শেখ আবদুস সালাম
শেখ আবদুস সালাম (জন্ম:১২ জুলাই ১৯৪০ - মৃত্যু: ১৩ মে ১৯৭১) একজন বাঙালি শিক্ষাবিদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবী যিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।[১]
শেখ আবদুস সালাম | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৩ মে ১৯৭১ | (বয়স ৩০)
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা বিএল কলেজ খুলনা আইন কলেজ |
পেশা | একাডেমিক |
পিতা-মাতা |
|
জন্ম ও প্রথমিক জীবন
সম্পাদনাশেখ আবদুস সালাম ১২ জুলাই ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ ভারতের পূর্ব বাংলার নড়াইলের কালিয়ার বিলবাওচ গ্রামে (বর্তমান বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শেখ আবদুল গফুর ও মাতার নাম ফুলজান নেছা।[১]
শিক্ষা জীবন
সম্পাদনাশেখ আবদুস সালাম কালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৬ সালে ম্যাট্রিকুলেশন এবং নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৫৮ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। খুলনা বিএল কলেজ থেকে তিনি ১৯৬০ সালে বিএ ডিগ্রি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্য বিভাগে তিনি ১৯৬৯ সালে এমএ ক্লাসে ভর্তি হয়ে ১৯৭১ সালে শেষ পর্বের পরীক্ষার সময় আন্দোলনের কারণে পরীক্ষা স্থগিত হলে আইন কলেজ খুলনা থেকে বিএল ও বিএড ডিগ্রি লাভ করেন ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে। তিনি সাহিত্য, শিক্ষা ব্যবস্থা ও ইংরেজি ভাষা বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেন।[১]
কর্মজীবন
সম্পাদনাশেখ আবদুস সালাম নওয়াগ্রাম ইউনাইটেড একাডেমীতে ১৯৬০ সালে প্রধান শিক্ষক হয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। বড়দিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও বেন্দা ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনে প্রধান শিক্ষক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কালিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন ১৯৬৭ সালে।[১]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাশেখ আবদুস সালাম ছাত্র রাজনীতি দিয়েই রাজনীতিতে জড়িত হন। ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। এই অপরাধে ১৯৭০ সালে তাকে কারাগারে যেতে হয়। তিনি ছিলেন কালিয়া উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কালিয়ায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন হয় তার নেতৃত্বে। কালিয়ায় মুক্তিবাহিনী সংগ্রাম পরিষদ তার নেতৃত্বেই গঠিত হয়।[১]
স্বাধীনতা যুদ্ধ ও হত্যা
সম্পাদনাশেখ আবদুস সালামকে মে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী গ্রেফতার করে যশোর সেনানিবাসে নিয়ে যায় এবং ১৩ মে ১৯৭১ সালে হত্যা করে।[১]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- শেখ আবদুস সালাম – বাংলাপিডিয়া থেকে নেয়া