হাতিয়র বহুমুখী কামিল মাদ্রাসা

হাতিয়র বহুমুখী কামিল এম.এ মাদ্রাসা বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার একটি আলিয়া মাদ্রাসা।[১] মাদ্রাসাটি ১৯২৮ সালে হাজী কুদরতুল্লাহ মন্ডল, আব্দুল আলী মন্ডল ও কাজী মোহাম্মদ আলীর উদ্যোগে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।[২] বর্তমানে মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম স্তর বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরিচালিত হয়, এবং মাদ্রাসার ফাজিল ও কামিল স্তর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রয়েছে। মাদ্রাসাটি ফলাফলের দিক দিয়ে নিজ জেলা ও উপজেলার শীর্ষে অবস্থান করে।[৩][৪]

হাতিয়র বহুমুখী কামিল মাদ্রাসা, কালাই
ধরনএমপিও ভুক্ত
স্থাপিত১ জানুয়ারি ১৯২৮; ৯৬ বছর আগে (1928-01-01)
প্রতিষ্ঠাতাগণ
  • হাজী কুদরতুল্লাহ মন্ডল
  • আব্দুল আলী মন্ডল
  • কাজী মোহাম্মদ আলী
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (২০০৬- ২০১৬)
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান)
মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তিবাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
শিক্ষার্থীআনু. ৮০০
ঠিকানা, , ,
শিক্ষাঙ্গনগ্রাম্য
EIIN সংখ্যা১২১৯২৩
ক্রীড়াক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন
এমপিও সংখ্যা৭৭০৩০১২৩০২
ওয়েবসাইটhttp://121923.ebmeb.gov.bd/

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯২৮ সালে তৎকালীন সময়ে কালাই উপজেলা শ্রীমতি কৃষ্ণকামিনী চৌধুরানী নামক হিন্দু নারীর নিয়ন্ত্রণে ছিলো। এই অঞ্চলে ইসলামি শিক্ষার বেশ অভাব ছিলো। এই অভাব পূরণের জন্য কুদরতুল্লাহ, আব্দুল আলী ও মোহাম্মদ আলীর সমগ্র হাতিয়র গ্রামের মানুষের একত্রিত করে একটি মাদ্রাসা নির্মাণের প্রস্তাব দেন। গ্রামের মানুষ সম্মতি প্রকাশ করলে সবার থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে তারা তিনজন মাদ্রাসা নির্মাণের কাজ শুরু করেন। সেই সময় হাতিয়র গ্রাম ৩নং কালাই ইউনিয়ন পরিষদের (বর্তমানে আহম্মেদাবাদ ইউনিয়ন) অধীনে ছিলো।[৫]

মাদ্রাসাটি ১৯৪৩ সালে নিউস্কীম মাদ্রাসায় উন্নিত হয়, এরপরে ১৯৫০ সালে মাদ্রাসাটি দাখিল স্তরের স্বীকৃতি লাভ করে। এরপরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় ১৯৭৮ সালে আলিম ও ১৯৯৭ সালে ফাজিল স্তরের স্বীকৃতি লাভ করে। এছাড়াও মাদ্রাসাটি ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকারের এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি লাভ করে। ২০০৬ সালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে আলিয়া মাদ্রাসাসমূহ অন্তর্ভুক্ত করলে এই মাদ্রাসাও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি লাভ করে। এরপরে ২৭ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসা কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কামিল স্তরের স্বীকৃতি লাভ করে।

২০২০ সালে মাদ্রাসায় সরকারি প্রকল্প কর্তৃক একটি বহুতল নির্মিত হয়।[৬]

শিক্ষা কার্যক্রম সম্পাদনা

মাদরাসাটিতে কামিল স্নাতকোত্তর পর্যায়ে তিনটি বিভাগ চালু রয়েছে। মাদ্রাসাটিতে দাখিল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায় কামিল শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। মাদ্রাসার ফাযিল স্নাতক পর্যায়ে পাস কোর্স ছাড়াও ফাযিল পর্যায়ে আল-কোরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। এছাড়াও কামিল শ্রেণীতে হাদিস, তাফসির ও দাওয়াহ বিভাগ চালু রয়েছে। এইচএসসি সমমান আলিম পর্যায়ে দুটি বিভাগ চালু আছে-সাধারণ ও বিজ্ঞান। এস.এস.সি সমমান দাখিল পর্যায়ে দুইটি বিভাগ চালু রয়েছে-সাধারণ ও বিজ্ঞান।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "হাতিয়র মাদ্রাসার প্রতি একটি নোটিশ" (পিডিএফ)মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২৩ 
  2. "HATIOR BAHUMUKHI KAMIL MADRASAH"সহপাঠি। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২৩ 
  3. "কালাইয়ে এবতেদায়ীতে বৃত্তি পেয়েছে ৪৩ জন॥শীর্ষে হাতিয়র কামিল মাদ্রাসা"The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-২৮ 
  4. "কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ফলাফল" (পিডিএফ)ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২৩ 
  5. "HATIOR BAHUMUKHI KAMIL MADRASAH"121923.ebmeb.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-২৮ 
  6. Joypurhat। "জয়পুরহাটে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে চলছে ৮৪টি বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ"Jagroto Joypurhat (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-২৮