হোমী সেঠনা
হোমী নুসেরওয়াঞ্জি সেঠনা (২৪ আগস্ট ১৯২৩ - ৫ সেপ্টেম্বর ২০১০) একজন ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞানী এবং রাসায়নিক প্রকৌশলী ছিলেন। ১৯৭৪ সালে পোখরান পরীক্ষণ এলাকায় সাংকেতিক নাম স্মাইলিং বুদ্ধ হিসাবে পরিচিত ভারতের প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার পরিচালনার সময় পারমাণবিক শক্তি কমিশনের (ভারত) চেয়ারম্যান হিসাবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন।[১][২] তিনি ভারতের বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচির পাশাপাশি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রাথমিক ও কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি মুম্বইয়ের নগরপাল হিসাবে নিযুক্ত হন।
হোমী নুসেরওয়াঞ্জি সেঠনা | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ মুম্বই, ভারত | (বয়স ৮৭)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারত |
মাতৃশিক্ষায়তন | মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | ভারতীয় পারমাণবিক কর্মসূচি স্মাইলিং বুদ্ধ অপারেশন শক্তি |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী (১৯৫৯) পদ্মভূষণ (১৯৬৬) পদ্মবিভূষণ (১৯৭৫) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | রসায়ন প্রকৌশল |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | পারমাণবিক শক্তি কমিশন (ভারত) |
তিনি ১৯৭৫ সালে ভারত সরকার কর্তৃক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব পদ্মবিভূষণ লাভ করেন।
কর্মজীবনের শুরুর দিকে মোনাজাইট বালুকণা থেকে বিরল মৃত্তিকা আলাদা করার জন্য ভারতের কেরালার আলুয়াতে থোরিয়াম উত্তোলন কেন্দ্র স্থাপনের সম্পূর্ণ প্রযুক্তিক দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যস্ত ছিল।
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
সম্পাদনা১৯৩৩ সালের ২৪ আগস্ট বোম্বাই (বর্তমানে মুম্বাই) -এ এক পার্সি পরিবারে সেঠনার জন্ম হয়।[৩] তিনি বোম্বায়ের ফোর্ট এর সেন্ট জেভিয়ার্স হাই স্কুল[৪] এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান আর্বার এ পড়াশোনা করেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাতিনি পারমাণবিক শক্তি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, ১৯৭৬ সালে তিনি মহারাষ্ট্রের পুনেতে অবস্থিত মহারাষ্ট্র একাডেমি অব সায়েন্সের প্রথম চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
ট্রোম্বে পারমাণবিক কারিগরির প্রধান
সম্পাদনাতিনি ভারতের ট্রোম্বেতে অবস্থিত পারমাণবিক গ্রেড ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদনের জন্য কারখানা এবং থোরিয়াম কারখানা নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। তার প্রথম বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব ছিল ১৯৫৯ সালে ট্রোম্বেতে প্লুটোনিয়াম প্ল্যান্ট স্থাপন করা। এটি প্রকল্প প্রকৌশলী হিসাবে এইচ. এন. সেঠনার অধীনে সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের দ্বারা পরিকল্পনা ও নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৯৬৭ সালে ঝাড়খণ্ডের যদুগুডায় ইউরেনিয়াম মিলটিও তার নির্দেশনারয় নির্মিত হয়েছিল। তিনি ১৯৫৬-৫৮ সালে কানাডা-ভারত রিঅ্যাক্টর নামে পরিচিত ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন চুল্লিটির প্রকল্প পরিচালকও ছিলেন।
১৯৭৪ সালে ভারতের পারমাণবিক পরীক্ষা
সম্পাদনাতিনি ১৯৭৪ সালের ১৮ মে ভারতের প্রজেক্ট স্মাইলিং বুদ্ধ সাংকেতিক নামে পরিচিত প্রথম শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক বিস্ফোরণের পিছনের দিকনির্দেশক শক্তি ছিলেন[৫] এবং এরপর ১৯৭৫ সালে পরমাণু শক্তি কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান রাজা রামান্না এবং বাসন্তী দুলাল নাগচৌধুরী (ডিআরডিও এর প্রধান) পদ্মবিভূষণ পুরস্কার লাভ করেন।
পুরস্কার
সম্পাদনা- ১৯৫৯: পদ্মশ্রী[৬]
- ১৯৬০: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শান্তি স্বরূপ ভটনাগর পুরস্কার
- ১৯৬৬: পদ্মভূষণ[৬]
- ১৯৬৭: মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় সেসকুইসেন্টেনিয়াল পুরস্কার
- ১৯৭৫: পদ্মবিভূষণ[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Laxman, Srinivas (৭ সেপ্টে ২০১০)। "Homi Sethna, nuclear legend, passes away"। The Times of India। ৩ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Homi Sethna passes away"। The Hindu। Chennai, India। ৭ সেপ্টে ২০১০। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Dr Homi Sethna: The man who powered India's nuclear dream"। Rediff.com। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ Notable alumni ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে St. Xavier's High School, Fort - Official website.
- ↑ 'He visualised a lively picture of a powerful India' - Interview/Dr Homi Sethna Rediff.com, 27 January 2006.
- ↑ ক খ "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-২১।
- ↑ পদ্মবিভূষণ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে অফিসিয়াল তালিকা।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ১২৩ পারমাণবিক চুক্তিতে হোমী এন. সেঠনা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে দ্য হিন্দু.