হায়াতে আবদুল হাই

আবুল হাসান আলী হাসানী নদভীর বই

হায়াতে আবদুল হাই (উর্দু: حیات عبد الحی‎‎) ভারতীয় দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত আবুল হাসান আলী হাসানী নদভীর স্বীয় পিতা আব্দুল হাই হাসানীকে নিয়ে লিখিত একটি উর্দু জীবনী সাহিত্য। এটি ১৯৭০ সালে নাদওয়াতুল মুসান্নিফীন থেকে প্রকাশিত হয়। ১৯৮৮ সালে বইটির দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয়। বইটি মোট ১০টি অধ্যায় নিয়ে গঠিত।[১][২][৩]

হায়াতে আবদুল হাই
বাংলা অনুবাদের প্রচ্ছদ
লেখকআবুল হাসান আলী হাসানী নদভী
মূল শিরোনামউর্দু: حیات عبد الحی‎‎
দেশভারত
ভাষাউর্দু
বিষয়আব্দুল হাই হাসানী
ধরনজীবনী
প্রকাশিত১৯৭০
প্রকাশকনাদওয়াতুল মুসান্নিফীন
মিডিয়া ধরনশক্তমলাট
পৃষ্ঠাসংখ্যা৪৩৮
ওসিএলসি২২৩২১০২৫৩
২৯৭.০৯
এলসি শ্রেণীবিপি৮০.এ২২১৩ এন৩
ওয়েবসাইটabulhasanalinadwi.org

বিষয়বস্তু সম্পাদনা

বইটির শুরুতে লেখক নিজ পিতাকে নিয়ে লেখার কৈফিয়ত দিয়েছেন। পিতার পরিবার ও বংশের আলোচনা দিয়ে লেখক গ্রন্থটির প্রথম অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। দ্বিতীয় অধ্যায়ে তার জন্ম, শৈশব, পরিবেশ ও তার প্রভাব, জ্ঞান অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। তৃতীয় অধ্যায়ে তাসাউফ, শিক্ষার সনদ, ধর্মীয় কেন্দ্রে ভ্রমণ এবং বিশিষ্ট পণ্ডিতদের সাথে সম্পর্কের বিবরণ রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে আছে পিতার জাতীয় কার্যক্রম, নদওয়াতুল ওলামার আন্দোলনে অংশগ্রহণের আলোচনা। পঞ্চম ও ষষ্ঠ অধ্যায়ে নদওয়াতুল ওলামার ইখতেলাফ ও পরিচালক হিসেবে তার পিতার দায়িত্ব গ্রহণের আলোচনা আছে৷ সপ্তম অধ্যায়ে মৃত্যু ও তার পূর্ববর্তী জীবনের আলোচনা এসেছে। অষ্টম অধ্যায়ে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং শেষ দুই অধ্যায়ে পিতার আরবি ও উর্দু রচনাসমগ্রের আলোচনা রয়েছে। পরিশিষ্টে বড় ভাই সৈয়দ আব্দুল আলী আল হাসানীর সংক্ষিপ্ত জীবনী দিয়ে গ্রন্থটির ইতি টানা হয়েছে।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. নদভী, আবুল হাসান আলী (২০১৫)। কারওয়ানে যিন্দেগী। বাংলাবাজার, ঢাকা: মুহাম্মদ ব্রাদার্স। পৃষ্ঠা ৫১। আইএসবিএন 978-984-91840-1-0 
  2. আবদুল গফফার, প্রফেসর (২০০৪)। উর্দু ভাষা ও সাহিত্যে আবুল হাসান আলী নদভীর অবদান (গবেষণাপত্র) (উর্দু ভাষায়)। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ। ভারত: উর্দু বিভাগ, শ্রী সংকরাচার্য সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৭৮। ওসিএলসি 1015275663 
  3. নদভী, মুহসিন উসমান (২০০২)। মুতালায়ে তাসানিফাত মুফাক্কিরে ইসলাম আবুল হাসান আলী নদভী [আবুল হাসান আলী নদভীর রচনাবলির গবেষণা] (উর্দু ভাষায়)। ভারত: আরশি পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ৩৮৪–৪০৯।