সন অব দ্য শেখ
সন অব দ্য শেখ ১৯২৬ সালে নির্মিত ইউনাইটেড আর্টিস্টস প্রযোজিত ও জর্জ ফিজমরিশ পরিচালিত একটি নির্বাক চলচ্চিত্র। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন রুডলফ ভ্যালেনটিনো ও ভিলমা বানকি। ছবিটি এডিথ মড হুল রচিত দ্য শেখ উপন্যাসের সিকোয়েল তথা বিখ্যাত রোম্যান্স উপন্যাস সন অব দ্য শেখ অবলম্বনে নির্মিত। এটিই ছিল ভ্যালেনটিনো অভিনীত শেষ ছায়াছবি।
সন অব দ্য শেখ Son of the Sheik | |
---|---|
পরিচালক | জর্জ ফিজমরিশ |
প্রযোজক | জন ডব্লিউ কনসিডাইন, জুনিয়র/ফিচার প্রোডাকশনস |
রচয়িতা | এডিথ মড হুল (উপন্যাস) ফ্রান্সিস মারিওন, ফ্রেড ডে গ্রেস্যাক (সিনারিও) |
শ্রেষ্ঠাংশে | রুডলফ ভ্যালেনটিনো ভিলমা বানকি মন্টেগু লভ কার্ল ডেন জর্জ ফকেট |
সুরকার | ইন থিয়েটার |
চিত্রগ্রাহক | জর্জ বার্নেস |
পরিবেশক | ইউনাইটেড আর্টিস্টস |
মুক্তি | ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯২৬ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) |
স্থিতিকাল | ৬৮ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | নির্বাক চলচ্চিত্র ইংরেজি ইন্টারটাইটেল |
২০০৩ সালে ছবিটি “সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও নন্দনতত্ত্বগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ” বিবেচিত হয়ে লাইব্রেরি অব কংগ্রেস কর্তৃক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফিল্ম রেজিস্টিতে সংরক্ষণের জন্য নির্বাচিত হয়।
কাহিনি-সারাংশ
সম্পাদনাএই ছায়াছবিটি ১৯২১ সালে নির্মিত দ্য শেখ ছায়াছবিটির একটি সিকোয়েল। এই ছবিতেও পূর্বোক্ত ছবিটির মতোই ভ্যালেনটিনো নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। শেখ আহমেদের পুত্র আহমেদ (দুইটি চরিত্রেই অভিনয় করেন ভ্যালেনটিনো) তাঁর পিতা এককালে যেরকম উগ্র মনোভাবাপন্ন ছিলেন ঠিক সেই রকম। ছবির শুরুতে দেখা যায় আহমেদ জেসমিন (বানকি) নামে এক নর্তকীকে প্রেম নিবেদন করছেন। জেসমিন তাঁর ফরাসি পিতা কর্তৃক অত্যাচারিত ও বিপথচালিত। একদিন চাঁদের আলোয় এক ভগ্নপ্রাসাদে দুইজন ঘুরছিলেন, এমন সময় আহমেদ অপহৃত হন। জেসমিনের পিতা মোটা অঙ্কের মুক্তিপণের আশায় আহমেদকে অপহরণ করে অত্যাচার করেন। আহমেদ তাঁর বিশ্বস্ত ভৃত্য রামাদানের সাহায্যে পালাতে সক্ষম হন। কিন্তু তিনি জেসমিনকে ভুল বোঝেন। তিনি মনে করেন, তাঁর অপহরণের ছক জেসমিনের সাহায্যেই কষা হয়েছিল। তাই জেসমিনকে পাল্টা অপহরণ করে নিজের তাঁবুতে বন্দী করে রাখেন তিনি। একটি সংকেত দেওয়া হয় যে নায়িকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। যদিও কোনো বিস্তারিত ধর্ষণদৃশ্য সংযোজিত না করে ব্যাপারটি সম্পূর্ণ দর্শকদের কল্পনার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়। আহমেদের পিতা পুত্রের দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে ক্রুদ্ধ হয়ে সেখানে উপস্থিত হন; এবং জেসমিনকে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। আহমেদ যখন শোনেন যে তাঁর অপহরণে জেসমিনের কোনো হাত ছিল না, তখন দুঃখিত হয়ে তাকে তার পিতার কাছ থেকে মুক্ত করে আনেন। তার পিতা নিজের এক সহকারীর সঙ্গে তার বিবাহ স্থির করেছিলেন। শেষে সব কিছু ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আহমেদ ও জেসমিনের মিলনে ছবি শেষ হয়।
প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনাদ্য শেখ ছায়াছবিটির থেকে এই ছবিতে হাস্যরস ও সংঘর্ষের দৃশ্য অনেক বেশি ছিল। সমালোচকরাও এই ছবির প্রশংসা করেন। কেউ কেউ এটিকে ভ্যালেনটিনোর সেরা ছবি বলেও মত প্রকাশ করেন। বড় শহরগুলিতে প্রিমিয়ারের সময় ছবিটি যথেষ্ট বাণিজ্য করে। এই সময় ভ্যালেনটিনোর অপ্রত্যাশিত অকালমৃত্যু ঘটলে তাঁর শেষকৃত্য উপলক্ষে ছবিটির মুক্তি ছবিটিকে বিরাট জনপ্রিয়তাদানে সাহায্য করে।
প্রভাব
সম্পাদনাচিত্রনাট্যকার ফ্রান্সিস মারিওন প্রথমে সন অব আ বিচ নামে গল্পটির একটি প্যারোডি লিখেছিলেন। আহমেদকে চাবুক মারা ও জেসমিনের ধর্ষণ জেন ওয়াল্টার নির্মিত দ্য ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট লাভার (১৯৭৭) ছবিতে প্যারোডিকৃত হয়।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে সন অব দ্য শেখ (ইংরেজি)