২০২২-এ শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোঠাভয় রাজাপক্ষের সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নির্দলীয় বিক্ষোভকারী, প্রধানত সাধারণ জনগণ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা চলমান বিক্ষোভের একটি ধারা হলো ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ আন্দোলন, যেটি মূলত সরকার কর্তৃক অর্থনীতির অব্যবস্থাপনা এবং তীব্র মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরির অভিযোগে অভিযুক্ত, দৈনিক বিদ্যুৎ বিভ্রাট, জ্বালানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতিজনিত কারণে সংঘটিত হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা রাজাপক্ষ পরিবার দ্বারা পরিচালিত সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার দাবি জানিয়েছে।[৬][৭] বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নন এবং কেউ কেউ রাজনৈতিক বিরোধীদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।[৮]
২০২২ শ্রীলঙ্কা বিক্ষোভ | |||
---|---|---|---|
তারিখ | ১৬ মার্চ ২০২২ – বর্তমান | ||
অবস্থান | শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য অনেক দেশে শ্রীলঙ্কান সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ | ||
কারণ |
| ||
লক্ষ্য |
| ||
পদ্ধতি | বিক্ষোভ, অনলাইন প্রতিবাদ, দাঙ্গা | ||
অবস্থা | চলমান
| ||
পক্ষ | |||
| |||
নেতৃত্ব দানকারী | |||
মূলত অসংগঠিত ও বিকেন্দ্রীভূত নেতৃত্ব
| |||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||
|
টাইমলাইন
সম্পাদনা২০২২ সালের মার্চ মাসে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। নিচে এ বিক্ষোভের কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হলোঃ
১৫ মার্চ
সম্পাদনাশ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধীদল এসজেবি'র সমর্থকেরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগ দাবিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে।[৯]
৩১ মার্চ
সম্পাদনাবহু সাধারণ বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দমাতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে। এরপর বিক্ষোভকারীরা দুটি সামরিক বাস এবং একটি পুলিশ জিপে আগুন ধরিয়ে দেয়, তারা পুলিশ অফিসারদের দিকে পাথর ছুড়ে এবং টায়ার জ্বালিয়ে কলম্বোর প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখে। কলম্বোজুড়ে জারি করা হয় কারফিউ। সহিংসতায় ৫০ জন আহত হন। পুলিশ ৪৫ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে।[১০]
৩ এপ্রিল
সম্পাদনাশ্রীলঙ্কাজুড়ে ফেসবুক,ইউটিউব,টুইটার,ইন্সটাগ্রাম,হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।[১১] শ্রীলঙ্কাজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। এদিন রাজাপাকসের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দেন। যারা পদত্যাগ করেছেন তাদের মধ্যে নামল রাজাপাকসেও রয়েছে, যিনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্ল্যাকআউটের সমালোচনা করেছিলেন। রাজাপাকসে পরিবারের দুই মন্ত্রী চামাল রাজাপাকসে এবং বাসিল রাজাপাকসেও পদত্যাগ করেন।[১২]
৪ এপ্রিল
সম্পাদনানতুন মন্ত্রীসভা গঠন করেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে। যেখানে আলি সাবরিকে অর্থমন্ত্রী,জিএল পেইরিসকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী,দিনেশ গুনাওয়ার্দেনাকে শিক্ষামন্ত্রী এবং জনস্টন ফার্নান্দোকে হাইওয়ে মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করান।[১৩] রাষ্ট্রপতি রাজাপাকসে সঙ্কটের সমাধানের জন্য তার প্রস্তাবিত ঐক্য সরকারে যোগদানের জন্য বিরোধীদের আমন্ত্রণ জানান। এদিনও দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। নতুন মন্ত্রীসভা গঠনের খবরে বিক্ষোভ আরো তীব্র হয়ে উঠে।
৫ এপ্রিল
সম্পাদনাজরুরি অবস্থা জারি করার পর প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে অধীবেশন বসে। ক্ষমতাসীন এসএলপিপি সরকার তার মূল মিত্রদের সমর্থন হারাতে শুরু করে।[১৪] শ্রীলঙ্কা পোডুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) এর ৯ জন সংসদ সদস্য সরকার থেকে সরে যাওয়ার এবং স্বাধীন ব্যক্তি হিসেবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন, অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি (এসএলএফপি),সিলন ওয়ার্কার্স কংগ্রেস (সিডব্লিউসি) এবং অল সিলন মাক্কাল কংগ্রেস (এসিএমসি) সরকার ছেড়ে বিরোধী দলে চলে যায়।[১৫] বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী সংসদের সামনে জড়ো হয়,পুরো মন্ত্রিসভার পদত্যাগের দাবিতে গোটা গো হোম এবং গো হোম রাজাপাকসাস স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।[১৬]
৯ এপ্রিল
সম্পাদনাকলম্বোজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ হয়। এদিন বিক্ষোভকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে কলম্বোর বৃহত্তম পার্ক গল ফেস গ্রিন-এ বিশাল বিক্ষোভ এবং সমাবেশের পরিকল্পনা করেছিল। তবে ভূমি উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষ গল ফেস গ্রিন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এই সত্ত্বেও, হাজার হাজার মানুষ বৃহৎ সংখ্যায় জড়ো হয় এবং গল ফেস-এ বিক্ষোভে যোগদান করে। প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রপাত সত্ত্বেও, বিক্ষোভকারীরা তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছিল। তারা রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।[১৭]
