
বল করেছে ৭৮ ৩,২৪৬ ১৩৮ ২৪
উইকেট ৫৬
বোলিং গড় ৯২.০০ ৪০.৩৩ ৪১.০০ ২৪.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/৬৫ ৫/২৮ ১/২০ ১/২৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ১৩/– ৩/– ১/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ অক্টোবর ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে গায়ানা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ব্রান্ডন বেস

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্রান্ডন বেসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী ফাস্ট বোলার ছিলেন।

জানুয়ারি, ২০০৮ সালে ক্যারিব বিয়ার কাপে গায়ানার সদস্যরূপে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলায় অংশ নেন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে তিনি কেবলমাত্র আর একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[১] ২০০৮-০৯ মৌসুমে আরও নিয়মিতভাবে খেলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের সদস্যরূপে সফররত ইংল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে খেলে একটিমাত্র উইকেটের সন্ধান পান।[২] এ মৌসুমেই তিনি লিস্ট এ ক্রিকেটে প্রথম অংশ নেন। নভেম্বর, ২০০৮ সালে গায়ানার পক্ষে দুই খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।[৩]

২০০৯-১০ মৌসুমের শুরুতে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। জ্যামাইকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে তিনি চার উইকেট পান।[৪] ঐ মৌসুমে ৩৩.৬৯ গড়ে বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। এটিই তার মৌসুমের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল।[৫] এপ্রিল, ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ীয় একাদশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের সদস্যেরূপে বেশ ভালোমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন।[১]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ব্রান্ডন বেস। ২৬ জুন, ২০১০ তারিখে ব্রিজটাউনে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।

জানুয়ারি, ২০১০ সালে খেলার পূর্বে আঘাতপ্রাপ্ত নেলন প্যাসকেলের পরিবর্তে তাকে দলে নেয়া হয়। কেনসিংটন ওভালে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন তিনি।

২০১০ সালে নিজ দেশে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিস্ময়করভাবে অভিষেক ঘটে ব্রান্ডন বেসের। রবি রামপালের অনুপস্থিতিতে নেলন প্যাসকেলের খেলার সুযোগ হয়।[৬] তবে, খেলার পূর্বে অনুশীলনীতে নাকে ব্যথা পান তিনি।[৭] ব্রিজটাউনভিত্তিক হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের প্রশিক্ষণার্থী ব্রান্ডন বেসকে মাঠে আসার জন্যে বলা হয়।[৮] খেলার দ্বিতীয় ওভারের পূর্ব-পর্যন্ত তিনি মাঠে উপস্থিত হতে পারেননি।[৯]

টেস্ট অভিষেক সম্পাদনা

৪৮.৮০ গড়ে প্রথম-শ্রেণীর বোলিংয়ের অধিকারী ছিলেন তিনি। তার প্রথম ওভার থেকেই প্রতিপক্ষীয় অধিনায়ক গ্রেইম স্মিথ তিনটি বাউন্ডারী হাঁকান।[৯] তাকে থামিয়ে দিয়ে ক্রিস গেইল স্পিনার শেন শিলিংফোর্ডকে নিয়ে আসেন।[১০] দ্বাদশ ওভারে পুনরায় বোলিংয়ে ফিরে আসেন। এ পর্যায়ে তিনি নাইটওয়াচম্যান পল হ্যারিসকে বিদেয় করেন। তিনি বোলিংকর্ম অব্যাহত রাখলেও বেশ রান খরচ করে ফেলেন। প্রথম ইনিংসে ৯ ওভারে তিনি ৬৫ রান দেন।

ক্রিকইনফো’র প্রতিবেদক সিদ্ধার্থ তালিয়া তার দূর্বল ক্রীড়াশৈলীতে বিরক্তি প্রকাশ করেন।[১১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "First-Class Matches played by Brandon Bess (18)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৭ 
  2. "West Indies A v England XI"। CricketArchive। ২৯ জানুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৭ 
  3. "List A Matches played by Brandon Bess (2)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৭ 
  4. "Guyana v Jamaica"। CricketArchive। ২২ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৭ 
  5. "First-class Bowling in Each Season by Brandon Bess"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৭ 
  6. Nitin Sundar (২৫ জুন ২০১০)। "South Africa aim to leave in convincing style"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৭ 
  7. "Brandon Bess makes debut as Windies bat first in 3rd Digicel Test"। West Indies Cricket Board। ২৬ জুন ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  8. Nitin Sundar (২৬ জুন ২০১০)। "Botha, seamers make it South Africa's day"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৭ 
  9. "Windies batsmen struggle"Sky Sports। ২৬ জুন ২০১০। ২৮ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১০ 
  10. "South Africa tour of West Indies, 3rd Test: West Indies v South Africa at Bridgetown, Jun 26-30, 2010"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৭ 
  11. Siddhartha Talya (২৭ জুন ২০১০)। "South Africa edge ahead on attritional day"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৮ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা