হানা মিসেল
হানা মিসেল (হিব্রু ভাষায়: חנה מייזל, জন্ম ২৫শে ডিসেম্বর ১৮৮৩, মৃত্যু ১৯৭২) ছিলেন একজন ইহুদি কৃষিবিদ, নারীবাদী এবং জায়নবাদী। তার প্রচেষ্টার ফলে বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ খামার তৈরি হয়েছিল, যেগুলির কয়েকটি আধুনিক ইসরায়েলে এখনও চালু রয়েছে। গ্রোডনো শহরে মাধ্যমিক বিদ্যালয় শেষ করার পর, মিসেল স্থানীয় জায়নবাদী গোষ্ঠী পোয়ালে জায়নে তার সমস্ত ক্ষমতা বিনিয়োগ করেছিলেন। কাজের মাধ্যমে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, যাঁরা ফিলিস্তিনে অভিবাসনের পরিকল্পনা করছেন, মহিলা সহ সকলেই, তাঁদের অবশ্যই জমিতে কীভাবে কাজ করতে হয় তা জানতে হবে। সুইজারল্যান্ড এবং ফ্রান্সে বেশ কয়েক বছর অধ্যয়নের পরে, মিসেল ফিলিস্তিনে চলে যান, সেখানে তিনি নারীদের জন্য কোন খামার বা কৃষি কর্মসূচি না দেখে হতাশ হয়েছিলেন।[১]
হানা মিসেল | |
---|---|
חנה מייזל | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৯৭২ (বয়স ৮৮–৮৯) নাহলাল, ইসরায়েল |
রাজনৈতিক দল | পোয়ালে জায়ন |
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
সম্পাদনামিসেল রাশিয়ান সাম্রাজ্যের গ্রোডনোতে (বর্তমানে হ্রোডনা বেলারুশ) জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[২] তার বাবা, ইৎজচাক মাইজেল, পশ্চিম ইউরোপে গম ও পশম রপ্তানি করতেন। হানা ছিলেন তার বারো সন্তানের মধ্যে পঞ্চম সন্তান এবং চতুর্থ কন্যা। যদিও তাঁদের পিতা একজন গোঁড়া ইহুদি ছিলেন, তবুও তিনি নিজের মেয়েদের একটি অ-ইহুদি স্কুলে পড়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। ১৮৯৫ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করার পর মিসেল গ্রোডনোর মেয়েদের সরকারি জিমনেশিয়াম বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। পোয়ালে জায়নে জায়নবাদী ক্রিয়াকলাপে তার সংযুক্তি তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বছরগুলিতেও অসামান্য ছিল। ১৯০২ সালে তিনি জিমনেশিয়ামে সম্মানের সাথে পড়াশোনা শেষ করেন এবং নিজে থেকেই লাতিন ভাষা শিক্ষার জন্য অতিরিক্ত পড়াশোনা চালিয়ে যান। এটিও তিনি সফলভাবে শেষ করেছিলেন। এর ফলে তিনি একটি ফার্মাকোলজি কোর্সে ভর্তির অধিকারী হন।[৩] তিনি ওডেসা, সুইজারল্যান্ড এবং ফ্রান্সে কৃষি ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান অধ্যয়ন করেছিলেন।
১৯০৯ সালে, দ্বিতীয় আলিয়ার সময়, পরিবার সহ তিনি ফিলিস্তিনে অভিবাসন করেন। সেখানে তিনি একজন প্রখ্যাত কৃষিবিদ হয়েছিলেন। মিসেল ১৯১১ সালে কিন্নেরেট খামারে কৃষি বিদ্যালয় হাভাত হাআলামত (হিব্রু ভাষায়: חוות העלמות, "মেয়েদের খামার") প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেটি ১৯১৭ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও ১৯২৯ সালে তিনি নাহলালে মেয়েদের কৃষি বিদ্যালয় খুলেছিলেন।
অবদান
সম্পাদনামিসেল জায়নবাদী আন্দোলনের নারীবাদী শাখায় যথেষ্ট অবদান রেখেছিলেন। তিনি পোয়ালে জায়নের সদস্য ছিলেন এবং প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনা১৯১২ সালে তিনি এলিয়েজার শোচাতকে বিবাহ করেছিলেন। এলিয়েজারও অনেকটা তার ভাই ইসরায়েল শোচাতের মত জায়নবাদী আন্দোলনের একজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। হানা এবং এলিয়েজারের কোন সন্তান নেই।[৪]
হানা মিসেল ১৯৭২ সালে নাহলালে মারা যান।
সাহিত্যে
সম্পাদনাদ্বিতীয় আলিয়া নিয়ে শমুয়েল ইয়োসেফ অ্যাগননের ভ্রমণের পূর্ণবিবরণ হাগালিলাহতে (ইংরেজিতে "টু দ্য গালীল"[৫]) মিসেলের উল্লেখ করা হয়েছে। এটি মরণোত্তরভাবে লেখকের পিঠেই দেবারিম খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Hannah Maisel-Shohat"। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ Joan Comay, Lavinia Cohn-Sherbok, "Who's who in Jewish History" Routledge, 2002, আইএসবিএন ০-৪১৫-২৬০৩০-২, page 145
- ↑ "Hannah Maisel-Shohat"। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ "Hannah Maisel-Shohat"। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ "To the Galilee"। Tablet Magazine। Tablet Magazine। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Esther Carmel-Hakim. "Hannah Maisel-Shohat". Jewish Women: A Comprehensive Historical Encyclopedia. 1 March 2009. Jewish Women's Archive. (Viewed on January 9, 2016) [১]
- Reinharz, Shulamit। "Timeline of Men and Women's Issues in the Yishuv and Israel" (পিডিএফ)। জুন ১৫, ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।