সুবর্ণা কাচকি

মাছের প্রজাতি

সুবর্ণা কাচকি বা সুবর্ণা-খারিকা (বৈজ্ঞানিক নাম: Corica soborna), (ইংরেজিঃ Ganges river sprat) Clupeidae পরিবারের কাচকি গণের একটি স্বাদুপানির মাছ

সুবর্ণা কাচকি
Corica soborna
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
উপপর্ব: Vertebrata
মহাশ্রেণী: Osteichthyes
শ্রেণী: Actinopterygii
বর্গ: Clupeiformes
পরিবার: Clupeidae
গণ: Corica
প্রজাতি: Corica soborna
দ্বিপদী নাম
Corica soborna
Hamilton, 1822
প্রতিশব্দ

Corica biharensis Kamal & Ahsan, 1979
Corica pseudopterus (Bleeker, 1852)
Corica pseudopterus Bleeker, 1852
Corica argentata Swainson, 1839
Corica sobrona Hamilton, 1822

বর্ণনা

সম্পাদনা

দেহ স্পষ্টভাবেই লম্বা। পৃষ্ঠদেশ অপেক্ষা উদরীয় পার্শ্বদেশ অধিক উত্তল।[]

বিস্তৃতি

সম্পাদনা
 
সুবর্ণা কাচকি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

উষ্ণ জলের সামুদ্রিক, উপকূলীয়, ভারত (পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা), বাংলাদেশ এ প্রায় সব নদীতেই এ মাছ লক্ষ করার যায়। নদী ছাড়াও পুকুর, জলা এবং ছোট ঝর্ণায় এদের দেখা মেলে। নাটোরের চলন বিল ও হালতি বিলে এদের উপস্থিতি রয়েছে[] এবং নেপাল, মিয়ানমার, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডের ব্যাংপেকং নদী পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল এই মাছের।

চাষ পদ্ধতি

সম্পাদনা

এই মাছ পুকুরে পাওয়া গেলেও বাণিজ্যিক ভাবে এর চাষ করা হয় না। এই মাছ সাধারণভাবে প্রায় ৪ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। এদের উচ্চ স্থিতিস্থাপকতা গুণ থাকে এবং সংখ্যায় দ্বিগুণ হতে ১৫ মাসের ও কম সময় লাগে।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব

সম্পাদনা

সুবর্ণা কাচকি বাংলাদেশের নদীতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই ছোট মাছটিতে প্রােটিন ও খনিজ লবণ আছে এবং সম্পূর্ণ মাছটি খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করায় শরীর অধিক পরিমাণ পুষ্টি গ্রহণ করে। কাপ্তাই হ্রদের বাজারজাতকৃত মাছের ২০ ভাগেরও বেশি এই মাছ।[]

স্বাভাব ও আবাসস্থল

সম্পাদনা

এই মাছ নদী ও হৃদে পানির উপরিভাগে ঝাঁক বেঁধে চলে। প্রাথমিকভাবে জুয়পাঙ্কটন এছাড়া কিছু অমেরুদন্ডী প্রাণী এরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। এরা সাধারণত নদী ও হ্রদে বাস করে। নদীর মোহনাতে ও এদের পাওয়া যায়। বাংলাদেশে কাপ্তাই হ্রদে এই মাছ সর্বাধিক পরিমাণে পাওয়া যায়।

বাস্তুতান্ত্রিক ভূমিকা

সম্পাদনা

সুবর্ণা কাচকি মাছ নিজেরাই বংশবৃদ্ধি করে সংখ্যায় বাড়তে থাকে। মানুষের অতিরিক্ত আহরণ ব্যতীত প্রাকৃতিক পরিবেশে এদের সংখ্যা মোটামুটি ভারসাম্য অবস্থায় থাকে।

বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ

সম্পাদনা

আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি এখনও হুমকির সম্মুখীন নয়।এই মাছ সাধারণভাবে প্রায় ৪ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। এদের উচ্চ স্থিতিস্থাপকতা গুণ থাকে এবং সংখ্যায় দ্বিগুণ। হতে ১৫ মাসের ও কম সময় লাগে।[]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Corica soborna"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। 2010। সংগ্রহের তারিখ 24/10/2012  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. ওহাব, মোঃ আব্দুল (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৯। আইএসবিএন 984-30000-0286-0 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য) 
  3. http://bn.bdfish.org/2014/06/corica-soborna-ganges-river-sprat-কাচকি/