সৈয়দা আনোয়ারা তৈমূর

ভারতীয় রাজনীতিবিদ

সৈয়দা আনোয়ারা তৈমূর (অসমীয়া: চৈয়দা আনোৱাৰা টাইমূৰ; ২৪ নভেম্বর ১৯৩৬ – ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০) অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৮০ সনের ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৮১ সনের ৩০ জুন পর্যন্ত তিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন। তিনিই অসমের প্রথম ও একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চারবার অসম বিধান সভায় সদস্যা রুপে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৮ সনে তিনি রাজ্যসভায় আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন।

সৈয়দা আনোয়ারা তৈমূর
অসমের ৮ম মুখ্যমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৬ ডিসেম্বর ১৯৮০ – ৩০ জুন ১৯৮১
রাজ্যপাললালন প্রসাদ সিংহ
পূর্বসূরীরাষ্ট্রপতি শাসন
উত্তরসূরীরাষ্ট্রপতি শাসন
সদস্য, রাজ্যসভা
কাজের মেয়াদ
২০০৪ - ২০১০
কাজের মেয়াদ
২৫ নভেম্বর ১৯৮৮ - ৮ মে ১৯৯০
মনোনয়নকারীআর. ভেঙ্কটরমন
নিয়োগদাতাশঙ্কর দয়াল শর্মা
সংসদীয় এলাকামনোনীত
কৃষি মন্ত্রী, আসাম সরকার
কাজের মেয়াদ
১৯৯১ - ১৯৯৬
মুখ্যমন্ত্রীহিতেশ্বর শইকীয়া
গণপূর্ত মন্ত্রী, আসাম সরকার
কাজের মেয়াদ
১৯৮৩ - ১৯৮৫
মুখ্যমন্ত্রীহিতেশ্বর শইকীয়া
শিক্ষামন্ত্রী, আসাম সরকার
কাজের মেয়াদ
১৯৭৫ - ১৯৭৮
মুখ্যমন্ত্রীশরৎ চন্দ্র সিংহ
অসম বিধানসভার সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৯১ - ১৯৯৬
পূর্বসূরীআব্দুল জব্বার
উত্তরসূরীআব্দুল জব্বার
সংসদীয় এলাকাডালগাঁও
কাজের মেয়াদ
১৯৭৮ - ১৯৮৫
পূর্বসূরীহাশিমুদ্দীন আহমেদ
উত্তরসূরীআব্দুল জব্বার
সংসদীয় এলাকাডালগাঁও
কাজের মেয়াদ
১৯৭২ - ১৯৭৮
পূর্বসূরীমোঃ মতলিবুদ্দীন
উত্তরসূরীঅনিল দাস
সংসদীয় এলাকামঙ্গলদই
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৩৬-১১-২৪)২৪ নভেম্বর ১৯৩৬
আসাম, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০(2020-09-28) (বয়স ৮৩)
অস্ট্রেলিয়া
রাজনৈতিক দলসর্ব ভারতীয় সংযুক্ত গণতান্ত্রিক মোর্চা (২০১১ থেকে)
অন্যান্য
রাজনৈতিক দল
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (২০১১-এর পূর্বে)
দাম্পত্য সঙ্গীমোঃ মুহিবুদ্দীন তৈমুর
পিতাসৈয়দ ইউসুফ আলী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীআলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়

জন্ম ও শিক্ষা সম্পাদনা

১৯৩০ সনে সৈয়দা আনোয়ারা তৈমূর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫৬ সনে তিনি দেবীচরণ বরুয়া মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রবক্তা ছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

সৈয়দা আনোয়ারা তৈমূর অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির একজন সক্রিয় সদস্যা ছিলেন। এই সংগঠনে যোগদান করার পর তিনি নানান মহিলা সংগঠনে জড়িত হন। তিনি ১৯৭২ সনে অসম বিধান সভার সদস্যারুপে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই সময়ে তিনি শরৎ চন্দ্র সিংহের মন্ত্রীসভায় রাজ্যিক শিক্ষামন্ত্রী রুপে কার্যনির্বাহ করেন। তারপর তিনি ১৯৭৮, ১৯৮৩ ও ১৯৯১ সনের বিধানসভায় সদস্যা হিসেবে নির্বাচিত হন।

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সম্পাদনা

যোগেন্দ্রনাথ হাজরিকার মন্ত্রীসভার পতনের পর ১৯৭৯ সনের ১২ ডিসেম্বর তারিখ থেকে অসমে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু হয়। কয়েকমাস রাষ্ট্রপতি শাসনের পর প্রধানমন্ত্রীর আদেশক্রমে কংগ্রেস(ই) দলের নেত্রী সৈয়দা আনোয়ারা তৈমূরকে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার প্রদান করা হয়। ১৯৮০ সনের ৬ ডিসেম্বর তারিখে তিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রীরূপে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কার্যভার গ্রহণ করার পর অসমে রাষ্ট্রপতি শাসনের অন্ত পরে। তার দায়িত্ব নেওয়ার সময় অসমে বিদেশী বহিস্কার আন্দোলন চালু ছিল। অসমে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে অসমের জমিতে স্থায়ীভাবে বসবাসরত অসংখ্য বাংলাদেশী ব্যক্তিকে অসমের মাটি থেকে বহিষ্কার করার জন্য সদৌ অসম ছাত্র সন্থাগণ সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে এক তীব্র আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছিল। অসমে এই আন্দোলন জাতীয় আন্দোলন রুপে গঢ়ে উঠেছিল। তৈমূর সরকার এই সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। প্রায় সাত মাস শাসন চালানোর পর তৈমূর সরকারের পতন হয়। ১৯৮১ সনের ৩০ জুন তারিখে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তারপর অসমে পুনরায় রাষ্ট্রপতি শাসন চালু হয়।

মৃত্যু সম্পাদনা

আনোয়ারা তৈমুর ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন। জীবনের শেষ চার বছর তিনি তার ছেলের সাথে সে দেশেই কাটিয়েছেন।[১][২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. বিকাশ, সিং (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "Syeda Anwara Taimur, the only woman chief minister of Assam, breathed her last on Monday"। দ্য ইকোনমিক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  2. "Former Assam CM Anwara Taimur no more"নিউজ লাইভ (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
যোগেন্দ্র নাথ হাজরিকা
অসমের মুখ্যমন্ত্রী
৬ ডিসেম্বর ১৯৮০ – ৩০ জুন ১৯৮১
উত্তরসূরী
কেশব চন্দ্র গগৈ