সিনেমা এন্ড আই (ইংরেজি: Cinema and I) বৈশ্বিক সিনেমা জগতে বাঙালির ও বাংলার প্রতিনিধিত্বকারী অচঞ্চল অনমনীয় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ইংরেজি ভাষায় লিখিত একটি বই।[১] অসামান্য এই বইটি তার বেশ কিছু প্রবন্ধ ও সাক্ষাৎকার নিয়ে লিখিত। লেখকের অন্যান্য বই গুলির মধ্যে On the cultural "Front", Rows and Rows of Fences: Ritwik Ghatak on Cinema অন্যতম। ১৯৮৭ সালের ১৭ জানুয়ারী ঋত্বিক মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বইটি প্রকাশ করেন।[২]

সিনেমা এন্ড আই
Cinema and I
লেখকঋত্বিক ঘটক
দেশভারত
ভাষাইংরেজি
ধরনআত্মজীবনী ও সমসাময়িক সময়ের অজানা ইতিহাস
প্রকাশকপাতাবাহার পাবলিকেশন (প্রাইভেট) লিমিটেড
প্রকাশনার তারিখ
২০১৫
মিডিয়া ধরনপেপার বাঁধাই, হার্ড কভার
পৃষ্ঠাসংখ্যা৩৫২
আইএসবিএন৯৭৮৯৩৮৩২০০৯১৭

লেখক পরিচিতি

সম্পাদনা

ঋত্বিক ঘটক পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশের) জিন্দাবাজার, ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম ইন্দুবালা দেবী এবং বাবা সুরেশ চন্দ্র ঘটক। তিনি বাবা-মায়ের ১১তম এবং কনিষ্ঠতম সন্তান। ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষ এবং ১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের পরে পূর্ববঙ্গের প্রচুর লোক কলকাতায় আশ্রয় নেয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় তার পরিবার কলকাতায় চলে যায়। ১৯৪৬ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৮ সালে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে এম.এ কোর্স শেষ করেও পরীক্ষা না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন তিনি।[৩]

বিষয় সংক্ষেপ

সম্পাদনা

ঋত্বিক ঘটক বিংশ শতাব্দীর বাঙালি চলচ্চিত্রকারদের মধ্যে সবথেকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ অনমনীয় ব্যক্তিত্ব। এই বইটি মূলত তার লেখা বিভিন্ন নিবন্ধ, সাক্ষাৎকারকে সিঞ্চিত করে লেখা হয়েছে। মোট ২০টা প্রবন্ধ ও ১৭ টি সাক্ষাৎকারকে চমৎকার ভাবে শৈল্পিক ভঙ্গিমাতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং খুবই সূক্ষ ভাবে মানব সভ্যতার প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি ও আচার-আচরণএর প্রভেদকে ঐতিহাসিক সময়ের থেকে সমকালীন সময়ের আঙ্গিকে তুলে ধরা হয়েছে। বইটি সিনেমা প্রেমী মানুষের সাথে ইতিহাস সচেতন মননের উপযোগী করে লিখিত।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Ghatak, Ritwik (২০১৫-১১-২২)। Cinema & I (ইংরেজি ভাষায়)। Patabahar Publications (P) Limited। আইএসবিএন 9789383200917 
  2. "Cinema and I"www.goodreads.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৮ 
  3. বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান, সম্পাদকঃ সেলিনা হোসেন ও নূরুল ইসলাম, ২য় সংস্করণ, ২০০৩, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, পৃ. ৯৬