সুয়েজ খাল সেতু
সুয়েজ খাল সেতু বা মুবারক পেয়সি সেতু (যা মিশরীয়-জাপানি মৈত্রী সেতু, আল সালাম সেতু, বা আল সালাম শান্তি সেতু নামেও পরিচিত) এল কোয়ান্টারায় সুয়েজ খাল অতিক্রম করেছে। এটি মিশরের সিনাই উপদ্বীপের সঙ্গে বাকি মিশরের সংযোগ রক্ষা করে।
সুয়েজ খাল সেতু | |
---|---|
![]() | |
স্থানাঙ্ক | ৩০°৪৯′৪২″ উত্তর ৩২°১৯′০৩″ পূর্ব / ৩০.৮২৮২৪৮° উত্তর ৩২.৩১৭৫৭২° পূর্ব |
বহন করে | যাত্রি ও পণ্যবাহী যানবাহন[১] |
অতিক্রম করে | সুয়েজ খাল |
স্থান | এল কোয়ান্টারা, মিশর |
মালিক |
|
রক্ষণাবেক্ষক | সড়ক, সেতু ও পরিবহনের জন্য সাধারণ কর্তৃপক্ষ |
বৈশিষ্ট্য | |
নকশা | ঝুলন্ত তারের সেতু, আধা-ফ্যান ব্যবস্থা, এইচ-পাইলন, ফাঁপা বাক্স[১] |
উপাদান | ইস্পাত এবং কংক্রিট[১] |
মোট দৈর্ঘ্য | ৩.৯ কিমি (২.৪ মা)[১] |
প্রস্থ | ১০ মি (৩৩ ফু)[১] |
উচ্চতা | তোরণ: ১৫৪ মি (৫০৫ ফু)[১] |
দীর্ঘতম স্প্যান | ৪০৪ মি (১,৩২৫ ফু)[১] |
নিন্মে অনুমোদিত সীমা | ৭০ মি (২৩০ ফু)[১] |
ইতিহাস | |
নকশাকার | কাজিমা |
নির্মাণকারী | যাদের সহযোগিতায় গঠিত: [২] |
নির্মাণ শুরু | ১৯৯৫ |
চালু | ৯ অক্টোবর, ২০০১ |
অবস্থান | |
![]() |
নকশা ও নির্মাণ সম্পাদনা
সেতুটি মিশর সরকার ও জাপান সরকারের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে। মার্চ ১৯৯৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হোসনি মুবারকের জাপানে সফরকালের চুক্তির সম্মতি, সিনাই উপদ্বীপ বিকাশ করার একটি বড় প্রকল্পের অংশ হিসেবে, এই সেতু নির্মাণের ৬০% (১৩.৫ বিলিয়ন ইয়েন) অর্থ বহন করে জাপান সরকার। বাকি ৪০% অর্থ দেয় মিশর সরকার।
কাজিমা কর্পোরেশন এই সেতু নির্মাণের মূল নির্মাণ সংস্থা।[২] সেতুটি ইস্পাত ও কংক্রিট সহযোগে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি একটি ক্যাবল স্টেট সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩.৯ কিলোমিটার (২.৪ মা) এবং মূলখন্ডের দৈর্ঘ্য ৪০০-মিটার (১,৩০০ ফু)। নদীর বক্ষ থেকে সেতুটি ৭০-মিটার (২৩০ ফু) উচু এবং সেতুর স্তম্বগুলির উচ্চতা ১৫৪ মিটার (৫০৫ ফু)। সেতুটি ১০ মিটার চওড়া। সেতুর নির্মাণ শুরু হয় ১৯৯৫ সালে এবং এর শুভ উদ্ভোধন হয় ২০০১ সালে। জলতল থেকে সেতুটি ৭০ মিটার উচু হওয়ার কারণে সুয়েজ খাল দিয়ে ৬৮ মিটারের বেশি উচু জাহাজ যেতে দেওয়া হয় না।