কাহারোল উপজেলা
কাহারোল উপজেলা বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা।
কাহারোল | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে কাহারোল উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৪৭′২৬″ উত্তর ৮৮°৩৫′৪৬″ পূর্ব / ২৫.৭৯০৫৬° উত্তর ৮৮.৫৯৬১১° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | দিনাজপুর জেলা |
সংসদীয় আসন | ৬-দিনাজপুর-১ |
সরকার | |
• উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা | মোঃ আমিনুল ইসলাম |
আয়তন | |
• মোট | ২০৫.৫৪ বর্গকিমি (৭৯.৩৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০২১) | |
• মোট | ১,৫৪,৪৩২ [১] |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ২৭ ৫৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাদিনাজপুর জেলার অন্তর্গত কাহারোল উপজেলা মোট আয়তন ২০৫.৫৪ বর্গ কি: মিটার। এ উপজেলার উত্তরে বীরগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে দিনাজপুর সদর উপজেলা ও বিরল উপজেলা, পূর্বে খানসামা উপজেলা ও দিনাজপুর সদর উপজেলা, পশ্চিমে বোচাগঞ্জ উপজেলা।
প্রশাসনিক অবস্থা
সম্পাদনা- ইউনিয়ন : ৬টি - ডাবর, রসুলপুর, মুকুন্দপুর, তারগাঁও, সুন্দরপুর ও রামচন্দ্রপুর;
- মৌজা : ১৫৩টি;
- গ্রাম : ১৫২টি।
ইতিহাস
সম্পাদনাকাহারোল উপজেলা দিনাজপুর জেলার অধীনে গঠিত ছোট একটি উপজেলা যা ব্রিটিশ শাসন আমলে ১৯১৫ সালে থানা হিসেবেগঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে এটি উপজেলা ঘোষিত হয়। এ উপজেলা মোট ৬টি ইউনিয়ন, ১৫৩টি মৌজা, ১৫২টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। উপজেলার নামকরনের সঠিক ইতিহাস জানা যায় নাই। তবে জনশ্রুতি রয়েছে যে, এখানে অনেকদিন আগে ‘‘কাহার’’ নামে একটি আদিবাসী সম্প্রদায় বসবাস করত। তারা সন্ধ্যে বেলায় একত্রে গান করত যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘‘রোল’’ বলা হতো। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ‘কাহার’ এবং ‘রোল’ এই দু’টি শব্দ থেকে উদ্ভব হয়েছে কাহারোল উপজেলার নাম।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনা২০২১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ১৫৪৪৩২: পুরুষ ৭৭২৫৩ মহিলা ৭৭১৭৯ মুসলিম ৮৩২৩৪ হিন্দু ৬৮০৪৩ খ্রিষ্টান ১২৪০ এবং অন্যান্য ১৯১৫। এ উপজেলায় সাঁওতাল আদিবাসী জনগোষ্ঠী বসবাস রয়েছে।
শিক্ষা
সম্পাদনাকলেজের সংখ্যা ৭টি, হাই স্কুলের সংখ্যা ৪৬টি, মাদ্রাসার সংখ্যা ১৪টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২১টি।
অর্থনীতি
সম্পাদনাঅর্থকরী ফসল ধান, গম, ভুট্টা, আখ, রবিশস্য ইত্যাদি।
নদীসমূহ
সম্পাদনাকাহারোল উপজেলায় ৩টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে পুনর্ভবা নদী, ঢেপা নদী এবং আত্রাই নদী।[২]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনাদর্শনীয় স্থান
সম্পাদনাকাহারোল উপজেলায় বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত দুটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা কান্তনগর মন্দির ও নয়াবাদ মসজিদ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বেহুলা ও লক্ষিন্দরের সমকালীন পটভূমিতে খনন করা লক্ষীন্দর পুকুর।
বিবিধ
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কাহারোল উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬।
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৪।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |