১৯৯৪–৯৫ বুন্দেসলিগা
১৯৯৪–৯৫ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৩২তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৯৪ সালের ১৯শে আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৯৫ সালের ১৭ই জুন তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১][২] শালকের জার্মান মধ্যমাঠের খেলোয়াড় আন্ড্রেয়াস মুলার এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৩]
| মৌসুম | ১৯৯৪–৯৫ |
|---|---|
| তারিখ | ১৯ আগস্ট ১৯৯৪ – ১৭ জুন ১৯৯৫ |
| চ্যাম্পিয়ন | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ১ম বুন্দেসলিগা শিরোপা ৪র্থ জার্মান শিরোপা |
| অবনমন | বোখুম ডুসবুর্গ ডিনামো ড্রেসডেন |
| চ্যাম্পিয়নস লীগ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড |
| কাপ উইনার্স কাপ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ |
| উয়েফা কাপ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ফ্রাইবুর্গ কাইজারস্লাউটার্ন বায়ার্ন মিউনিখ |
| ইন্টারটোটো কাপ | বায়ার লেভারকুজেন কার্লস্রুহার ফ্রাঙ্কফুর্ট কলন |
| মোট খেলা | ৩০৬ |
| মোট গোলসংখ্যা | ৯০২ (ম্যাচ প্রতি ২.৯৫টি) |
| শীর্ষ গোলদাতা |  মারিও বাসলার হাইকো হেরলিখ (২০টি গোল) |
| সবচেয়ে বড় হোম জয় | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ৭–১ বোখুম (২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪) |
| সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয় | কলন ১–৬ ডর্টমুন্ড (২৩ আগস্ট ১৯৯৪) ডুসবুর্গ ০–৫ হামবুর্গার (৩০ অক্টোবর ১৯৯৪) |
| সর্বোচ্চ স্কোরিং | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ৭–১ বোখুম (২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪) শালকে ৬–২ ১৮৬০ (২০ মে ১৯৯৫) কার্লস্রুহার ৫–৩ ড্রেসডেন (২৭ মে ১৯৯৫) |
← ১৯৯৩–৯৪ ১৯৯৫–৯৬ → | |
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৯৩–৯৪ মৌসুমে ৪৪ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১২তম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৪৯ পয়েন্ট অর্জন করে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ১ম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৪র্থ বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। ভেয়ার্ডার ব্রেমেনের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় মারিও বাসলার এবং বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হাইকো হেরলিখ ২০ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন সম্পাদনা
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী তিনটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল।
দল সম্পাদনা
১৯৯৩–৯৪ মৌসুম শেষে নুর্নবার্গ, ভাটেনশাইড এবং লকোমোতিভ লাইপৎসিশ মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে বোখুম, বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন এবং ১৮৬০ মিউনিখ বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
| ক্লাব | অবস্থান | মাঠ[৪] | ধারণক্ষমতা[৪] |
|---|---|---|---|
| বোখুম | বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৩৮,০০০ |
| ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
| বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম | ৪২,৮০০ |
| ডিনামো ড্রেসডেন | ড্রেসডেন | রুডলফ হার্বিগ স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
| ডুসবুর্গ | ডুসবুর্গ | ভেডাউস্টাডিওন | ৩১,৫০০ |
| আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
| ফ্রাইবুর্গ | ফ্রাইবুর্গ ইম ব্রাইসগাউ | ড্রাইসাম স্টেডিয়াম | ১৮,০০০ |
| হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
| কাইজারস্লাউটার্ন | কাইজারস্লাউটার্ন | ফ্রিৎস ভাল্টার স্টেডিয়াম | ৩৮,৫০০ |
| কার্লস্রুহার | কার্লস্রুহে | ভিল্ডপার্কস্টাডিওন | ৪০,০০০ |
| কলন | কোলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৫৫,০০০ |
| বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | উলরিখ হাবারলান্ড স্টেডিয়াম | ২৭,৮০০ |
| বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
| ১৮৬০ মিউনিখ | মিউনিখ | গ্রুনভাল্ডার স্টেডিয়াম | ২৮,৫০০ |
| বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৬৩,০০০ |
| শালকে | গেলজেনকির্খেন | পার্ক স্টেডিয়াম | ৭০,০০০ |
| স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৫৩,৭০০ |
| বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন | ক্রেফেল্ড | গ্রটেনবুর্গ স্টেডিয়াম | ৩৪,৫০০ |
পয়েন্ট তালিকা সম্পাদনা
| অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| ১ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (C) | ৩৪ | ২০ | ৯ | ৫ | ৬৭ | ৩৩ | +৩৪ | ৪৯ | চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ |
| ২ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ২০ | ৮ | ৬ | ৭০ | ৩৯ | +৩১ | ৪৮ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
| ৩ | ফ্রাইবুর্গ | ৩৪ | ২০ | ৬ | ৮ | ৬৬ | ৪৪ | +২২ | ৪৬ | |
| ৪ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১৭ | ১২ | ৫ | ৫৮ | ৪১ | +১৭ | ৪৬ | |
| ৫ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১৭ | ৯ | ৮ | ৬৬ | ৪১ | +২৫ | ৪৩ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
| ৬ | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩৪ | ১৫ | ১৩ | ৬ | ৫৫ | ৪১ | +১৪ | ৪৩ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
| ৭ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১৩ | ১০ | ১১ | ৬২ | ৫১ | +১১ | ৩৬ | ইন্টারটোটো কাপের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ |
| ৮ | কার্লস্রুহার | ৩৪ | ১১ | ১৪ | ৯ | ৫১ | ৪৭ | +৪ | ৩৬ | |
| ৯ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১২ | ৯ | ১৩ | ৪১ | ৪৯ | −৮ | ৩৩ | |
| ১০ | কলন | ৩৪ | ১১ | ১০ | ১৩ | ৫৪ | ৫৪ | ০ | ৩২ | |
| ১১ | শালকে | ৩৪ | ১০ | ১১ | ১৩ | ৪৮ | ৫৪ | −৬ | ৩১ | |
| ১২ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১০ | ১০ | ১৪ | ৫২ | ৬৬ | −১৪ | ৩০ | |
| ১৩ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১০ | ৯ | ১৫ | ৪৩ | ৫০ | −৭ | ২৯ | |
| ১৪ | ১৮৬০ মিউনিখ | ৩৪ | ৮ | ১১ | ১৫ | ৪১ | ৫৭ | −১৬ | ২৭ | |
| ১৫ | বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন | ৩৪ | ৭ | ১১ | ১৬ | ৩৭ | ৫২ | −১৫ | ২৫ | |
| ১৬ | বোখুম (R) | ৩৪ | ৯ | ৪ | ২১ | ৪৩ | ৬৭ | −২৪ | ২২ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
| ১৭ | ডুসবুর্গ (R) | ৩৪ | ৬ | ৮ | ২০ | ৩১ | ৬৪ | −৩৩ | ২০ | |
| ১৮ | ডিনামো ড্রেসডেন (R) | ৩৪ | ৪ | ৮ | ২২ | ৩৩ | ৬৮ | −৩৫ | ১৬ | রেগিওনাললিগায় অবনমিত[খ] |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ কাপ উইনার্স কাপের জন্য উত্তীর্ণ হওয়ায় উয়েফা কাপে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি বায়ার্ন মিউনিখকে প্রদান করা হয়েছিল।
- ↑ জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ডিনামো ড্রেসডেনের পেশাদার অনুমতিপত্র প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং এর ফলে তারা রেগিওনাললিগায় অবনমিত হয়েছিল।
ফলাফল সম্পাদনা
শীর্ষ গোলদাতা সম্পাদনা
| অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
|---|---|---|---|
| ১ | মারিও বাসলার |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ২০ |
| ২ | হাইকো হেরলিখ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | |
| ৩ |  টনি পলস্টার |
কলন | ১৭ |
| ৪ |  রোদোলফো এস্তেবান কার্দোসো |
ফ্রাইবুর্গ | ১৬ |
| ৫ |  পাভেল কুকা |
কাইজারস্লাউটার্ন | |
| ৬ | রুডি ফোলার |
বায়ার লেভারকুজেন | |
| ৭ | উলফ কির্স্টেন |
বায়ার লেভারকুজেন | ১৫ |
| ৮ | মাইকেল সর্ক |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | |
| ৯ | ব্রুনো লাবাডিয়া |
কলন | ১৪ |
| ১০ | আন্ড্রেয়াস মোলার |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড |
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "Schedule Round 1"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Archive 1994/1995 Round 34"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "FC Schalke 04 - Bor. Mönchengladbach 1:1 (Bundesliga 1994/1995, 1. Round)"। worldfootball.net। ৭ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৯৪–৯৫ বুন্দেসলিগা (জার্মান)