শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী

শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী হচ্ছে শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীর অংশ, এটি হচ্ছে দেশটির সমুদ্র-সামরিক বাহিনী। যেহেতু শ্রীলঙ্কা একটি দ্বীপ দেশ তাই দেশটিতে নৌবাহিনীর গুরুত্ব ব্যাপক, নৌবাহিনীর সমর দায়িত্ব সহ তারা অনেক কাজ করে যেমনঃ মাদক চোরাচালানীদের গ্রেফতার, অবৈধ কোনো জাহাজ আটকানো, জলদস্যুদের শাস্তি দেওয়া ইত্যাদি।

শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী
সক্রিয়৯ ডিসেম্বর ১৯৫০; ৭৩ বছর আগে (1950-12-09)
দেশ শ্রীলঙ্কা
ধরনসমুদ্র-সামরিক বাহিনী
ভূমিকাসমুদ্র পথে যুদ্ধ, জাহাজ যুদ্ধ, সমুদ্র নিরাপত্তা
আকারআনুমানিক ৫০,০০০ জন কর্মকর্তা এবং নাবিক[১]
অংশীদারপ্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (শ্রীলঙ্কা)
নৌবাহিনী সদর-দপ্তরএসএলএনএস পরাক্রম, কলম্বো
নীতিবাক্যරට වට බැදි රන් ‍වැට
বাংলা:"দেশের চারিদিকে সোনালি বেড়া"
বার্ষিকী৯ই ডিসেম্বর (নৌবাহিনী দিবস)
যুদ্ধসমূহদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
১৯৭১ জেভিপি আন্দোলন দমন
জেভিপি বিদ্রোহ দমন অভিযান ১৯৮৭-৮৯
শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ
ওয়েবসাইটwww.navy.lk
কমান্ডার
নৌবাহিনী কমান্ডারএকজন ভাইস এ্যাডমিরাল
উল্লেখযোগ্য
কমান্ডার
এ্যাডমিরাল ক্ল্যান্সি ফার্নান্দো
এ্যাডমিরাল ডি. এ. এম. আর. সামারাসেকারা
এ্যাডমিরাল ট্রাভিস সিন্নিয়াহ
প্রতীকসমূহ
নেভাল এনসাইন
নেভাল জ্যাক

এই বাহিনী ব্রিটিশদের রাজকীয় নৌবাহিনীর তৈরি করে যাওয়া, তারা এই বাহিনীর নাম রয়্যাল সিলন নেভি রেখেছিলো ১৯৩৯ সালে, ১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার দুই বছর পর ১৯৫০ সালের ৯ই ডিসেম্বর স্বাধীন শ্রীলঙ্কার প্রথম নৌবাহিনী আইন (নেভি এ্যাক্ট) প্রণয়ন করা হয়। ১৯৭২ সালে সিলনের নাম শ্রীলঙ্কা হয়ে গেলে সিলন নেভি শ্রীলঙ্কা নেভি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সহ এই নৌবাহিনী ১৯৭১ সালের জেভিপি (কমিউনিস্ট রাজনৈতিক দল) এর জঙ্গি হামলা মোকাবেলা সহ শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে উভচর যুদ্ধ সহ নৌযুদ্ধও করেছে।[১] এই বাহিনীর প্রধান অধিনায়ক একজন ভাইস এ্যাডমিরাল থাকেন।[২]

সত্তরের দশকের মাঝখান দিক থেকে এই বাহিনীতে নারী নাবিক এবং কর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়, নারীদের নাবিকদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পদে আসীন হওয়ার সুযোগ থাকলেও কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে কমান্ডারের বেশি পদমর্যাদা দেওয়া হয়না, যদিও ইন্দ্রনী ওয়াই অমরসিংহ নামের একজন নারী ডাক্তার ক্যাপ্টেন পদবী পর্যন্ত পদোন্নতি পেয়েছিলেন ২০০০-এর দশকে যাকে অবসরের আগে কমোডোর পদবী দেওয়া হয়।[৩]

সংগঠন সম্পাদনা

কমান্ড সম্পাদনা

 
The Naval Areas of Operations. Note that the Southern and Eastern areas overlap (stripes).

বর্তমান নৌবহর সম্পাদনা

নৌবহর
শ্রেণী উৎস নৌজাহাজ উত্পাটন অশ্রসম্ভার
উন্নত অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল
হ্যামিল্টন-ক্লাস কাটার   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এসএলএনএস গজবাহু

~USCGC ডগলাস মুনরো (WHEC-724)

৩,২৫০ টন ১টি ওটিও মেলারা ৭৬ মিমি বন্দুক

মার্ক ৯২ গাইডেড মিসাইল ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম

সরযূ-শ্রেণি টহল জাহাজ   ভারত এসএলএনএস সায়ুরালা

এসএলএনএস সিন্ধুরালা

২,২৩০ টন টাইপ ৬৩ একাধিক রকেট প্রবর্তক
টাইপ ০৫৩এইচটুজি ফ্রিগেট   চীন এসএলএনএস পরক্রমবাহু ২,৩৯৩ টন ১টি টাইপ-৭৯ ১০০ মিমি নৌ বন্দুক
৪টি টাইপ ৭৬ টুইন ৩৭ মিমি নৌ বন্দুক
টাইপ ৩৬০ বায়ু-ভূপৃষ্ঠ রাডার
টাইপ ৩৪৫ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ রাডার
অফশোর প্যাট্রোল ভেসেলস
সুকন্যা - শ্রেণীর টহল জাহাজ   ভারত এসএলএনএস সায়ুরা ১,৮৯০ টন 40 মিমি, 60-ক্যাল বোফর্স অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট বন্দুক রয়েছে

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Sri Lanka learns to counter Sea Tigers’ swarm tactics, JANE’S NAVY INTERNATIONAL ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ নভেম্বর ২০১১ তারিখে, Jane's Information Group
  2. "2014/06/29/sec02"sundayobserver.lk। ২০১৬-১০-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-১৬ 
  3. Surgeon Commodore Indranee Y. Amarasinghe Sri Lanka Navy ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা