সিন্ধু পরিষদে পাকিস্তান প্রস্তাব

সিন্ধু বিধানসভা প্রথম ব্রিটিশ ভারতীয় আইনসভা ছিল, যারা পাকিস্তানের পক্ষে প্রস্তাব পাস করে। জিএম সৈয়দের তত্ত্বাবধানে প্রভাবশালী সিন্ধি কর্মী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতারা এই প্রস্তাবের অগ্রভাগে ছিলেন। প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন ১৯৩৮ সালে মুসলিম লীগে যোগ দেয় এবং সিন্ধু পরিষদে পাকিস্তান প্রস্তাব পেশ করে। ১৮৯০ সালে সিন্ধু প্রথম বারের মতো বোম্বাই বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব অর্জন করে। চারজন সদস্য সিন্ধুর প্রতিনিধিত্ব করেন। সেই নেতারা এবং সিন্ধুর আরও অনেকে বোম্বে প্রেসিডেন্সি থেকে সিন্ধুর পৃথকীকরণ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, যা ১৯৩৬ সালে সংঘটিত হয়েছিল।[১]

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ; পাকিস্তান পক্ষের একজন প্রধান প্রবক্তা।

সিন্ধুর নবনির্মিত প্রদেশ সাম্প্রদায়িক ও সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে নির্বাচিত নিজস্ব একটি আইনসভা গঠন করে। ১৯৩৬ সালে স্যার ল্যান্সেলট গ্রাহামকে ব্রিটিশ সরকার সিন্ধুর প্রথম গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত করেন। তিনি কাউন্সিলের প্রধানও ছিলেন, যার মধ্যে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত সিন্ধুর বিষয়গুলি পরিচালনার জন্য বোম্বে কাউন্সিলের দুইজন উপদেষ্টা সহ ২৫ জন সদস্য ছিলেন। ব্রিটিশরা এক শতাব্দী ধরে এলাকাটি শাসন করে। ইংরেজ অভিযাত্রী রিচার্ড বার্টনের মতে, সিন্ধু ব্রিটিশ ভারতে সবচেয়ে অস্থির প্রদেশগুলির একটি ছিল এবং এটি অন্ততপক্ষে উবায়দুল্লাহ সিন্ধিমোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মতো অনেক বিশিষ্ট মুসলিম নেতার বাসস্থান ছিল, যারা বৃহত্তর মুসলিম স্বায়ত্তশাসনের জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে মুসলিম লীগের ২৭ তম অধিবেশনে স্যার হাজী আবদুল্লাহ হারুন তাদের মধ্যে একজন অন্যতম ছিলেন, যারা পাকিস্তান প্রস্তাবে বক্তৃতা ও সমর্থন করেছিলেন। [২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Proceedings of the Sind Legislative Assembly : Official Report" (PDF)। Pas.gov.pk। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-২৮ 
  2. "Sindh`s role in Pakistan movement"www.dawn.com (English ভাষায়)। Dawn Newspaper। ২৪ জানুয়ারি ২০১০।