১৯ এপ্রিল
সম্পাদনাএদিন সকাল থেকে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরা রামবুক্কানা ক্রসিং-এ রেলপথে বাধা দিয়ে প্রতিবাদ করতে শুরু করে,১৫ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে রামবুক্কানার সমস্ত রাস্তা অবরোধ করে রাখে তারা। পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছোড়ে।[১৮] পুলিশের মুখপাত্রের মতে, বিক্ষোভকারীরা ঢিল ছুঁড়ে এবং একটি জ্বালানি বাউজার এবং একটি থ্রি-হুইলারে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করার পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালাতে বাধ্য হয়।[১৯] তবে প্রতিবাদকারীরা দাবি করে যে পুলিশ গাড়িতে আগুন দিয়েছে।[২০] বিক্ষোভকারীদের দ্বারা প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে যে তারা একটি জ্বালানী স্টেশনে আগুন নিভানোর চেষ্টা করছে।[২১] ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন যে পুলিশ না আসা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা প্রাথমিকভাবে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিল এবং পুলিশই যানবাহন পুড়িয়ে দিয়েছে।[২২]
এ ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য কেগালে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নিশ্চিত করা হয় যে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১২ জন আহত হয়েছে।[২৩]
২৮ এপ্রিল
সম্পাদনাএদিন, ১,০০০ টিরও বেশি ট্রেড ইউনিয়ন কলম্বোর বিহারমহাদেবী পার্কে সরকারের বিরুদ্ধে চলমান জনবিক্ষোভের সমর্থনে একটি বিশাল দ্বীপ ব্যাপী একদিনের টোকেন ধর্মঘট পরিচালনা করে।[২৪] ব্যাংকিং, বন্দর, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বৃক্ষরোপণ, রেলওয়ে এবং পেট্রোলিয়ামের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়নগুলি একদিনের ধর্মঘটে অংশ নেয়।[২৫]
৫ মে
সম্পাদনাএদিন শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ঘেরাও করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিক্ষোভ করে। এর নাম দেওয়া হয় গোটা গো গামা বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে।[২৬]
৬ মে
সম্পাদনাদেশজুড়ে দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া।[২৭] শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর সহিংসতা এবং জরুরি অবস্থার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দা জানানো হয়।[২৮]
৯ মে
সম্পাদনাকলম্বোসহ অন্য কয়েকটি স্থানে সরকার ও বিরোধী দলগুলোর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর পর ক্ষমতাসীন দলের এক এমপির লাশ উদ্ধার হয়। রাজধানী কলম্বোর কাছের নিত্তামবুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।[২৯]
বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষ রাষ্ট্রপতির কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন।[৩০] পদত্যাগের পর, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্ররোচিত করার অভিযোগ উঠে রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে।[৩১]
দেশটির উইলোরাওয়াট এলাকায় মোরাতুয়ার মেয়র সামান লাল ফার্নান্দোর সরকারি বাসভবনে আগুন দেয় একদল সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী। পরে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।[৩২]
১০ মে
সম্পাদনাহাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজাপাকসের সরকারী বাসভবনের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। বিক্ষোভকারীরা জোরপূর্বক কলম্বোর টেম্পল ট্রিস বাসভবনে প্রবেশ করার পর প্রধান দ্বিতল ভবনে হামলার চেষ্টা করে। এই বাসভবনেই রাজাপাকস তার নিকটাত্মীয় ও পরিবারের সাথে অবস্থান করছিলেন। অবশ্য বিক্ষোভকারীদের আটকাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। সেদিন বাসভবনের কম্পাউন্ডে কমপক্ষে ১০টি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। তারপর,পদত্যাগকৃত প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নিরাপদে পূর্বাঞ্চলীয় শহর ত্রিঙ্কোমালিতে সরিয়ে নেয় দেশটির সেনাবাহিনী।[৩৩][৩৪]
১১ মে
সম্পাদনাশ্রীলঙ্কা সরকার সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে। সেনাবাহিনীকে কোনো সতর্কতা ছাড়াই ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত আটক রাখার ক্ষমতা দেওয়া হয়।[৩৫] অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে সরকার সামরিক শাসনের পরিকল্পনা করছে এবং সামরিক আইন ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে,কিন্তু প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা তা অস্বীকার করেন।[৩৬] এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।[৩৭]
৯ জুন
সম্পাদনাশ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসে তার জাতীয় তালিকার এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করন।[৩৮]
৯ জুলাই
সম্পাদনাশ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগ দাবিতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী জড়ো হন।[৩৯] বিক্ষোভকারীরা জড়ো হওয়ার পুর্বেই গোতাবায়া নিজ বাসভবন থেকে পালিয়ে যান।[৪০] পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে।[৪১] কিন্তু শেষপর্যন্ত আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্ট ভবনের ভিতরে প্রবেশ করে।[৪২] এছাড়া তারা রাষ্ট্রপতির সচিবালয়,টেম্পল ট্রিস,প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন এবং প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের ব্যক্তিগত বাসভবন ঘিরে জড়ো হয়। বিক্ষোভে অন্তত ৫৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।[৪৩]সেদিন সন্ধ্যায়,প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।[৪৪]
সেদিন,শ্রীলঙ্কা পুলিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে। চারজন সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগও উঠে শ্রীলঙ্কা পুলিশের বিরুদ্ধে।[৪৫] পরে জানা যায়, পুলিশের এসএসপি রোমেশ লিয়ানাগে সাংবাদিকদের উপর হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই এসএসপির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় পুলিশ।[৪৬]
এদিন,শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার জানান,প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে পদত্যাগ করবেন। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেও নিজের পদত্যাগ করার ইচ্ছা পোষণ করেন।[৪৭] কিছু বিক্ষোভকারী রাষ্ট্রপতি ভবন, ট্যাম্পল ট্রি এবং রাষ্ট্রপতি সচিবালযয়ে রাত কাটান।
১০ জুলাই
সম্পাদনাপ্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অগ্নিসংযোগের দায়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।[৪৮]
রাষ্ট্রপতির ভবন একটি পর্যটক আকর্ষণে পরিণত হয়। নানা সংকটের মাঝেও রাষ্ট্রপতির ভোগ-বিলাশ দেখতে বিক্ষোভকারীরা সেখানে জড়ো হয়।[৪৯]
১১ জুলাই
সম্পাদনাশ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোকে জানায়,গোতাবায়া রাজাপক্ষ শ্রীলঙ্কার জলসীমায় অবস্থানগত এক নৌবাহিনীর জাহাজে অবস্থান করছেন।[৫০] পার্লামেন্টের স্পিকার দাবি করেন যে গোতাবায়া দেশ ছেড়েছেন এবং ১৩ জুলাইয়ের মধ্যেই ফিরে আসবেন, কিন্তু পরে তিনি ঘোষণা করেন যে রাষ্ট্রপতি এখনও দেশে আছেন এবং তার আগের বিবৃতিটি ভুল বলে অবহিত করেন।[৫১]
১২ জুলাই
সম্পাদনাএদিন সকালে,রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া বিমান বাহিনীর এক বিমান করে দেশত্যাগ করেন। তিনি দেশ ছেড়ে মালদ্বীপ গেছেন বলে নিশ্চিত করা হয়।[৫২]
১৩ জুলাই
সম্পাদনাপার্লামেন্টের স্পিকার বিকেলে ঘোষণা করেন যে রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে তার অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।[৫৩] প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা চালায়।[৫৪] ফলে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।[৫৫]
বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্র-চালিত টেলিভিশন চ্যানেল শ্রীলঙ্কা রূপাবাহিনি কর্পোরেশন-এর অফিস চত্বরে ঢুকে পড়ে এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সংবাদ প্রচারের দাবি জানায়।[৫৬] কিছুক্ষণের জন্য চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে সরাসরি সম্প্রচার পুনরায় চালু হয়।[৫৭] আরেকটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (আইটিএন)ও বন্ধ করে দেওয়া হয়, এটিও পরে সরাসরি সম্প্রচার শুরু করে।[৫৮]
সন্ধ্যায়, বিক্ষোভকারীরা সংসদের দিকে যাওয়ার রাস্তা বরাবর স্থাপন করা পুলিশ ব্যারিকেডগুলি ভঙ্গ করার চেষ্টা করে।[৫৯] পরে সেই রাতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি বিক্রমাসিংহে পরের দিন সকাল ৫টা পর্যন্ত দেশব্যাপী কারফিউ ঘোষণা করেন।[৬০]
১৪ জুলাই
সম্পাদনারাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান।[৬১] তবে সিঙ্গাপুর জানায়,তারা গোতাবায়াকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে না। তিনি সিঙ্গাপুরে ব্যক্তিগত সফরে গেছেন বলে দাবি করে সিঙ্গাপুর।[৬২]
রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে ১৪ জুলাই দিনের শেষ দিকে সংসদের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র ইমেল করেন।[৬৩]
১৫ জুলাই
সম্পাদনাপ্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে।[৬৪] কলম্বোজুড়ে সাধারণ মানুষ আনন্দ মিছিল করে।[৬৫]
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগের পর দখল করা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো শান্তিপূর্ণভাবে ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলেও অনেকটা শান্ত থাকে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি।[৬৬]
এরপর,শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ।[৬৭]
১৬ জুলাই
