সুজালপুর ইউনিয়ন
সুজালপুর ইউনিয়ন বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত বীরগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়ন।[১]
সুজালপুর | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
বাংলাদেশে সুজালপুর ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫১′৫৬″ উত্তর ৮৮°৩৯′২৮″ পূর্ব / ২৫.৮৬৫৫৬° উত্তর ৮৮.৬৫৭৭৮° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | দিনাজপুর জেলা |
উপজেলা | বীরগঞ্জ উপজেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৮ বর্গকিমি (৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ২৪,৭৬৯ আনুমানিক |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৮৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫২২০ |
অবস্থান
সম্পাদনাসুজালপুর ইউনিয়নের উত্তরে নিজপাড়া ইউনিয়ন, পূর্বে বীরগঞ্জ পৌরসভা, দক্ষিণে কাহারোল উপজেলা, পশ্চিমে ভোগনগর ইউনিয়ন অবস্থিত। ইউনিয়ন তথা বীরগঞ্জ উপজেলার একমাত্র ঢেপা নদীটি সুজালপুর ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে।
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
সম্পাদনাদিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো সুজালপুর ইউনিয়ন। কাল পরিক্রমায় আজ সুজালপুর ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তায় সমুজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। সুজালপুর নাম করা হয়েছে অনেক পড়ে বিট্রিশ সময় এর নাম ছিল নুরপুর। উপজেলার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সকলেই প্রাই সুজালপুর ইউনিয়ন এর মধ্যে ব্যবসাহ বাণিজ্য থেকে শুরু করে বড় বড় প্রতিষ্ঠান সবগুরোই প্রায় এই সুজালপুর ইউনিয়ন এর মধ্যে কিন্তু কালক্রমে বর্তমানে এই ইউনিয়ন থানার সবচেয়ে ছোট আকার ধারণ করে তার কারণ সুজালপুর মৌজা সম্পূর্ণ ভাবে পৌরসভা ঘোষণা হওয়ায়। তার পরও এখনোও ইউনিয়নটি তার আগের নামই ধারণ করে আছেন।
ভাষা ওসংস্কৃতি
সম্পাদনাসুজালপুর ইউনিয়নে সাহিত্য ও সাংস্কৃতির চর্চার দিক দিয়ে আবহমানকাল থেকেই ঐতিহ্যবাহী। এ ইউনিয়নে সংস্কৃতিমনা লোকজন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে জনগণকে বিনোদন প্রদান করেছে। অত্র ইউনিয়নে আদিকাল থেকেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আদিবাসী বসবাস করে আসছে এবং ভাষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এই আদিবাসীরা সবসময় একটি স্বতন্ত্র পরিচয় বহন করে এসেছে। ৫নং সুজাপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং ঐতিহ্যগত আচার অনুষ্ঠানদৃষ্টে প্রতীয়মান হয় যে, এখানকার মানুষ শিল্প সংস্কৃতির প্রতি অত্যন্ত অনুরাগী । পহেলা বৈশাখ, চৈত্রসংক্রান্তি, বর্ষবরণ, নবান্ন পালন, আদিবাসীদের (সাঁওতালদের) ৩০ শে জুনের হুল উৎসব, হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা পার্বনের সময়, মুসলমানদের ঈদ উৎযাপনের সময় এ উপজেলায় বেশ উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ঢাক, ঢোল, কাসর, তোরংগ,বাঁশী এ এলাকার বেশ জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত বহন করে আছেন এই ইউনিয়নটি। সকলে মিলে সকল উৎসব খুব সুন্দর ভাবে পালন করে থাকে। পুজার সময় হিন্দু মুসলমান সাঁওতাল থেকে শুরু করে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন এক সঙ্গে উৎসব উপভোগ করে এবং পালন করেন। উৎসব গুলোর সময় এক সৌন্দয্য প্রকাশ পায়।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাসুজালপুর ইউনিয়ন ১৯টি গ্রাম নিয়ে গঠিত যা ৯টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডে বিভক্ত।
ওয়ার্ড নং | গ্রাম |
---|---|
১ | ছোট শীতলাই |
২ | বড় শীতলাই |
৩ | চাকাই |
৪ | কুমোরপুর, বোয়ালমারি, উত্তর সুজালপুর |
৫ | বর্ষাচেংগাইক্ষেত্র, গোপালপুর |
৬ | মদনপুর, মহুয়াগাও, আমতলী |
৭ | মানকিরা |
৮ | মুড়িয়ালা, ফেনাপুকুর |
৯ | জগদল, দৌলতপুর, মাকড়াই |
যোগাযোগ
সম্পাদনাদিনাজপুর জেলা সদর থেকে হাইওয়ে রোড হয়ে ২৮ কি:মি:। রাস্তা ও সড়কের পরিমাণ (কি:মি:) পাকা ২৫কি: কাঁচা ৭০ কি:মি:।
জনসংখ্যা
সম্পাদনাসুজালপুরের মোট জনসংখ্যা - ২৪৭৬৯ জন[২]
- পুরুষ = ১২৬১৩ জন
- মহিলা = ১২১৫৬ জন
শিক্ষা
সম্পাদনাএ ইউনিয়নে ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা ও ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে।[৩]
- আমতলী উচ্চ বিদ্যালয়
- শীতলাই আলিম মাদ্রাসা
অর্থনীতি
সম্পাদনাসুজালপুর ইউনিয়নের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর।
হাট বাজার
সম্পাদনা- জগদল হাট
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনাইউনিয়নের একমাত্র দর্শনীয় স্থান বীরগঞ্জ - খানসামা রোড সংলগ্ন টেপা নদীতে দেওয়া স্লুইচ গেট।
সরকারী অফিস
সম্পাদনা- উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা
- ইউনিয়ন ভুমি অফিস
- ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র
- পরিবার পরিকল্পনা
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বাংলা নিউজ.কম"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ "গ্রাম ভিত্তিক লোকসংখ্যা"। জন্ম নিবন্ধ অনুসারে। সংগ্রহের তারিখ ২০০৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ সুজালপুর ইউনিয়নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |