সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (ইংরেজি: Satkhira Government High School) বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত একটি স্বনামধন্য উচ্চ বিদ্যালয়। এটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৬৮ সালে জাতীয়করণ করা হয়। বিদ্যালয়টি বালক উচ্চ বিদ্যালয়।[১]
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
অবস্থান | |
আমতলা , , ৯৪০০ | |
স্থানাঙ্ক | ২২°৪৩′৩২″ উত্তর ৮৯°০৪′৩৯″ পূর্ব / ২২.৭২৫৬৭৫০° উত্তর ৮৯.০৭৭৫৫২৮° পূর্ব |
তথ্য | |
ধরন | সরকারি |
নীতিবাক্য | হে প্রভু, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি কর |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১ জুলাই ১৯৬২ |
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর |
বিদ্যালয় জেলা | সাতক্ষীরা জেলা |
ইআইআইএন | ১১৮৮১৩ |
প্রধান শিক্ষক | আমিনুল ইসলাম টুকু |
সহকারী প্রধান শিক্ষক (প্রভাতি) | মোঃ সিরাজুল ইসলাম |
সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা) | মো : মতিউর রহমান |
শ্রেণি | ৩য়-১০ম |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ২২০০ জন (প্রায়) |
শিক্ষায়তন | ১০০ বর্গ মিটার |
ওয়েবসাইট | sghss |
ইতিহাস
সম্পাদনাখুলনা-সাতক্ষীরা প্রধান সড়কের পূর্ব পাশে চাচেঁর বেড়া ও গোলপাতার ছাউনি বিশিষ্ট কক্ষ দিয়ে বিদ্যালয়টি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, তৎকালীন সময়ে এটি সাতক্ষীরা টাউন হাই স্কুল নামে পরিচিত ছিল। বিদ্যালয়ের মোট জমি ৯ একর ৫৬ শতক। ১লা মে ১৯৬৮ বিদ্যালয়টিকে সাতক্ষীরা সরকারি টাউন হাই স্কুল নামেই জাতীয়করণ করা হয়। পরবর্তীতে ০১লা জানুয়ারি ১৯৬৯ সাল থেকে বিদ্যালয়টি সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নামে নামকরণ করা হয়।[২]
বিদ্যালয়টির পিছনে একটি গনকবর রয়েছে। যেখানে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী অনেক মানুষকে হত্যা করে এখানে গনকবর দেয়।
অবস্থান
সম্পাদনাসাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা ও সাতক্ষীরা মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে আমতলা মোড়ে স্থানীয় বাস টার্মিনাল থেকে প্রায় ০১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[২]
শিক্ষা ব্যবস্থা
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠার শুরুতে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত চালু করা হয় এবং স্থানীয় জনগনের চাহিদার প্রেক্ষিতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কো-এডুকেশন রাখা হয়। পরবর্তীতে জাতীয়করণের পর ১ম ও ২য় শ্রেণী উঠিয়ে দিয়ে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত কো-এডুকেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদ্যালয়টিতে ২০১০ সাল হতে ২টি শিফট চালু করা হয়েছে। প্রায় ২২০০ ছাত্র এখানে লেখা পড়া করে। এখানে আনুমানিক প্রতিটি আসনের বিপরীতে ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি যুদ্ধে নামে।[৩]
এটি এখন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।[২][৪]
বিদ্যালয়ের পোশাক নীতিমালা
সম্পাদনাবিদ্যালয়ের পোশাক নীতি নিম্নরূপ-
- সাদা হাফ শার্ট বিদ্যালয় লোগো সংবলিত (গ্রীষ্মকালীন)
- সাদা ফুল শার্ট বিদ্যালয় লোগো সংবলিত (শীতকালীন)
- কৃষ্ণসবুজ বর্ণের প্যান্ট
- কালো বেল্ট
- সাদা জুতা ও মোজা
- শোল্ডার ব্যাজ
- প্রাতকালীন ছাত্রদের বিদ্যালয়ের লোগো সংবলিত লাল ব্যাজ ও দিবাকালীনদের সবুজ ব্যাজ
পরিবেশ
সম্পাদনাবিদ্যালয়টি সাতক্ষীরা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এর পাশ দিয়ে চলে গেছে সাতক্ষীরা-খুলনা প্রধান সড়ক। এই বিদ্যালয়ের ২টি খেলার মাঠ আছে। ছাত্ররা বিদ্যালয়ের খেলাধুলার সময় সামনের মাঠটিই ব্যবহার করে। কোনো অনুষ্ঠানে পিছনের মাঠটি ব্যবহার করা হয়। বিদ্যালয়ে প্রতি বছর সমাবর্তন, প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলনী এবং বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান করা হয়। খেলাধুলায়ও বিদ্যালয়টি যথেষ্ট অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে, প্রতি বছর এখানে নিয়মিতভাবে বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।[৫] এছাড়াও প্রতিবছর বার্ষিক প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস"। দাপ্তরিক ওয়েবসাইট-সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-০৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ "সাতক্ষীরা-সরকারি-উচ্চ-বিদ্যালয়"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন"। লেখাপড়া ২৪ ডটকম। ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "সাতক্ষীরা সদর উপজেলা"। বাংলা পিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ"। সাতক্ষীরা নিউজ। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাবাংলাদেশের বিদ্যালয় বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |