২০১০ পুরুষ হকি বিশ্বকাপ
২০১০ পুরুষ হকি বিশ্বকাপ হল আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন পরিচালিত পুরুষ হকি বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর যা ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ভারতের নয়া দিল্লি শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এই আসরে অস্ট্রেলিয়া বিজয়ী হয়, তারা ফাইনালে ২-১ গোলে জার্মানিকে পরাজিত করে।[১]
2010 पुरुष हाॅकी बिश्व कप | |||
---|---|---|---|
প্রতিযোগিতার বিস্তারিত | |||
স্বাগতিক দেশ | ভারত | ||
শহর | নয়া দিল্লি | ||
তারিখ | ২৮ ফেব্রুয়ারি – ১৩ মার্চ | ||
দল | ১২ (৫টি কনফেডারেশন থেকে) | ||
মাঠ | মেজর ধ্যানচাঁদ জাতীয় স্টেডিয়াম | ||
শীর্ষ তিনটি দল | |||
চ্যাম্পিয়ন | অস্ট্রেলিয়া (২য় শিরোপা) | ||
রানার-আপ | জার্মানি | ||
তৃতীয় স্থান | নেদারল্যান্ডস | ||
প্রতিযোগিতার পরিসংখ্যান | |||
ম্যাচ সংখ্যা | ৩৮ | ||
গোল সংখ্যা | ১৯৯ (ম্যাচ প্রতি ৫.২৪টি) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | লিউক ডার্নার (৯ গোল) | ||
সেরা খেলোয়াড় | গুস ভোগেল্স | ||
|
এফআইএইচ ভারতীয় হকি ফেডারেশনের "প্রমোটিং ইন্ডিয়ান হকি" প্রোগ্রামের অগ্রগতি এবং চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ভারতের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করলে এবং "কোন ক্ষেত্রেই সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়নি" বলে সতর্ক করে দিলে এই অনুষ্ঠানের ভারতের আয়োজন নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়।[২] সন্তোষজনক অগ্রগতি না হলে ভারত বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার হারাতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল।[৩] এটি ১৮ জুলাই ২০০৮-এ নিশ্চিত করা হয় যে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে হোস্টিং অধিকার প্রদান করেছে।[৪]
দল
সম্পাদনাপাঁচটি কনফেডারেশন এবং আয়োজক দেশ থেকে মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদের প্রত্যেকেই একটি স্বয়ংক্রিয় কোটা পেয়েছিল। ইউরোপীয় কনফেডারেশন ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের সমাপ্তিতে এফআইএইচ বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের উপর ভিত্তি করে তিনটি অতিরিক্ত কোটা পেয়েছিল। তিনটি বাছাই পথের প্রতিটির তিনজন বিজয়ী ছাড়াও, চূড়ান্ত প্রাক-টুর্নামেন্ট র্যাঙ্কিং সহ নিম্নলিখিত বারোটি দল এই টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।[৫]
তারিখ | ইভেন্ট | অবস্থান | কোটা | উত্তীর্ণ দল |
---|---|---|---|---|
আয়োজক দেশ | ১ | ভারত (১২) | ||
৭–১৫ মার্চ ২০০৯ | ২০০৯ প্যান আমেরিকান কাপ | সান্তিয়াগো, চিলি | ১ | কানাডা (১১) |
৯–১৬ মে ২০০৯ | ২০০৯ এশিয়া কাপ | কুয়ান্তান, মালয়েশিয়া | ১ | দক্ষিণ কোরিয়া (৫) |
