নৌকা
নৌকা বা নাও এক ধরনের জলযান যা জাহাজের থেকে ছোট। পৃথিবীর অনেক দেশে নৌকা ক্রীড়া (নৌকা বাইচ) এবং প্রমোদ-ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত হলেও বাংলাদেশ-সহ বিশ্বের অনেক দেশে নৌকা এখনও স্থানীয় যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। এছাড়া পণ্য পরিবহনের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে বর্ষাকালে এর প্রচুর ব্যবহার হয়। নৌকার চালককে বলা হয় মাঝি।[১][২][৩][৪]
নৌকার অংশসম্পাদনা
নৌকার অংশসমূহ হলোঃ- খোল, পাটা, ছই বা ছাউনী, হাল, দাঁড়, পাল, পালের দড়ি, মাস্তুল, নোঙর, খুঁটি দড়ি, গলুই, বৈঠা, লগি, গুণ, নৌকা প্রধানত কাঠ দিয়ে তৈরী। মাছ ধরার ডিঙ্গি নৌকা আকারে ছোট, আবার পণ্য পরিবহনের নৌকা আকারে বেশ বড়। ছই বা ছাউনী তৈরীতে বাঁশ ব্যবহার করা হয়। খোলকে জলনিরোধ করার জন্য আলকাতরা ব্যবহার করা হয়। লগি তৈরি হয় বাঁশ থেকে। পাল তৈরি হয় শক্ত কাপড় জোড়া দিয়ে।
ইতিহাসসম্পাদনা
প্রথম দিক থেকেই নৌকাগুলি যাতায়াত হিসাবে কাজ করেছে ৪০,০০০ বছর পূর্বে অস্ট্রেলিয়ার প্রাথমিক বসতি স্থাপনের মতো সংঘাতের প্রমাণ, ১৩০,০০০ বছর আগে ক্রেটের অনুসন্ধান, এবং ফ্লোরসে ৯০০,০০০ বছর আগে তারিখের প্রমাণ প্রমাণ করে যে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই নৌকাগুলি ব্যবহৃত হয়েছিল। প্রাচীনতম নৌকাগুলি খননকৃত, এবং প্রাচীনতম নৌকাগুলি প্রায় ৭,০০০-১০,০০০ বছর পূর্বে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের তারিখে পাওয়া গেছে বলে মনে করা হয়। বিশ্বের প্রাচীনতম পুনরুদ্ধারকৃত নৌকা, নেদারল্যান্ডসে পাওয়া পেস ক্যানো, খ্রিস্টপূর্ব ৮,২০০ থেকে ৭,৬০০ খ্রিস্টাব্দের মাঝখানে নির্মিত একটি পিনাস সিলেভেস্ট্রিসের ফাঁকা গাছের কাণ্ড থেকে তৈরি একটি খনক। নেদারল্যান্ডের অ্যাসেনের ড্রেন্টস যাদুঘরে এই ক্যানো প্রদর্শিত হয়।
বাংলাদেশে ব্যবহৃত নৌকার নামসম্পাদনা
গঠনশৈলী ও পরিবহনের উপর নির্ভর করে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের নৌকার প্রচলন রয়েছে।[৫]
শ্যালো নৌকাসম্পাদনা
১৯৯০-এর দশক থেকে বাংলাদেশে নৌকায় মোটর লাগানো শুরু হয়। এর ফলে নৌকা একটি যান্ত্রিক নৌযানে পরিণত হয়। এ যান্ত্রিক নৌকাগুলো শ্যালো নৌকা নামে পরিচিতি লাভ করে; কেননা পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত শ্যালো পাম্পের মোটর সংযুক্ত করে স্থানীয় প্রযুক্তি দিয়ে এসব নৌকা চালানোর ব্যবস্থা করা হয়।
নৌকা চিত্রসম্পাদনা
দুগোট (নৌকা), কিটো।
একটি জাহাজের স্টিলের তৈরি পরিত্যক্ত লাইফবোট, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারোলিনা, ফলি আইল্যান্ডের জলাভূমিতে মরিচা ধরে গেছে।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "নৌকা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৬।
- ↑ "চিত্রা নদীর নৌকা বাইচ এখন নড়াইলের সেরা উৎসব"। Dhaka Tribune Bangla। ২০১৮-০৯-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৬।
- ↑ "ঢাকায় নৌকার হাট"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৬।
- ↑ "ঐতিহ্যে নৌকা"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৬।
- ↑ ঘোষ, দেবলীনা; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "বাংলাদেশের নৌকার যতো মজার নাম"। bangla.bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৬।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |