শেকসপিয়র গ্রন্থপঞ্জি

উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ

উইলিয়াম শেকসপিয়র (১৫৬৪–১৬১৬)[] ছিলেন একজন ইংরেজ কবি ও নাট্যকার। তিনি প্রায় ৩৯টি নাটক, ১৫৪টি সনেট এবং আরও কয়েকটি কবিতা রচনা করেছিলেন।[টীকা ১]

নাটক ও অন্যান্য রচনা

সম্পাদনা

ট্র্যাজেডি

সম্পাদনা
শেকসপিয়রের নাটক
শিরোনাম রচনাকাল প্রথম প্রকাশনা মঞ্চায়ন লেখকত্ব-সংক্রান্ত টীকা
অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা ১৬০১–১৬০৮ ফার্স্ট ফোলিওতে প্রথম প্রকাশিত ১৬০৬ থেকে ১৬০৮ সালের মধ্যবর্তী কোনও এক সময় মঞ্চায়িত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়।
সারসংক্ষেপ জুলিয়াস সিজার নাটকে বর্ণিত ঘটনার অব্যবহিত পরে দেখা যায়, মার্ক অ্যান্টনি মিশরীয় রানি ক্লিওপেট্রার প্রেমে পড়েছেন। সম্রাট অক্টেভিয়াসের সঙ্গে অ্যান্টনির সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু ক্লিওপেট্রার জন্য সম্রাটের ভগিনী তথা আপন পত্নীকে প্রত্যাখ্যান করলে অ্যান্টনির সঙ্গে সম্রাটের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। অ্যান্টনি অক্টেভিয়াসের থেকে সিংহাসন দখল করে নিতে গিয়ে ব্যর্থ হন, এদিকে ক্লিওপেট্রাও আত্মহত্যা করেন।
কোরিওলেনাস ১৬০৫–১৬০৮ (অনুমিত) ফার্স্ট ফোলিওতে প্রথম প্রকাশিত রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আগে মঞ্চায়নের কোনও নথি নেই; প্রথম নথিবদ্ধ মঞ্চায়নটির সঙ্গে ১৬৮২ সালে ড্রুয়ারি লেনে নাহুম টেটের রক্তাক্ত অভিযোজনাটি জড়িত।
সারসংক্ষেপ রোমান সামরিক নেতা কাইয়াস মার্সিয়াস ভলসিয়ানদের বিরুদ্ধে কয়েকটি যুদ্ধে রোমকে সফলভাবে নেতৃত্ব দানের পর কোলিওলেস নগরী জয় করে নতুন উপাধি "কোরিওলেনাস"-এর অধিকারী হন এবং যুদ্ধের নায়ক হিসেবে গৃহে প্রত্যাবর্তন করেন। যদিও একটি রাজনৈতিক পদ অধিকারের চেষ্টা করলে পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়ে ওঠে এবং তাঁকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিয়ে রোম থেকে নির্বাসিত করা হয়। প্রতিশোধ গ্রহণে উন্মুখ হয়ে কোরিওলেনাস ভলসিয়ানদের বাহিনীর নেতৃত্ব দেন এবং রোমের প্রবেশদ্বারে এসে উপনীত হন। তাঁর মা, পত্নী ও পুত্র তাঁকে অনুরোধ করেন রোম আক্রমণ না করার জন্য। তিনি রাজি হন এবং রোমান ও ভলসিয়ানদের মধ্যে সন্ধিস্থাপনে অগ্রসর হন। কিন্তু শত্রু ভলসিয়ানরা তাঁকে হত্যা করে।
হ্যামলেট সম্ভবত ১৭শ শতাব্দীর প্রথম ভাগ তথাকথিত "মন্দ" ফার্স্ট ফোলিওতে প্রথম প্রকাশিত, ১৬০৩ ১৬০২ সালের জুন মাসে হ্যামলেট-এর প্রথম নথিবদ্ধ উপস্থাপনার নজির পাওয়া যায়, এটিতে নামভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রিচার্ড বার্বেজ পিটার আলেকজান্ডার ও এরিক স্যামস প্রমুখ কয়েকজন গবেষক মনে করেন যে, প্রায়শ উৎস-গ্রন্থ হিসেবে নির্দেশিত উর-হ্যামলেট গ্রন্থখানি আসলে এই নাটকের প্রথম খসড়া, যা ১৫৮৯ সালের পূর্ববর্তী কোনও এক সময় শেকসপিয়র নিজেই রচনা করেছিলেন।[]
সারসংক্ষেপ রাজকুমার হ্যামলেট তাঁর পিতার প্রেতাত্মা কর্তৃক নির্দেশিত হন হ্যামলেটের কাকা রাজা ক্লডিয়াসকে হত্যা করে পিতার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। প্রেতাত্মা সত্য কথা বলছে কিনা এবং তাঁর পক্ষেও প্রতিশোধ নেওয়া উচিত কিনা এই ধরনের অনেকগুলি প্রশ্নের সঙ্গে যুঝতে যুঝতে অন্যান্য প্রধান চরিত্রগুলির সঙ্গে হ্যামলেটও নিহত হন।
জুলিয়াস সিজার ১৫৯৯[] ফার্স্ট ফোলিওতে প্রথম প্রকাশিত টমাস প্ল্যাটার নামে এক সুইস পর্যটক ১৫৯৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর একটি ব্যাংকসাইড থিয়েটারে জুলিয়াস সিজারকে নিয়ে লেখা এক ট্র্যাজেডি দেখেছিলেন। এটি খুব সম্ভবত শেকসপিয়রের নাটক। কারণ, জুলিয়াস সিজারের কাহিনি অবলম্বনে এলিজাবেথীয়/জেকবীয় যুগে বারংবার নাটক রচিত হলেও শেকসপিয়রের নাটকটির সঙ্গে প্ল্যাটারের বর্ণনার যা মিল তা আর কোনও ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না।[]
সারসংক্ষেপ জুলিয়াস সিজারের ক্ষমতা রোমের স্বার্থের তুলনায় অত্যধিক বৃদ্ধি পেলে ক্যাসিয়াস তাঁর বন্ধু ব্রুটাসকে রাজি করায় সিজারকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যোগ দেওয়ার জন্য। সিজারকে হত্যার পর অবশ্য ব্রুটাস জনসাধারণকে নিজের কাজের যথার্থতা বোঝাতে ব্যর্থ হন। রোম অধিকারের আর কোনও আশা নেই দেখে ব্রুটাস ও ক্যাসিয়াস উভয়েই আত্মহত্যা করেন।
কিং লিয়ার ১৬০৩–১৬০৬[][] ১৬০৮ সালে প্রকাশিত কোয়ার্টোতে[] প্রথম নথিবদ্ধ মঞ্চায়ন: ২৬ ডিসেম্বর, ১৬০৬, হোয়াইটহল প্যালেসে রাজা প্রথম জেমসের সামনে।[]
সারসংক্ষেপ এক বৃদ্ধ রাজা নিজের রাজ্য দুই কন্যা রেগান ও গনেরিলের মধ্যে বণ্টন করে দেন এবং কনিষ্ঠা কন্যা কর্ডেলিয়াকে অবাধ্যতার জন্য রাজ্য থেকে বহিষ্কার করেন। ক্রমে তিনি বুঝতে পারেন যে, রেগান ও গনেরিলই প্রকৃত প্রস্তাবে তাঁর অবাধ্য। কিন্তু ততদিনে তিনি তাঁর রাজ্য দান করে দিয়েছেন। দরিদ্র বৃদ্ধ রাজা গ্রামের পথে পথে ঘুরতে শুরু করেন। শেষে কর্ডেলিয়া তাঁর স্বামী ফ্রান্সের রাজাকে নিজে পিতার রাজ্য উদ্ধার করতে আসেন। রেগান ও গনেরিল পরাজিত হয়। কিন্তু তার আগেই কর্ডেলিয়া বন্দী ও নিহত হয়েছিলেন। রাজা লিয়র মনস্তাপেই মৃত্যুবরণ করেন।
ম্যাকবেথ ১৬০৩–১৬০৬[] ফার্স্ট ফোলিওতে প্রথম প্রকাশিত "১৬০৭ সালে নাটকটির বেশ স্পষ্ট ইঙ্গিত" পাওয়া যায়।[] ১৬১১ সালের এপ্রিল মাসে এই নাটক মঞ্চায়নের প্রথম বিবরণটি পাওয়া যায়; সাইমন ফরম্যান গ্লোব থিয়েটারে সেই সময় এটি দেখে নথিবদ্ধ করেছিলেন।[১০] ম্যাকবেথ নাটকের যে পাঠটি পাওয়া যায় তা স্পষ্টতই পরবর্তীকালে নানা হাতে সংশোধিত হয়েছে। যার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হল টমাস মিডলটনের দ্য উইচ (১৬১৫) নাটক থেকে দু'টি গানের অন্তর্ভুক্তি।[১১]
সারসংক্ষেপ স্কটিশ অভিজাত পুরুষ ম্যাকবেথকে তাঁর পত্নী রাজি করান রাজা ডানকানকে হত্যা করে সিংহাসন অধিকার করতে। তিনি রাজার রক্ষীদের গায়ে রক্ত মাখিয়ে তাদের রাজহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেন এবং তারপর স্কটল্যান্ডের রাজা হিসেবে নিযুক্ত হন। যদিও লোকজন তাঁর এই হঠাৎ ক্ষমতায় আসাকে সন্দেহ করতে শুরু করে এবং তিনিও নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে একের পর এক ব্যক্তিকে খুন করতে থাকেন। তিনি ভাবতে থাকেন, যতক্ষণ তিনি খুনোখুনি অব্যাহত রাখতে পারবেন ততদিনই তিনি অজেয় থাকবে। শেষ পর্যন্ত পূর্বতন রাজার পুত্র ম্যালকম ম্যাকবেথের প্রাসাদ দখল করেন এবং ম্যাকডাফ এক সশস্ত্র সংগ্রামে ম্যাকবেথকে হত্যা করেন।
ওথেলো ১৬০২–১৬০৪[১২] (আনু. 1603) ১৬২২ সালে টমাস ওয়াকলি কর্তৃক কোয়ার্টো আকারে প্রথম প্রকাশিত। পরের বছর ফার্স্ট ফোলিওর অন্তর্ভুক্ত হয়। সম্ভবত ১৬০৪ সালের ১ নভেম্বর হোয়াইটহল প্যালেসে রাজা প্রথম জেমসের বিনোদনের জন্য প্রথম মঞ্চায়িত হয়েছিল।[১২]
সারসংক্ষেপ ওথেলো একজন মুর এবং ভেনিস-বাসী সামরিক আধিকারিক। তিনি এক সেনেটরের কন্যা ডেসডিমোনার সঙ্গে পালিয়ে যান। পরে সাইপ্রাসে ওথেলোর ভৃত্য ইয়াগো তাঁকে বোঝান যে ওথেলোর পত্নী ডেসডিমোনা মাইকেল ক্যাসিও নামে তাঁর এক লেফট্যানেন্টের সঙ্গে অবৈধ প্রণয়ে লিপ্ত। ইয়াগো অবশ্য মিথ্যা কথা বলেছিল। ডেসডিমোনা ও ক্যাসিও উভয়েই ওথেলোকে বোঝাতে চান যে তাঁরা নির্দোষ। কিন্তু ওথেলো তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেন। ইয়াগোর মন্ত্রণায় ওথেলো ক্যাসিওকে হত্যা করার জন্য লোক নিয়োগ করেন। ক্যাসিও অবশ্য আহত হন। অন্যদিকে ওথেলো নিজে ডেসডিমোনাকে শয্যায় হত্যা করেন। ইয়াগোর ষড়যন্ত্র যখন ধরা পড়ে তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। শেষে ওথেলো আত্মহত্যা করেন।
রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট ১৫৯৫–১৫৯৬, সম্ভবত প্রথম খসড়াটি ১৫৯১ সালে লিখিত[১৩][১৪] ১৫৯৭ সালে কিউ১-এ প্রথম প্রকাশিত[১৫] ১৫৯১ থেকে ১৫৯৭ সালের মার্চ মাসের মধ্যে কোনও এক সময় প্রথম মঞ্চায়িত[১৬]
সারসংক্ষেপ ইতালির ভেরোনায় মন্তেগু ও ক্যাপুলেত পরিবার এক রক্তক্ষয়ী বিবাদের পর্বের মধ্যে দিয়ে চলেছিল। মন্তেগু পরিবারের রোমিও ও ক্যাপুলেত পরিবারের জুলিয়েট পরস্পরের প্রেমে পড়ে এবং পারিবারিক শত্রুতার হাত থেকে নিজেদের সম্পর্কে রক্ষা করার জন্য যুঝতে থাকে। কিন্তু রাগের মাথায় রোমিও জুলিয়েটের জ্ঞাতিভ্রাতা টাইবল্টকে হত্যা করে বসলে অবস্থা আরও প্রতিকূল হয়ে ওঠে। ঘটনাচক্রে দুই প্রণয়ীই কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আত্মহত্যা করে এবং সেই ঘটনায় শোকাচ্ছন্ন হয়ে দুই পরিবারের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হয়।
টাইমন অফ এথেন্স আনুমানিক ১৬০৭[১৭] ফার্স্ট ফোলিওতে প্রথম প্রকাশিত[১৮] শেকসপিয়রের জীবদ্দশায় মঞ্চায়নের কোনও নথি নেই।[১৭] টমাস শ্যাডওয়েল কর্তৃক একটি অভিযোজনা ১৬৭৮ সালে মঞ্চায়িত হয়।[১৮] ব্রায়ান ভাইকারস ও অন্যান্যরা মনে করেন যে, টাইমন অফ এথেন্স নাটকের সহ-রচয়িতা ছিলেন টমাস মিডলটন, যদিও কয়েকজন টীকাকার এই বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন।[১৯]
সারসংক্ষেপ এথেন্সের টাইমন ছিল আপাতদৃষ্টিতে তাঁর সম্প্রদায়ের এক ধনী ব্যক্তি, যিনি তাঁর আশেপাশে থাকা লোকেদের প্রচুর দানধ্যান করতেন। ক্রমে স্পষ্ট হয়ে যায় যে তিনি ঋণের বোঝার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ঋণদাতারা একই দিনে তাকে ঋণশোধের জন্য তাগাদা দেয়। টাইমন বন্ধুদের থেকে সাহায্য চাইলে তাঁরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন। মানবজাতির দ্বিচারিতায় ক্রুদ্ধ হয়ে টাইমন শহর ছেড়ে ঊষর প্রান্তরে চলে যান এবং একটি গুহায় বাস করতে থাকেন। বেশ কয়েকজন তাঁর মন ভালো রাখার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তিনি মানবজাতির প্রতি ঘৃণা মনে নিয়েই মৃত্যুবরণ করেন।
টাইটাস অ্যান্ড্রোনিকাস সম্ভবত ১৫৯৩ সালের শেষভাগ[২০] ১৫৯৪ সালে কোয়ার্টোয় প্রথম প্রকাশিত; ১৬০০ সালে দ্বিতীয় এবং ১৬১১ সালে তৃতীয় কোয়ার্টোয় পুনঃপ্রকাশিত।[২০] প্রথম নথিবদ্ধ মঞ্চায়ন: ১৫৯৪ সালের ২৪ জানুয়ারি রোজ থিয়েটারে; ২৯ জানুয়ার ও ৪ ফেব্রুয়ারি পুনরাভিনীত হয়। সেই বছরই জুন মাসে অ্যাডমিরাল'স মেন অ্যান্ড লর্ড চেম্বারলেইন'স মেন নিউইংটন বাটসে এটি মঞ্চস্থ করে। ১৫৯৬ সালের ১ জানুয়ারি সম্ভবত লর্ড চেম্বারলেইন'স মেন রাটল্যান্ডে বার্লি-অন-দ্য-হিলে স্যার জন হ্যারিংটনের গৃহে এটি মঞ্চস্থ করেছিল।[২০] ব্রায়ান ভাইকারস মনে করেন যে টাইটাস অ্যান্ড্রোনিকাস নাটকের সহ-রচয়িতা হলেন জর্জ পিল[২১]
সারসংক্ষেপ রোমান যুদ্ধনায়ক টাইটাস অ্যান্ড্রোনিকাস গথদের যুদ্ধে পরাজিত করে প্রত্যাবর্তন করেন। একটি প্রতিশোধমূলক অনুষ্ঠানে তিনি গথরানির তিন পুত্রের একজনে হত্যা করেন। গথরানি পুত্রের জীবনভিক্ষা করলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। গথরানি রোমের সম্রাজ্ঞী হওয়ার পর অ্যান্ড্রোনিকি পরিবারের উপর পুত্রহত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ করেন। তিনি নিজের অন্য পুত্রদের প্রেরণ করেন টাইটাসের কন্যার লাভিনিয়ার স্বামীর মৃতদের উপর তাকে ধর্ষণ করে অঙ্গহীন করে দেওয়ার জন্য। তারপর টাইটাসের পুত্রদের হত্যাকান্ডের জন্য অভিযুক্ত করেন। অবশ্য লাভিনিয়া অন্য উপায়ে তাঁর বাবাকে জানিয়ে দেয় প্রকৃত হত্যাকারী কারা। অ্যান্ড্রোনিকাস রানি ও তাঁর পুত্রদের হত্যা করে প্রতিশোধ নেন এবং সেই কাজের সময় নিজেও নিহত হন।
ট্রলিয়াস অ্যান্ড ক্রেসিডা ১৬০২ (অনুমিত) ১৬০৯: কোয়ার্টোয় দু'টি পৃথক সংস্করণ নাটকের প্রথম মঞ্চায়নের তারিখ অনিশ্চিত; কারণ, ১৬০৯ সালে প্রকাশিত দুই সংস্করণে কিছু বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
সারসংক্ষেপ অ্যাগামেমননের অধীনে গ্রিক সেনাবাহিনী ট্রয় অবরোধ করেছিল। ট্রলিয়াস নামে এক ট্রোজান ক্রেসিডা নামে এক গ্রিক বন্দিনীর প্রেমে পড়েন। বন্দী আদানপ্রদানের অঙ্গ হিসেবে ক্রেসিডাকে গ্রিকদের হাতে হস্তান্তরিত করা হলে ট্রলিয়াস ভয় পান যে সে তাদেরই একজনের প্রেমে পড়ে যাবে। তাঁর আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হয় যখন তিনি অস্ত্রবিরতির সময় শত্রুদের এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়েন এবং ক্রেসিডাকে এক গ্রিক পুরুষের সঙ্গে দেখেন।