১০–১৮ জুলাই ২০০৯ | ২০০৯ আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স | আক্রা, ঘানা | ১ | দক্ষিণ আফ্রিকা (১৩) |
২২–৩০ আগস্ট ২০০৯ | ২০০৯ ইউরোহকি চ্যাম্পিয়নশিপ | আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস | ৪ | ইংল্যান্ড (৬) জার্মানি (১) নেদারল্যান্ডস (৪) স্পেন (৩) |
২৫–২৯ আগস্ট ২০০৯ | ২০০৯ ওশেনিয়া কাপ | ইনভারকার্গিল, নিউজিল্যান্ড | ১ | অস্ট্রেলিয়া (২) |
৩১ অক্টোবর – ৮ নভেম্বর ২০০৯ | বাছাই পথ ১ | লিল, ফ্রান্স | ১ | পাকিস্তান (৭) |
৭–১৫ নভেম্বর ২০০৯ | বাছাইপর্ব পথ ২ | ইনভারকার্গিল, নিউজিল্যান্ড | ১ | নিউজিল্যান্ড (৮) |
১৪–২২ নভেম্বর ২০০৯ | বাছাই পথ ৩ | কুইলমেস, আর্জেন্টিনা | ১ | আর্জেন্টিনা (১৪) |
মোট | ১২ |
আম্পায়ার
সম্পাদনা- ক্রিশ্চিয়ান ব্লাশখ (জার্মানি)
- গেড কারেন (স্কটল্যান্ড)
- ডেভিড জেন্টলস (অস্ট্রেলিয়া)
- কলিন হাচিনসন (আয়ারল্যান্ড)
- হ্যামিশ জ্যামসন (ইংল্যান্ড)
- কিম হং-লাই (দক্ষিণ কোরিয়া)
- সতীন্দ্র কুমার (ভারত)
- অ্যান্ডি মায়ার (স্কটল্যান্ড)
- রঘু প্রসাদ (ভারত)
- টিম পুলম্যান (অস্ট্রেলিয়া)
- মার্সেলো সারভেত্তো (স্পেন)
- গ্যারি সিমন্ডস (দক্ষিণ আফ্রিকা)
- অমরজিৎ সিং (মালয়েশিয়া)
- সিমন টেলর (নিউজিল্যান্ড)
- রোয়েল ভ্যান আর্ট (নেদারল্যান্ডস)
- জন রাইট (দক্ষিণ আফ্রিকা)
গ্রুপ পর্ব
সম্পাদনাপুল এ
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | জার্মানি | ৫ | ৩ | ২ | ০ | ১৯ | ৯ | +১০ | ১১ | সেমি-ফাইনাল |
২ | নেদারল্যান্ডস | ৫ | ৩ | ১ | ১ | ১৫ | ৫ | +১০ | ১০ | |
৩ | দক্ষিণ কোরিয়া | ৫ | ৩ | ১ | ১ | ১৬ | ৮ | +৮ | ১০ | ৫ম স্থান নির্ধারক |
৪ | আর্জেন্টিনা | ৫ | ২ | ০ | ৩ | ৯ | ১১ | −২ | ৬ | ৭ম স্থান নির্ধারক |
৫ | নিউজিল্যান্ড | ৫ | ২ | ০ | ৩ | ৮ | ১২ | −৪ | ৬ | ৯ম স্থান নির্ধারক |
৬ | কানাডা | ৫ | ০ | ০ | ৫ | ৬ | ২৮ | −২২ | ০ | ১১শ স্থান নির্ধারক |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) মোট জয়লাভ; ৩) গোল পার্থক্য; ৪) স্বপক্ষে গোল; ৫) হেড-টু-হেড ফলাফল।[৬]
পুল বি
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | অস্ট্রেলিয়া | ৫ | ৪ | ০ | ১ | ২৩ | ৬ | +১৭ | ১২ | সেমি-ফাইনাল |
২ | ইংল্যান্ড | ৫ | ৪ | ০ | ১ | ১৭ | ১২ | +৫ | ১২ | |
৩ | স্পেন | ৫ | ৩ | ০ | ২ | ১২ | ৮ | +৪ | ৯ | ৫ম স্থান নির্ধারক |
৪ | ভারত (H) | ৫ | ১ | ১ | ৩ | ১৩ | ১৭ | −৪ | ৪ | ৭ম স্থান নির্ধারক |
৫ | দক্ষিণ আফ্রিকা | ৫ | ১ | ১ | ৩ | ১৩ | ২৮ | −১৫ | ৪ | ৯ম স্থান নির্ধারক |
৬ | পাকিস্তান | ৫ | ১ | ০ | ৪ | ৯ | ১৬ | −৭ | ৩ | ১১শ স্থান নির্ধারক |
শ্রেণীবিভাগ
সম্পাদনা৫ম-১২শ শ্রেণীবিভাগ
সম্পাদনা১১শ/১২শ স্থান নির্ধারক
সম্পাদনা
|
৯ম/১০ম স্থান নির্ধারক
সম্পাদনা
|
৭ম/৮ম স্থান নির্ধারক
সম্পাদনা
|
৫ম/৬ষ্ঠ স্থান নির্ধারক
সম্পাদনা
|
১ম-৪র্থ শ্রেণীবিভাগ
সম্পাদনাবন্ধনী
সম্পাদনাসেমি-ফাইনাল | ফাইনাল | ||||||
১১ মার্চ | |||||||
জার্মানি | ৪ | ||||||
