সিলেটি সাহিত্য (সিলেটি: ꠍꠤꠟꠐꠤ ꠍꠣꠁꠔꠤ(ꠅ)) পূর্বী নাগরীসিলেটি নাগরিতে লিখিত সিলেটি ভাষার সাহিত্যকর্ম। চর্যাপদকে সিলটি সহ অসমীয়া, বাংলা, ভোজপুরী, ওড়িয়া, মাগধী, মৈথিলি, এবং অন্যান্য ভাষার প্রাচীনতম সাহিত্যকর্ম হিসেবে মনে করা হয়।[১][২][৩] হালত-উন-নবী, সাদেক আলীর রচিত পুথি সিলেটি নাগরি সাহিত্যের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য সাহিত্য হিসাবে বিবেচিত হয়।[৪] শাহ জালাল এবং শ্রীচৈতন্য দেবের উপস্থিতি ও প্রভাব সিলেটি সাহিত্যে পরিলক্ষিত হয়।[৫] সিলেটে প্রাপ্ত তাম্রফলক, শিলালিপি, গল্প, গীতিকা ইত্যাদি এ অঞ্চলের ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন। সৈয়দ মোস্তফা কামালের মতে (আনুমানিক ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দ) চৈতন্যবাদ ও জগন্মোহনী মতাদর্শের সংমিশ্রনের ভিত্তিতে বাউল ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠিত হয়, যা মরমী সাহিত্য বৈষ্ণব পদাবলীতে দেখা যায়। যারফলে, সিলেট মরমী সাহিত্যের আধ্যাত্মিক রাজধানী এবং বাউল সংগীতের উর্বর ভূমি হিসাবে বিবেচিত হয়। বিপুল সংখ্যক কবি-সাহিত্যিক সিলেটি সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। যার মধ্যে হাসন রাজা, রাধা রমন, সৈয়দ শাহনুর, শিতালং শাহ, দুর্বিন শাহ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।[৬] নাগরী সাহিত্যের মূল ভিত্তি মূলত ধর্মীয়, ইসলামী ইতিহাস, ঐতিহ্য, গল্প এবং রাগ, বাউল এবং মরমী সংগীত। এখন পর্যন্ত ৮৮টি মুদ্রিত বই (নাগরী লিপিতে) সহ ১৪০টি বই পাওয়া গেছে।[৭]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Chatterji, Suniti Kumar। The Origin and Development of the Bengali Language। পৃষ্ঠা 80। 
  2. Chakrabarti, Kunal; Chakrabarti, Subhra (২২ আগস্ট ২০১৩)। Historical Dictionary of the Bengalis। Scarecrow Press, UK। পৃষ্ঠা 125। আইএসবিএন 978-0-8108-5334-8 
  3. Duggal, Gita; Chakrabarti, Joyita। Milestones Social Science। Madhubun। পৃষ্ঠা 79। আইএসবিএন 9789325982673 
  4. "ভাষা ও সংষ্কৃতি"Bangladesh National Portal। ১৩ সেপ্টে ২০২০। ১৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ 
  5. Mayenin, Munayem (২০১২)। Larakoron My Sylheti Grammar। পৃষ্ঠা 29। আইএসবিএন 9781470963231 
  6. Mayenin, Munayem (২০১১)। Sylara My Sylheti Tutor। পৃষ্ঠা 18। আইএসবিএন 9781447713081 
  7. "ভাষা ও সংষ্কৃতি"। Bangladesh National Portal। ১৪ সেপ্টে ২০২০। ২৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০২০