সম্পাদনানতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে বিশেষ অধিবেশন বসে। অধিবেশনে শ্রীলঙ্কার পদত্যাগকৃত প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগপত্র পাঠ করা হয়। পদত্যাগপত্রে নিজের পক্ষে কথা বলেন গোতাবায়া।[৬৮]পদত্যাগ পত্রে তিনি দাবি করেন, দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। চলমান দুর্দশার জন্য করোনা মহামারি ও লকডাউনকে দায়ী করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, এই সময়ে পর্যটক হ্রাসের পাশাপাশি কমে যায় প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো। এছাড়া তিনি দায়িত্ব নেয়ার আগেই বিভিন্ন আর্থিক অব্যবস্থাপনার কথাও তুলে ধরেন। সর্বদলীয় সরকার গঠনে পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেও দাবি করেন রাজাপাকসে।[৬৯]
পার্লামেন্টের অধিবেশনে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য ঘোষণা করেন দেশটির পার্লামেন্টের সেক্রেটারি জেনারেল ধামিকা দাসানায়েক।[৭০]
১৮ জুলাই
সম্পাদনা২০ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে,১৮ জুলাই দেশজুড়ে আবারও জরুরি অবস্থা জারির করেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন,জননিরাপত্তা, শৃঙ্খলা রক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও পরিসেবার রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে জনসাধারণের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।[৭১]
২০ জুলাই
সম্পাদনাশ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রনিল বিক্রমসিংহ। নির্বাচনে ১৩৪ ভোট পান তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুল্লাস আলহাপ্পেরুমা পান ৮২ ভোট। এছাড়া আরেক প্রার্থী অনুরা কুমারা দিসানায়েকে পান ৩ ভোট। [৭২] প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় কলম্বোজুড়ে পূণরায় তীব্র হয়।[৭৩]
আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ
সম্পাদনামার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, লস অ্যাঞ্জেলেসে গোটাবায়া রাজাপাকসের ছেলের বাসভবনের বাইরে একটি সহ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে যে সময়ে বিক্ষোভকারীরা তার বাবাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত তলব করার দাবি জানিয়ে ইংল্যান্ডের লন্ডনে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনের সামনে একটি বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ফেডারেশন স্কোয়ারে এবং নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের মাউন্ট ওয়েলিংটনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায়, পার্থ, ব্রিসবেন এবং সিডনির মতো অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছিল৷
এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ফেডারেশন স্কোয়ারে এবং নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের মাউন্ট ওয়েলিংটনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায়, পার্থ, ব্রিসবেন এবং সিডনির মতো অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছিল৷
১৩ জুলাই গোতাবায়া রাজাপাকসেকে মালদ্বীপে আশ্রয় না দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করে মালদ্বীপে অবস্থানরত শ্রীলঙ্কানরা।[৭৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Sri Lanka's all-powerful Rajapaksas under fire"। France 24 (ইংরেজি ভাষায়)। ১ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ Dhillon, Amrit (১ এপ্রিল ২০২২)। "Sri Lanka: 50 injured as protesters try to storm president's house amid economic crisis"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "Sri Lanka arrests over 600 protestors violating curfew in Western Province"। The New Indian Express। ৩ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "Man gets electrocuted while protesting against power cuts in Sri Lanka: Police"। Deccan Herald। Colombo। ৩ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "Sri Lanka president declares public emergency after protests against economic crisis"। The Guardian। ২ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ Dhillon, Amrit (২০২২-০৪-০১)। "Sri Lanka: 50 injured as protesters try to storm president's house amid economic crisis"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০৩।
- ↑ "Main opposition SJB to hold mass protest rally in Colombo"। NewsWire। ১৩ মার্চ ২০২২। ১৫ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ Nadeera, Dilshan। "The betrayal of the young" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০৩।
- ↑ "Sri Lankan protesters demand president quit over economic crisis"। Al Jazeera। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২২।