ইংল্যান্ড | ১ | ||||||
১৩ মার্চ | |||||||
জার্মানি | ১ | ||||||
অস্ট্রেলিয়া | ২ | ||||||
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী | |||||||
১১ মার্চ | ১৩ মার্চ | ||||||
অস্ট্রেলিয়া | ২ | ইংল্যান্ড | ৩ | ||||
নেদারল্যান্ডস | ১ | নেদারল্যান্ডস | ৪ |
৩য় স্থান নির্ধারক
সম্পাদনা
|
ফাইনাল
সম্পাদনা
|
পুরস্কার
সম্পাদনাসেরা খেলোয়াড় | সর্বোচ্চ গোলদাতা | সেরা গোলকিপার | সেরা ডিফেন্ডার | ফেয়ার প্লে পুরস্কার |
---|---|---|---|---|
গুস ভোগেল্স | লিউক ডার্নার | গুস ভোগেল্স | ম্যাক্সিমিলিয়ান মুলার | নিউজিল্যান্ড |
পরিসংখ্যান
সম্পাদনাসর্বশেষ অবস্থান
সম্পাদনাঅব | গ্রুপ | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | অন্তিম অবস্থান |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বি | অস্ট্রেলিয়া | ৭ | ৬ | ০ | ১ | ২৭ | ৮ | +১৯ | ১৮ | স্বর্ণপদক |
২ | এ | জার্মানি | ৭ | ৪ | ২ | ১ | ২৪ | ১২ | +১২ | ১৪ | রৌপ্যপদক |
৩ | এ | নেদারল্যান্ডস | ৭ | ৪ | ১ | ২ | ২০ | ১০ | +১০ | ১৩ | ব্রোঞ্জপদক |
৪ | বি | ইংল্যান্ড | ৭ | ৪ | ০ | ৩ | ২১ | ২০ | +১ | ১২ | চতুর্থ স্থান |
৫ | বি | স্পেন | ৬ | ৪ | ০ | ২ | ১৪ | ৮ | +৬ | ১২ | গ্রুপ পর্বে বিদায়প্রাপ্ত |
৬ | এ | দক্ষিণ কোরিয়া | ৬ | ৩ | ১ | ২ | ১৬ | ১০ | +৬ | ১০ | |
৭ | এ | আর্জেন্টিনা | ৬ | ৩ | ০ | ৩ | ১৩ | ১৩ | ০ | ৯ | |
৮ | বি | ভারত (H) | ৬ | ১ | ১ | ৪ | ১৫ | ২১ | −৬ | ৪ | |
৯ | এ | নিউজিল্যান্ড | ৬ | ২ | ১ | ৩ | ১২ | ১৬ | −৪ | ৭ | |
১০ | বি | দক্ষিণ আফ্রিকা | ৬ | ১ | ২ | ৩ | ১৭ | ৩২ | −১৫ | ৫ | |
১১ | এ | কানাডা | ৬ | ১ | ০ | ৫ | ৯ | ৩০ | −২১ | ৩ | |
১২ | বি | পাকিস্তান | ৬ | ১ | ০ | ৫ | ১১ | ১৯ | −৮ | ৩ |
গোলদাতা
সম্পাদনাএই প্রতিযোগিতায় ৩৮টি ম্যাচে ১৯৯টি গোল হয়েছে, যা ম্যাচ প্রতি গড়ে ৫.২৪টি গোল।
৯টি গোল
৭টি গোল
৬টি গোল
৪টি গোল
উৎস: এফআইএইচ
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "World Cup goes to Australia!"। ২০১০-০৩-১৩। ২৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-০৩।
- ↑ "FIH requires urgent action from India"। FIH। ২০০৮-০৩-৩১। ২৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-০৩।
- ↑ "India warned it could lose right to host 2010 Hockey World Cup"। Reuters India। ২০০৮-০৪-০১। ২৯ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-০৩।
- ↑ "FIH books progress in India"। FIH। ২০০৮-০৭-১৮। ২৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-০৩।
- ↑ "Qualification Criteria, Men's and Women's World Cups, 2010" (পিডিএফ)। FIH। সেপ্টেম্বর ২০০৮। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৩।
- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;2010HockeyWCregulations
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি