উদ্ভিদ হরমোন হিসেবে ইথিলিনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এটি মূলত একটি গ্যাসীয় হাইড্রোকার্বন (অ্যালকিন)।[১] এটি মূলত বৃদ্ধ কিংবা পরিপক্ব উদ্ভিদাংশ থেকে নিঃসৃত হয়ে থাকে। বিজ্ঞানী এইচ. কাজিন্স ১৯১০ সালে হরমোন রূপে ইথিলিনের কাজকে চিহ্নিত ও ব্যাখ্যা করেন। তিনি কয়েকটি পরিপক্ব কমলালেবুর সাথে কয়েকটি কাঁচা কলা রেখে দেন ও পরীক্ষা করে দেখতে পান যে, কমলালেবু থেকে নিঃসৃত এক গ্যাসীয় পদার্থ কলাগুলিকে পাকতে সাহায্য করছে। পরীক্ষা করে তিনি এই গ্যাসীয় পদার্থটি যে ইথিলিন তা জানতে পারেন।

ইথিলিনের গঠন

উদ্ভিদ হরমোন মূলত দুপ্রকার, যথাক্রমে বৃদ্ধিকারক ও বৃদ্ধিরোধক। ইথিলিনকে সরাসরি ভাবে কোনো শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা যায়না। কারণ ইথিলিন উভয় প্রকার কাজই প্রদর্শন করে।

কাজ সম্পাদনা

ইথিলিন নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে সাহায্য করে:

  1. উদ্ভিদাংশে বার্ধক্য আসার ঘটনাকে ত্বরান্বিত করে।
  2. ফল পাকাতে সাহায্য করে।
  3. বীজ ও মুকুলের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করতে সাহায্য করে। (যেমন— বাদাম, আলু ইত্যাদি)
  4. ধান গাছের পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে তাকে জলের ওপরে রাখতে সাহায্য করে।
  5. গাছে ফুল ফোটাতে সাহায্য করে, সাধারণত শসা গাছে স্ত্রী ফুলের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  6. বিভিন্ন যৌগিক ফলের গঠন নির্ধারণ করে। (যেমন আনারস)
  7. কৃষিকাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ব্যবহার সম্পাদনা

উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করার ক্ষমতা থাকার জন্য এটি কৃষিকাজে সহায়ক। ইথিলিন মূলত একটি জলীয় দ্রবণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যার পোশাকি নাম ইথিফোন। এটি মাটিতে দেওয়া হলে উদ্ভিদের সর্বত্র পরিবাহিত হয় এবং ধীরে ধীরে ইথিলিন নিঃসরণ করতে থাকে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Lin Z, Zhong S, Grierson D (২০০৯)। "Recent advances in ethylene research"Journal of Experimental Botany60 (12): 3311–3336। ডিওআই:10.1093/jxb/erp204 পিএমআইডি 19567479 

আরও পড়ুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা