সূরা হিজর

কুরআন শরীফের ১৫তম সূরা

সূরা আল হিজর (আরবি: سورة الحجر, বাংলায়: প্রস্তরময় ভূভাগ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের পনেরতম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৯৯টি।

সূরা আল হিজর
শ্রেণীমাক্কী
নামের অর্থপ্রস্তরময় ভূভাগ
পরিসংখ্যান
সূরার ক্রম১৫
আয়াতের সংখ্যা৯৯
← পূর্ববর্তী সূরাসূরা ইব্রাহীম
পরবর্তী সূরা →সূরা নাহল
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ

নামকরণ

সম্পাদনা

এই সূরার ৮০ নং আয়াত থেকে আল হিজর শব্দটি থেকে সূরার নামকরণ হয়েছে।[]

‎الحجر (আল-হিজর) অর্থ পাথর। শিরকের কারণে হৃদয় কঠিন হয়ে যায় যা কিনা পাথরের মত শক্ত। আর জাহান্নামকে পূর্ন করা হবে মানুষ আর পাথর দ্বারা যা দিয়ে মূর্তি তৈরী করা হয়। সত্যকে অস্বীকার করার ফলে পাথর হৃদয়ের মানুষের এবং ইবলিসের কি হাল হয়েছিল তা বর্ণনা করা হয় এই সূরাতে।

বাংলায় আয়াতসমূহ

সম্পাদনা
  1. আলিফ-লাম-র। এগুলো আল্লাহ্‌র কিতাব ও সুস্পষ্ট কুরআনের আয়াত।
  2. কোন সময় কাফেররা আকাঙ্ক্ষা করবে যে, কি চমৎকার হত, যদি তারা মুসলমান হত।
  3. এদের ছেড়ে দাও পৃথিবীর জীবনের আরাম-আয়েশ উপভোগ করার জন্য এবং নিজেদের আত্মতৃপ্তির জন্য। (মিথ্যা) আশা তাদের আনন্দ দিক । শীঘ্রই তারা জানতে পারবে।
  4. ইতিপূর্বে আমি যে জনবসতিই ধ্বংস করেছি তার জন্য একটি বিশেষ কর্ম-অবকাশ লেখা হয়ে গিয়েছিল।
  5. কোন সম্প্রদায় তার নির্দিষ্ট সময়ের অগ্রে যায় না এবং পশ্চাতে থাকে না।
  6. তারা বললঃ হে ঐ ব্যক্তি, যার প্রতি কোরআন নাযিল হয়েছে, আপনি তো একজন উম্মাদ
  7. তোমার নিকট "সত্য" এসে থাকলে, কেন তুমি ফেরেশতাদের আমাদের নিকট উপস্থিত করছো না?
  8. আমি ফেরেশতাদেরকে এমনিই অবতীর্ণ করি না, তারা যখনই অবতীর্ণ হয় সত্য সহকারে অবতীর্ণ হয়, তারপর লোকদেরকে আর অবকাশ দেয়া হয় না।
  9. আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।
  10. আমি আপনার পূর্বে পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের মধ্যে রসূল প্রেরণ করেছি।
  11. ওদের কাছে এমন কোন রসূল আসেননি, যাদের সাথে ওরা ঠাট্টাবিদ্রূপ করতে থাকেনি।
  12. এভাবেই আমি পাপীদের অন্তরে উহা সঞ্চার করি।
  13. ওরা এর প্রতি বিশ্বাস করবে না। পূর্ববর্তীদের এমন রীতি চলে আসছে।
  14. যদি ওদের জন্য আকাশের দুয়ারও খুলে দিই এবং ওরা (সারাদিন) তাতে আরোহণ করতে থাকে।
  15. বুও ওরা একথাই বলবে যে, আমাদের দৃষ্টির বিভ্রাট ঘটানো হয়েছে না বরং আমরা যাদুগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।
  16. নিশ্চয় আমি আকাশে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছি এবং তাকে দর্শকদের জন্যে সুশোভিত করে দিয়েছি।
  17. (অধিকন্তু) প্রত্যেক অভিশপ্ত শয়তান থেকে আমি উহাকে রক্ষা করে থাকি।
  18. কিন্তু যে চুরি করে শুনে পালায়, তার পশ্চাদ্ধাবন করে উজ্জ্বল উল্কাপিন্ড।
  19. এবং পৃথিবীকে আমি (কার্পেটের ন্যায়) বিস্তৃত করেছি। তাতে অনড় পর্বত মালা স্থাপন করেছি এবং সেখানে প্রত্যেক বস্তু উৎপন্ন করেছি সুপরিমিত ভাবে।
  20. আমি তোমাদের জন্যে তাতে জীবিকার উপকরন সৃষ্টি করছি এবং তাদের জন্যেও যাদের অন্নদাতা তোমরা নও।
  21. আমার কাছে প্রত্যেক বস্তুর ভান্ডার রয়েছে। আমি নির্দিষ্ট পরিমানেই তা অবতরণ করি।
  22. আমি উর্বরকারী বায়ুকে প্রেরণ করি। তারপরে আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি, এবং যার সাহায্যে তোমাদের জন্য (প্রচুর পরিমাণে) পানি সরবরাহ করে থাকি, যদিও তোমরা এই ভাণ্ডারের অভিভাবক নও।
  23. আমিই জীবনদান করি, মৃত্যুদান করি এবং আমিই চূড়ান্ত মালিকানার অধিকারী।
  24. তোমাদের মধ্যে যারা সম্মুখে দ্রুতগামী এবং যারা পশ্চাদগামী, সকলকেই আমি জানি।
  25. আপনার পালনকর্তাই তাদেরকে একত্রিত করে আনবেন। নিশ্চয় তিনি প্রজ্ঞাবান, জ্ঞানময়।
  26. ঠনঠনে (শুষ্ক) কাঁদা থেকে আমি মানুষের ছাঁচ তৈরী করেছি।
  27. এবং জিনকে এর আগে লু এর আগুনের দ্বারা সৃজিত করেছি।
  28. স্মরণ কর। তোমার প্রভু ফেরেশতাদের বলেছিলাম, "আমি ঠনঠনে (শুষ্ক) কাঁদা থেকে মানুষের ছাঁচ তৈরী করতে যাচ্ছি;
  29. অতঃপর যখন তাকে ঠিকঠাক করে নেব এবং তাতে আমার রূহ থেকে ফুৎকার দেব, তখন তোমরা তার সামনে সেজদায় পড়ে যেয়ো।
  30. তখন ফেরেশতারা সবাই মিলে সেজদা করল।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "সূরা আল হিজরের নামকরণ"http://www.banglatafheem.com। ১৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৫  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা