সৈয়দ সফিউল্লাহ (২৫ ডিসেম্বর ১৯৪৫ - ১১ জুন ২০১৬) [১][২][৩][৪] ছিলেন একজন বাংলাদেশী রসায়ন উচ্চশিক্ষায়তনিক। তিনি বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান অনুষদের একজন অধ্যাপক ছিলেন। শুশমা সার এবং মাছের খাবার, সফি ফিল্টার এবং সফি জ্বালানি নিয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। অন্যান্য পদের মধ্যে তিনি ছিলেন রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ ও ইনস্টিটিউট অব লাইফ সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তার আগ্রহের ক্ষেত্রগুলি পরিবেশগত, উপাদান, কৃত্রিম এবং ফলিত রসায়নকে কভার করে। সফিউল্লাহ আর্সেনিক দূষণ অনুসন্ধান, [৫] জৈব পদার্থের বৈশিষ্ট্য [৬] এবং পরিবেশগত রসায়ন বিষয়ে তার কাজের জন্য পরিচিত।

সৈয়দ সফিউল্লাহ
সফিউল্লাহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে
জন্ম(১৯৪৫-১২-২৫)২৫ ডিসেম্বর ১৯৪৫
মৃত্যু১১ জুন ২০১৬(2016-06-11) (বয়স ৭০)
মাতৃশিক্ষায়তন
অফিসজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
মেয়াদশা. ১৯৭২–২০১২

সাফিউল্লাহ টিডব্লিউএএস, ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্সেসের সভ্য এবং সেইসাথে বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেসের সভ্য ছিলেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ পিওর অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি (আইইউপিএসি) এর একজন সভ্য ছিলেন এবং তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটি অফ কেমিস্ট্রির প্রথম সভ্য ছিলেন।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

সম্পাদনা

সফিউল্লাহ ১৯৪৫ সালে বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খুলনা জিলা স্কুল এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। সফিউল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে ১৯৬৫ ও ১৯৬৬ সালে যথাক্রমে বিএসসি এবং এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি তার পিএইচ.ডি করেন ১৯৭১ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, যুক্তরাজ্য থেকে। পিএইচডি করার সময় তিনি অর্গানোমেটালিক রসায়ন নিয়ে কাজ করেছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্যের একজন কমনওয়েলথ স্কলার ছিলেন।

পুরস্কার

সম্পাদনা

কৃত্রিম রসায়নে অবদানের জন্য এবং বাংলাদেশের বন্যা কবলিত সমভূমিতে বিমোডাল অবক্ষয়ের জন্য জৈব-রাসায়নিক স্বাক্ষর আবিষ্কারের জন্য, তিনি ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস (সিনিয়র গ্রুপ) এবং টিডব্লিউএএস (ইতালি) এর স্বর্ণপদক লাভ করেন।

প্রকাশনা

সম্পাদনা

অধ্যাপক সফিউল্লাহ বিজ্ঞানের সীমানা, কোয়ান্টাম সচেতনতা এবং পরিবেশ সম্পর্কিত ক্ষেত্রে ২৫০টিরও বেশি মূল গবেষণাপত্র, পর্যালোচনা এবং ২৫টি বই লিখেছেন। তার কাজ :নেচার, [৭] আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়ন [৮] এবং এলসেভিয়ার এর মত বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বিজ্ঞান, সমাজ এবং পরিবেশের উপর অসংখ্য নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তিনি ইংরেজি ভাষায় কবিতার ওপর তিনটি বইও প্রকাশ করেছেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "JU recalls Prof Syed Safiullah"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ আগস্ট ২০১৬। 
  2. "অধ্যাপক সফিউল্লাহর সঠিক মূল্যায়ন হয়নি"প্রথম আলো 
  3. Correspondent, J. U.। "Prof Shafiullah passes away | The Asian Age Online, Bangladesh"The Asian Age (ইংরেজি ভাষায়)। 
  4. "Obituary"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ জুন ২০১৬। 
  5. Tareq, Shafi M.; Safiullah, S. (সেপ্টেম্বর ২০০৩)। "Arsenic pollution in groundwater: a self-organizing complex geochemical process in the deltaic sedimentary environment, Bangladesh": 213–226। ডিওআই:10.1016/S0048-9697(03)00266-3পিএমআইডি 12922072 
  6. Ittekkot, Venugopala; Safiullah, Syed (ডিসেম্বর ১৯৮৬)। "Nature of organic matter in rivers with deep sea connections: The Ganges-Brahmaputra and Indus": 93–107। ডিওআই:10.1016/0048-9697(86)90080-X 
  7. Ittekkot, V.; Safiullah, S. (১ অক্টোবর ১৯৮৫)। "Seasonal variability and geochemical significance of organic matter in the River Ganges, Bangladesh": 800–802। ডিওআই:10.1038/317800a0 
  8. McArthur, J. M.; Ravenscroft, P. (জানুয়ারি ২০০১)। "Arsenic in groundwater: Testing pollution mechanisms for sedimentary aquifers in Bangladesh": 109–117। ডিওআই:10.1029/2000WR900270