ঐতিহাসিক নাটক

সম্পাদনা

নির্বাচিত কবিতা

সম্পাদনা
শেকসপিয়রের কবিতা
শিরোনাম রচনাকাল প্রথম প্রকাশ লেখকত্ব-সংক্রান্ত টীকা
ভেনাস অ্যান্ড অ্যাডোনিস ১৫৯৩[২২] ১৫৯৩
দ্য রেপ অফ ল্যুক্রেসি ১৫৯৪[২২] ১৫৯৪
দ্য প্যাশনেট পিলগ্রিম ১৫৯৮ বা ১৫৯৯ ২০টি কবিতার সংকলন, উইলিয়াম জ্যাগার্ড কর্তৃক প্রকাশিত। এটি "ডব্লিউ. শেকসপিয়র" রচিত বলে প্রচ্ছদ পৃষ্ঠায় উল্লিখিত হয়। কিন্তু মাত্র পাঁচটি কবিতাই নিশ্চিতভাবে শেকসপিয়রের রচনা।
দ্য ফিনিক্স অ্যান্ড দ্য টার্টেল ১৬০১
আ লাভার'স কমপ্লেইন ১৬০৯
শেকসপিয়র'স সনেটস ১৬০৯
আ ফিউনেরাল এলিজি ১৬১২ অধিকাংশ গবেষক আর এটিকে শেকসপিয়রের রচনা বলে মনে করেন না।
টু দ্য কুইন ১৯৭২ সালে আবিষ্কৃত কার রচনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে

অপ্রামাণিক সাহিত্যকর্ম

সম্পাদনা

শেকসপিয়রের অপ্রামাণিক রচনা বলতে একগুচ্ছ নাটক ও কবিতাকে বোঝানো হয়, যেগুলিকে কখনও কখনও শেকসপিয়রের রচনা বলে বিবেচনা করা হলেও প্রকৃতই তা তাঁর রচনা কিনা তা নানা কারণে প্রশ্নাতীত নয়।

Shakespeare Apocrypha
শিরোনাম রচনাকাল প্রথম প্রকাশনা মঞ্চায়ন লেখকত্ব-সংক্রান্ত টীকা
স্যার টমাস মোর হ্যান্ড ডি-র রচনা হিসেবে বিবেচিত পংক্তিগুলি "এখন সাধারণভাবে শেকসপিয়রের রচনা বলে স্বীকৃত।" যদিও এই শনাক্তকরণের বিষয়টিও বিতর্কিতই রয়ে গিয়েছে।
কার্ডেনিও (হারিয়ে যাওয়া) কার্ডেনিও নাটকটি আপাতদৃষ্টিতে জন ফ্লেচারের সহযোগিতায় রচিত বলে মনে করা হয়।[২৩] কোনও কোনও গবেষক লুইস থিওবাল্ডের ডাবল ফলসহুড নাটকটিকে কার্ডেনিও-র সংশোধিত সংস্করণ মনে করেন।[২৪]
লাভ'স লেবর'স ওন (হারিয়ে যাওয়া) ১৫৯৮-এর আগে[২৫]
দ্য বার্থ অফ মার্লিন
লোক্রেইন অজ্ঞাত, অনুমান করা হয় ১৫৮০-এর দশকের প্রথম ভাগ থেকে ১৫৯৪ সালের মধ্যবর্তী কোনও এক সময়ে।[২৬][২৭] গ্রন্থবিক্রেতা টমাস ক্রিড কর্তৃক প্রকাশিত ১৫৯৫ সালের কোয়ার্টো[২৬]
দ্য লন্ডন প্রডিগল
দ্য সেকেন্ড মেইডেন'স ট্র্যাজেডি
দ্য পিউরিটান
স্যার জন ওল্ডকাসল
টমাস লর্ড ক্রমওয়েল
আ ইয়র্কশায়ার ট্র্যাজেডি

পাদটীকা

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Schoenbaum, Samuel (১৯৭৫)। William Shakespeare: A Compact Documentary Life। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 24–26, 296। আইএসবিএন 0-19-505161-0 
  2. * Bloom, Harold,Shakespeare: The Invention of the Human. New York, 1998.
  3. F. E. Halliday, Shakespeare Companion, pp. 159, 260, 524, 533.
  4. Richard Edes's Latin play Caesar Interfectus (1582?) would not qualify. The Admiral's Men had an anonymous Caesar and Pompey in their repertory in 1594–95, and another play, Caesar's Fall, or the Two Shapes, written by Thomas Dekker, Michael Drayton, Thomas Middleton, Anthony Munday, and John Webster, in 1601–02, too late for Platter's reference. Neither play has survived. The anonymous Caesar's Revenge dates to 1606, while George Chapman's Caesar and Pompey dates from আনু. 1613. E. K. Chambers, Elizabethan Stage, Vol. 2, p. 179; Vol. 3, pp. 259, 309; Vol. 4, p. 4.
  5. Frank Kermode, 'King Lear', The Riverside Shakespeare (Boston: Houghton Mifflin, 1974), 1249.
  6. R.A. Foakes, ed. King Lear. London: Arden, 1997), 89–90.
  7. "King Lear" 
  8. A.R. Braunmuller, ed. Macbeth (CUP, 1997), 5–8.
  9. Kermode, Riverside Shakespeare, p. 1308.
  10. If, that is, the Forman document is genuine; see the entry on Simon Forman for the question of the authenticity of the Book of Plays.
  11. Brooke, Nicholas, (ed.) (1998). The Tragedy of Macbeth. Oxford: Oxford University Press, 57. আইএসবিএন ০-১৯-২৮৩৪১৭-৭.
  12. "Othello" 
  13. Draper, John W. "The Date of Romeo and Juliet." The Review of English Studies (Jan 1949) 25.97 pp. 55–57
  14. Gibbons, pp. 26–31
  15. Halio, Jay. Romeo and Juliet. Westport: Greenwood Press, 1998. p. 1 আইএসবিএন ০-৩১৩-৩০০৮৯-৫
  16. Gibbons, Brian. Romeo and Juliet. London: Methuen, 1980. p. 26. আইএসবিএন ০-৪১৬-১৭৮৫০-২
  17. "Fools of Fortune"The New Yorker। ৩০ জুলাই ২০১২। 
  18. "Timon of Athens" 
  19. Vickers, 8; Dominik, 16; Farley-Hills, David (1990). Shakespeare and the Rival Playwrights, 1600–06. Routledge, 171–172. আইএসবিএন ০-৪১৫-০৪০৫০-৭.
  20. "Titus Andronicus - Shakespeare in quarto"। ১৮ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২২ 
  21. Vickers, Brian (2002). Shakespeare, Co-Author: A Historical Study of Five Collaborative Plays. Oxford University Press. 8. আইএসবিএন ০-১৯-৯২৫৬৫৩-৫; Dillon, Janette (2007).
  22. Gurr, Andrew. The Shakespearean Stage 1574–1642. Cambridge: Cambridge University Press, 1992: 76.
  23. Bradford, Gamaliel Jr. "The History of Cardenio by Mr. Fletcher and Shakespeare." Modern Language Notes (February 1910) 25.2, 51–56; Freehafer, John. "'Cardenio', by Shakespeare and Fletcher." PMLA. (May 1969) 84.3, 501–513.
  24. Mike Collett-White (২০১০-০৩-১৬)। "A new William Shakespeare play? Long lost play to be published."The Christian Science Monitor। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-১৬ 
  25. Baldwin, T.W. Shakespeare's Love's Labour's Won: New Evidence from the Account Books of an Elizabethan Bookseller. Carbondale: Southern Illinois University Press, 1957.
  26. Chambers, . K. The Elizabethan Stage. 4 Volumes, Oxford, Clarendon Press, 1923.
  27. Logan, Terence P., and Denzell S. Smith, eds. The Predecessors of Shakespeare: A Survey and Bibliography of Recent Studies in English Renaissance Drama. Lincoln, University of Nebraska Press, 1973.