সাধারণ বর্ষপঞ্জি হল একটি বর্ষপঞ্জি, বা সম্ভবত বিভিন্ন বর্ষপঞ্জির মধ্যে অন্যতম, যা একটি দেশের মধ্যে বেসামরিক, সরকারি বা প্রশাসনিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।[১] বেসরকারি বর্ষপঞ্জি প্রায় সবসময় মানুষ এবং বেসরকারি সংস্থা দ্বারা সাধারণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।

লন্ডন শহরের বেভিস মার্কস উপাসনালয়ের উপর শিলালিপিটি ৫৪৬১ সৃষ্টাব্দ এবং সাধারণ বর্ষপঞ্জিটি ১৭০১ সালের তারিখ দেখাচ্ছে।

সর্বাধিক বিস্তৃত সাধারণ বর্ষপঞ্জি ও জনসাধারণের আন্তর্জাতিক আদর্শ হল গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি। এই বর্ষপঞ্জিটি ক্যাথলিক চার্চ ও পোপতন্ত্রের সাথে যুক্ত হলেও সুবিধার জন্য এটি অনেক ধর্মনিরপেক্ষ এবং অ-খ্রিস্টীয় দেশ দ্বারা গৃহীত হয়েছে যদিও কিছু দেশ অন্য বর্ষপঞ্জিও ব্যবহার করে।

বিশ্বব্যাপী সাধারণ বর্ষপঞ্জি সম্পাদনা

২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৬৮টি দেশ[২] তাদের একমাত্র সাধারণ বর্ষপঞ্জি হিসেবে গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করেছে।

চারটি দেশ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি গ্রহণ করেনি: আফগানিস্তানইরান (যারা সৌর হিজরি বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করে), ইথিওপিয়া (ইথিওপীয় বর্ষপঞ্জি), এবং নেপাল (বিক্রম সংবৎনেপাল সংবৎ)।[২]

চারটি দেশ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির একটি পরিবর্তিত সংস্করণ ব্যবহার করে (খ্রিস্টাব্দের বদলে ভিন্ন সাল): জাপান (জাপানি বর্ষপঞ্জি), উত্তর কোরিয়া (উত্তর কোরীয় বর্ষপঞ্জি), তাইওয়ান (মিঙ্গু বর্ষপঞ্জি), এবং থাইল্যান্ড (থাই সৌর বর্ষপঞ্জি)। পূর্বের তিনটি দেশে খ্রিস্টাব্দেরও ব্যবহার রয়েছে।

আঠারোটি দেশ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির পাশাপাশি আরেকটি বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করে: আলজেরিয়া (চন্দ্র হিজরি বর্ষপঞ্জি), বাংলাদেশ (বাংলা বর্ষপঞ্জি), মিশর (চন্দ্র হিজরি বর্ষপঞ্জিকিবতীয় বর্ষপঞ্জি), ভারত (ভারতীয় জাতীয় বর্ষপঞ্জি), ইরাক (চন্দ্র হিজরি বর্ষপঞ্জ), ইসরায়েল (হিব্রু বর্ষপঞ্জি), জর্ডান, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, মরক্কো (চান্দ্র হিজরি বর্ষপঞ্জি), মায়ানমার (বর্মী বর্ষপঞ্জি), ওমান, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সোমালিয়া, তিউনিসিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন (চান্দ্র হিজরি বর্ষপঞ্জি)।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Kenton, Will। "Understanding the Calendar Year"Investopedia (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৭ 
  2. "Countries That Use Their Own Calendar"WorldAtlas (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৭