হাড়িয়া মণ্ডলকে (স্থানভেদে হারিয়া মণ্ডল বা হারিয়া মেচ) অসম-এর কোচদের আদি পুরুষ বলে গণ্য করা হয়৷ জানামতে,তিনি বর্তমান গোয়ালপাড়া জেলার খুণ্টাঘাট পরগনার চিকনগ্ৰাম নামক গাঁয়ের বাসিন্দা ছিলেন।[১]

জীবনী সম্পাদনা

হাড়িয়া মণ্ডলের বাবার নাম দম্বাম্বু মেচ। তারা ছিলেন মেচ বা কোচবংশীয় মানুষ। হাজো নামে কামরূপের এক অংশের একজন ছোট শাসনকৰ্তার কন্যা হীরা ও জীরার সাথে হাড়িয়া মণ্ডলের বিবাহ হয়। হীরা ও জীরার গর্ভে যথাক্ৰমে বিশু ও শিশু নামে দুটি পুত্রের জন্ম হয়।[২]

হাড়িয়া মণ্ডল তার গ্রাম চিকনগ্ৰামের বারো ঘর মেচ বা কোচ পরিবারের ওপর মণ্ডল হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এই সময়ে তার ফুলগুরির ভূইঞাদের সাথে সংঘৰ্ষ হয় এবং তাকে ভূইঞারা কিছুদিন বন্দী করে রাখে। পরবৰ্ত্তীকালে তিনি ভূঞার বশ্যতা স্বীকার করেন এবং বার্ষিক কর পরিশোধ করতে বাধ্য হন।[১]

হাড়িয়া মণ্ডলের মৃত্যুর পরে তার পুত্ৰ বিশু মণ্ডল পদ লাভ করেন এবং ভূঞাদের আক্ৰমণ করে দমন করতে সক্ষম হন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ’অসমর ইতিহাস’ (২০০৭)-ড° নিশিপদ দেব চৌধুরী, চেনেহী বেগম, ড° শান্ত বৰ্মণ; অসম সাহিত্য সভা
  2. গোহাঞি বরুয়া, পদ্মনাথ (১৯৩৭)। চিত্র অসমৰ বুৰঞ্জী। লীলা এজেঞ্চি। পৃষ্ঠা ১২৫।