সুভাষিণী আলী
সুভাষিণী আলী একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য (মার্কসবাদী)৷ তিনি অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক উইমেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং কানপুরের সাবেক সংসদ সদস্য৷
সুভাষিণী আলী সেহগল | |
---|---|
সংসদ সদস্য, লোকসভা | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৯ – ১৯৯১ | |
সংসদীয় এলাকা | কানপুর |
পূর্বসূরী | নরেশ চন্দ্র চতুর্বেদী |
উত্তরসূরী | জগত ভীর সিং দ্রোণ |
সভাপতি, অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক উইমেন অ্যাসোসিয়েশন | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কানপুর, সংযুক্ত প্রদেশ, ভারত | ২৯ ডিসেম্বর ১৯৪৭
রাজনৈতিক দল | ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) |
দাম্পত্য সঙ্গী | মোজাফফর আলী (তালাকপ্রাপ্ত) |
সন্তান | শাদ আলী |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | চেন্নাইয়ের মহিলা ক্রিশ্চিয়ান কলেজ,[১] কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় |
২৭ জানুয়ারি, ২০০৭ অনুযায়ী উৎস: [১] |
পরিবার
সম্পাদনাসুভাষিণী আলী কর্নেল প্রেম সেহগল এবং ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সেহগলের (নি ড. লক্ষ্মী সোনামনাথন) কন্যা,[২] যিনি ভারতীতের জাতীয় সেনাবাহিনীর একজন ছিলেন। তিনি ওয়েলহ্যাম গার্লস হাই স্কুলে পড়তেন।[৩] তিনি মাদ্রাজের মহিলা খ্রিস্টান কলেজ থেকে তার স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে মাস্টার ডিগ্রি কানপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্জন করেন৷ তিনি এর পূর্বে চলচ্চিত্র নির্মাতা মুজাফফর আলীর সাথে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর ছেলে শাদ আলী, যিনি একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা যিনি সাথিয়া, বুন্টি অরব্লি এবং ঝুম বারবার ঝুমের মতো চলচ্চিত্র পরিচালিত করেছেন। এছাড়া ধর্মীয় ভাবে আলী একজন নাস্তিক৷ [৪]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাশ্রমিকসংঘের সভ্য এবং অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক উইমেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি৷ তিনি একসময় কানপুরের রাজনীতিতে খুব প্রভাবশালী ছিলেন যেখানে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই) ট্রেড ইউনিয়নগুলির উপর প্রভাব ফেলেছিল এবং সিপিআই-সমর্থিত এস এম বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচিত করেছিল। ১৯৫৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত চারবার লোকসভায় নির্বাচিত হন বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিপিআইয়ের এই প্রভাব তাকে ১৯৮৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসাবে জয়ী করতে সহায়তা করেছিল এবং তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে কানপুর থেকে ৫৬,৫৮৭ ভোটে পরাজিত করেছিলেন৷ ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থার পরে সিপিআইয়ের প্রভাব হ্রাস পায় এবং ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি ১৫১,০৯৯ ভোটে পরাজিত হন। তিনি ২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিলেন এবং তিনি মাত্র ৪৫৫৮ ভোট (০.৭৪%) পেয়েছিলেন। তিনি ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন সিপিআই (এম) প্রার্থী হিসাবে ব্যারাকপুর থেকে লড়েছিলেন, তবে তাতে হেরেছিলেন।
তিনি বর্তমানে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) -এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ২০১৫ সালে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর পলিটব্যুরোতে (পিবি) যোগদান করেছিলেন এবং সেখানে বৃন্দা কারাটের পরে পিবিতে দ্বিতীয় মহিলা সদস্য হন।
চলচ্চিত্র
সম্পাদনাসুভাষিনী আলী ১৯৮১ ক্লাসিক উমরাও জানের জন্য পিরিয়ড পোশাক ডিজাইন করেছিলেন৷ চলচ্চিত্রটি ছিল তার তৎকালীন স্বামী মোজাফফর আলী পরিচালিত। তিনি শৌখিন অভিনয়ে অভিনয়ও করেছিলেন এবং ২০০১ সালে তিনি আসোকায় প্রথম অভিনয় জগতে পা রাখেন৷ তিনি ২০০২ সালের ইংরেজি চলচ্চিত্র দ্য গুরু অনুসরণ করেছিলেন৷ ২০০৫ সালে আবারো তাকে দেখাযায় তার সহযোগী পার্টির সদস্য বৃন্দা করাতের আমু চলচ্চিত্রতে। [৫]
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Crusader for the women's cause"। The Hindu। ১৯ ডিসেম্বর ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৮।
- ↑ LAXMI SEHGAL:THE DOCTOR WHO SOLDIERS ON ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ নভেম্বর ২০০৬ তারিখে the-south-Asian,October 2001.
- ↑ Fernandes, Vivek (২০০১-০৭-২১)। "The Subhashini Ali 5 Questions"। rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-০১।
- ↑ "There are religions that have very rigid rules and there are others that don't. Religion is something that I, as a person, am not interested in. I have always been an atheist. My parents were atheists. It doesn't bother me if somebody is religious. My problem is when religion is used to institutionalise other things."The Rediff Interview/ Subhasini Ali, 8 August 2001 (accessed 21 April 2008).
- ↑ ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে সুভাষিণী আলী (ইংরেজি)