- ↑ "Protest near President's residence"। Island। ১ এপ্রিল ২০২২। ১ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "চারিদিকে জ্বলছে আগুণ, পাম্পে নেই তেল, বিক্ষোভ রুখতে শ্রীলঙ্কায় নিষিদ্ধ হল সমস্ত স্যোশাল মিডিয়া"। banglahunt.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Lankan PM's Son Resigns As Minister Amid Economic Crisis"। NDTV.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "শ্রীলঙ্কায় নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন চারজন"। bangla.dhakatribune.com। ২০২২-০৪-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Sri Lanka's ruling coalition loses majority in Parliament as 41 lawmakers walked out dgtl"। www.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ টেলিভিশন। "সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল রাজাপাকসের জোট সরকার"। একুশে টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার"। সময় সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "State, Private University students march together in protest"। Sri Lanka News - Newsfirst (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৪-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Police fire tear gas at protesters in Rambukkana"। www.adaderana.lk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Police confirm they opened fire on protestors in Rambukkana - Breaking News | Daily Mirror"। www.dailymirror.lk (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "RAMBUKKANA UNDER POLICE FIRE"। www.dailymirror.lk (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Rambukkana shooting : IGP's statement"। NewsWire (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৪-১৯। ২০২২-০৫-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Unrest in Rambukkana: State level contradictions galore as victims await justice - News Features | Daily Mirror"। www.dailymirror.lk (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Sri Lanka crisis: One killed after police fire live bullets at protesters"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৪-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Large-scale strike action tomorrow"। NewsWire (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৪-২৭। ২০২২-০৫-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "1,000+ unions to go on strike in Sri Lanka on April 28 demanding govt resignation | EconomyNext"। economynext.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ bugsbunny (২০২২-০৫-০৫)। "Horu Go Gama established near Parliament"। Colombo Gazette (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "শ্রীলঙ্কায় আবারও জরুরি অবস্থা জারি"। banglanews24.com। ২০২২-০৫-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "UNICEF condemns violance against Children during Sri Lanka protests"। NewsWire (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৫-০৭। ২০২২-০৬-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ ডেস্ক, প্রথম আলো। "শ্রীলঙ্কায় সংঘর্ষের মধ্যে এমপি নিহত"। www.prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Wadud। "অবশেষে পদত্যাগ করলেন লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী – Jamuna Television" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "MR's parting shot of violence at the Galle Face Prime Minister leaves office only after almost setting the country on fire - Recomended News | Daily Mirror"। www.dailymirror.lk (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "শ্রীলঙ্কায় মেয়রের বাসভবনে আগুন, সাবেক এমপির বাড়িতে হামলা | দেশ রূপান্তর"। Desh Rupantor। ২০২২-০৫-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ Dhakatimes24.com। "সেনাদের সহায়তায় 'টেম্পল ট্রিজ' ছাড়লেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে"। Dhakatimes News। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Protest outside Trincomalee Naval Base as MR and family allegedly inside - Latest News | Daily Mirror"। www.dailymirror.lk (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ ডেস্ক, স্টার অনলাইন (২০২২-০৫-১০)। "শ্রীলঙ্কায় সরকারি সম্পদ বিনষ্টকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ"। The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "শ্রীলঙ্কায় সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা উড়িয়ে দিলেন প্রতিরক্ষা প্রধান"। Bangla Tribune। ২০২২-০৫-১১। ২০২২-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "US concerned over military deployment in Sri Lanka"। Sri Lanka News - Newsfirst (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৫-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Basil leaves: Sri Lanka's former finance minister quits parliament ahead of 21st amendment"। EconomyNext (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৬-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী"। ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "বাড়ি ছেড়ে পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২০২২-০৭-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Protesters tear-gassed twice during mass demonstration in Colombo"। www.adaderana.lk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Protestors storm Sri Lanka president's official residence in popular uprising"। EconomyNext (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৭-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও এবার 'হানা', আহত ৫৫"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২০২২-০৭-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "শ্রীলংকায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন"। Sarabangla। ২০২২-০৭-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Police attack journalists covering protests"। NewsWire (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৭-০৯। ২০২২-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Attack on Journalists : Disciplinary action against SSP"। Sri Lanka News - Newsfirst (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৭-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "পদত্যাগ করছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২০২২-০৭-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "PM House Fire: Three arrested for arson"। Sri Lanka News - Newsfirst (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৭-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "লঙ্কান প্রেসিডেন্ট ভবনের সুইমিং পুলে বিক্ষোভকারীদের উল্লাস"। আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "নৌবাহিনীর জাহাজে আত্মগোপনে লঙ্কান প্রেসিডেন্ট"। দৈনিক পূর্বকোণ। ২০২২-০৭-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ ডেস্ক, স্টার অনলাইন (২০২২-০৭-১১)। "ভুলে বলেছি প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়েছেন: শ্রীলঙ্কার স্পিকার"। The Daily Star Bangla। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ Rahman, Mustafizur। "সামরিক বিমানে মালদ্বীপে পালালেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া"। Barta24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ Rahman, Mustafizur। "শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট: স্পিকার"। Barta24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা, জরুরি অবস্থা ঘোষণা"। unb.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি"। কালের কণ্ঠ। ২০২২-০৭-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "রাষ্ট্রীয় চ্যানেল দখলে নিয়ে খবর পড়ল বিক্ষোভকারীরা"। সময় সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বন্ধের পর আবার চালু"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Sri Lanka crisis: 2 state-run channels go off air amid stir, one resumes service"। Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৭-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "Sri Lanka crisis: Protesters break barricades around Parliament"। Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৭-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "শ্রীলঙ্কায় ফের কারফিউ জারি"। jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "সিঙ্গাপুর পৌঁছেছেন গোতাবায়া"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২০২২-০৭-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "গোতাবায়াকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে না সিঙ্গাপুর"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "ই-মেইল পাঠিয়ে পদত্যাগ করলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট"। বার্তা২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "অবশেষে পদত্যাগ করলেন গোতাবায়া"। ঢাকাটাইমস। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "পদত্যাগ করলেন গোতাবায়া : কলম্বোতে আনন্দ মিছিল"। বহুমাত্রিক। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "শ্রীলঙ্কায় দখল করা সরকারি ভবনগুলো ছেড়ে দেবেন বিক্ষোভকারীরা"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে"। ঢাকাপোস্ট। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৫।
- ↑ "নিজের পদত্যাগপত্রে যা বলেছেন গোতাবায়া রাজাপাকসে"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৬।
- ↑ "পদত্যাগ পত্রে নিজের পক্ষেই সাফাই গাইলেন রাজাপাকসে"। যমুনা টেলিভিশন। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৬।
- ↑ "শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য ঘোষণা"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৬।
- ↑ "শ্রীলঙ্কায় ফের জরুরি অবস্থা জারি"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৮।
- ↑ ডেস্ক, স্টার অনলাইন (২০২২-০৭-২০)। "শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে"। ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২০।
- ↑ "Sri Lanka Crisis: রনিল নতুন প্রেসিডেন্ট হতেই শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ জোরালো হওয়ার ইঙ্গিত"। aajkaal.in। ২০২২-০৭-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২০।
- ↑ "গোটাবায়াকে আশ্রয় দেয়ায় মালদ্বীপে বিক্ষোভ"। দৈনিক জনকন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৯।